কর্মযোগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২২ নং লাইন:
</poem>|source=—''ভগবদ্‌ গীতা'', ২.৪৭-৪৯<ref name="Klostermaier2007p65">{{cite book|author=Klaus K. Klostermaier|title=Hinduism: A Beginner's Guide|url=https://books.google.com/books?id=d9avAgAACAAJ|year=2007|publisher=Oxford: Oneworld|isbn=978-1-85168-538-7|pages=63–66}}</ref><ref name="Chapple2010p124">{{cite book|author=Winthrop Sargeant|editor=Christopher Key Chapple|title=The Bhagavad Gita: Twenty-fifth–Anniversary Edition|url=https://books.google.com/books?id=COuy5CDAqt4C|year=2010|publisher=State University of New York Press|isbn=978-1-4384-2840-6|pages=124–135 with footnotes}}</ref>|bgcolor=#FFE0BB|align=right}}বিলিমোরিয়া বলেন, কর্ম যোগের অর্থ আবেগ কিংবা বাসনার বর্জন নয়, বরঞ্চ এর অর্থ “মানসিক স্থিরতা এবং সমতার” দ্বারা পরিচালিত হয়ে কর্ম সম্পাদন করা এবং “একদেশদর্শিতা, ভীতি, উদগ্র কামনা, নিজের অথবা একটি গোষ্ঠীর বা একটি দলের পক্ষপাতিত্ব, আত্মদুঃখকাতরতা, নিজের অতিরঞ্জন অথবা যেকোন ধরনের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীলতা” প্রভৃতিকে বর্জন করে ‘বৈরাগ্য, নিরাসক্তি’র পথে চলা।<ref name=":1" /> ভারতীয় ধর্মকেন্দ্রিক ধর্মীয় পাঠের অধ্যাপক হ্যারল্ড কাওয়ার্ড বলেন, একজন কর্ম যোগী “গৃহকর্মী, মাতা, পরিষেবিকা বা নার্স, ছুতোর অথবা জঞ্জাল সংগ্রাহক হিসেবে নিজের খ্যাতি, সুবিধা অথবা আর্থিক পুরস্কারের কথা না ভেবে, শুধু ঈশ্বরের কাছে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে” কাজ করতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Harold G. Coward (2012). Perfectibility of Human Nature in Eastern and Western Thought, The. State University of New York Press. pp. 132–133. ISBN 978-0-7914-7885-1.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref>
 
ফিলিপসের মতে, কর্ম যোগ “যেকোন পেশায় অথবা পারিবারিক ক্ষেত্রে যেকোন কাজে” প্রয়োগ করা যেতে পারে, যেখানে যোগী নিঃস্বার্থভাবে অন্যের উপকারের জন্য কাজ করে যান। যোগের অন্যান্য প্রকারগুলির সাথে কর্ম যোগের পার্থক্য এখানেই যে অন্যান্য যোগে কেবল বিচ্ছিন্নভাবে এবং ধ্যানমগ্ন অবস্থায় আত্মোন্নতি এবং আত্মোপলব্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Stephen Phillips (2009). Yoga, Karma, and Rebirth: A Brief History and Philosophy. Columbia University Press. pp. 100–101. ISBN 978-0-231-14485-8.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref> ফিলিপ বলেন, “নিরাসক্ত কর্মের” ধারণাটি কেবলমাত্র হিন্দুধর্মেই নেই, এবং বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের সাধু ও সাধ্বীদের মধ্যেও একইধরনের নিরাসক্ত, নির্লিপ্ততার কথা পাওয়া যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Stephen Phillips (2009). Yoga, Karma, and Rebirth: A Brief History and Philosophy. Columbia University Press. p. 99. ISBN 978-0-231-14485-8.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref>
 
== ভগবদ্‌ গীতা ==
ভগবদ্‌ গীতা অনুসারে, সৎ অনুভব এবং সৎ আচরণের দ্বারা সৎ উদ্দেশ্যে এবং সমমনস্ক অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য নিঃস্বার্থ সেবাই হল উপাসনা এবং আধ্যাত্মিকতার একটি রূপ।<ref name=":0" /><ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Stephen Phillips (2009). Yoga, Karma, and Rebirth: A Brief History and Philosophy. Columbia University Press. pp. 99–100. ISBN 978-0-231-14485-8.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref>
 
ভগবদ্‌ গীতার ৩.৪ মণ্ডলে বলা হয়েছে, যেমন জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সাধুর পোশাক পরিধান করলেই একজন আধ্যাত্মিক হন না, তেমনই কর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হলে অথবা কর্ম শুরু না করলে কেউ দাসত্ব থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেন না। ভগবদ্‌ গীতার ৩.৫ নং মণ্ডলে বলা হয়েছে, কাজ না করাও একধরনের কাজ যাতে ফল থাকে এবং কর্মীয় প্রভাব থাকে, এবং মানুষের অস্তিত্বের প্রকৃতি এমনই যে সে সর্বদাই তার প্রকৃতিতে, শরীরে অথবা মনে কাজ করে চলে, এবং এক মূহুর্তের জন্যও সে কর্মহীন থাকতে পারে না। ভগবদ্‌ গীতার ৩.৬ থেকে ৩.৮ নং মণ্ডলে বলা হয়েছে, শরীরের দ্বারা অথবা বহির্জগতের প্রভাব দ্বারা কর্ম অনুপ্রাণিত হয়। পক্ষান্তরে, একজনের অন্তরের প্রতিরূপ এবং নিজস্ব সত্ত্বার (আত্মা, আত্মন্‌, ব্রাহ্মণ) দ্বারাও তা প্রভাবিত হতে পারে। প্রথমটি দাসত্বের জন্ম দেয়, শেষেরটি দেয় মুক্তির। আধ্যাত্মিক পথে সুখে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল, পরিণতি, ফলাফল, সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নিরাসক্ত হয়ে যতদূর সম্ভব কাজ করে যাওয়া। ভাউক বলেন, যে কর্ম যোগী এই নিষ্কর্মা কর্ম অনুশীলন করেন, তিনি “সহজাত পরিপূর্ণ এবং পরিতৃপ্তির পথে একটি অন্তর্মুখীন যাত্রা করেন”।