কর্মযোগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৮ নং লাইন:
জেমস লোচেফেল্ডের মতে, কর্ম যোগ (কর্ম মার্গও বলা হয়) হল “পরের হিতার্থে নিঃস্বার্থ কর্ম সম্পাদন” – এর আধ্যাত্মিক চর্চা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=James G. Lochtefeld (2002). The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M. The Rosen Publishing Group. p. 352. ISBN 978-0-8239-3179-8.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Jeffrey Brodd (2009). World Religions: A Voyage of Discovery. Saint Mary's Press. pp. 53–54. ISBN 978-0-88489-997-6.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref> কর্মের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক মোক্ষ (মুক্তি) লাভই হল কর্ম যোগের পথ। ফলের প্রতি আসক্ত না হয়ে অথবা ফলাফল কি হতে পারে তার দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ন্যায্যপথ অবলম্বন হল এই কর্মযোগ, এটি হল একজনের কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠাবান হওয়া, এবং সাফল্য কিংবা ব্যর্থতার মত পুরস্কার বা পরিণামের প্রতি নিরপেক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব চেষ্টা করে যাওয়া।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Mulla, Zubin R.; Krishnan, Venkat R. (2013). "Karma-Yoga: The Indian Model of Moral Development". Journal of Business Ethics. Springer Nature. 123 (2): 342–345, context: 339–351. doi:10.1007/s10551-013-1842-8.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref>
 
হিন্দু শাস্ত্রমতে, মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হল কর্মফলের প্রতি অনুসন্ধিৎসু হয়ে পড়া, কিন্তু শুধুমাত্র ফলের প্রতি আসক্তি এবং এর ইতিবাচক আশু ফল কিন্তু ধর্মের (নৈতিক, ন্যায্য কর্ম) সঙ্গে আপস করতে পারে। বিলিনোরিয়া বলেন, কর্ম যোগ হল “নৈতিকভাবে, সূক্ষ্যভাবে নিয়ন্ত্রিত কর্ম”।<ref name=":1">{{বই উদ্ধৃতি|title=P Bilimoria (2014). S van Hooft, ed. The Handbook of Virtue Ethics. Routledge. p. 302. ISBN 978-1-317-54477-7.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref> এশিয়ান স্টাডিজ এবং দর্শনের অধ্যাপক স্টিফেন ফিলিপসের মতে, “একমাত্র ধার্মিক কর্মই” হল কর্ম যোগের উপযোগি, যেখানে একজন তার নিজস্ব ভূমিকাকে অথবা তার নিজস্ব আগ্রহকে গুরুত্বহীন করে তোলে। পরিবর্তে, একজন কর্ম যোগী সমস্ত দলকেই, সমস্ত প্রাণীকে, প্রকৃতির সমস্ত পদার্থকে পক্ষপাতিত্বহীন হিসেবে বিবেচনা করেন এবং তারপর সঠিক কাজটি করেন। ফিলিপস্‌ বলেন, যদিও কিছু ভাষ্যকার আছেন যাঁরা এটি মানেন না এবং তাঁরা বলেন “কর্ম যোগের মাধ্যমে যেকোন কাজই করা যায়” এবং সেই কাজকে ধর্মানুসারী হতে হবে এমন কোন কথা নেই।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Stephen Phillips (2009). Yoga, Karma, and Rebirth: A Brief History and Philosophy. Columbia University Press. pp. 97–102. ISBN 978-0-231-14485-8.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=William L. Blizek (2009). The Continuum Companion to Religion and Film. Bloomsbury Academic. pp. 161–162. ISBN 978-0-8264-9991-2.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref>{{Quote box|quote=''কর্ম যোগ'''
<poem>
তোমার কর্মই তোমার দায়,
২১ নং লাইন:
এবং থাকো ব্যর্থতায়ও।
স্থিরমনস্ক হওয়াই প্রকৃত যোগ।
</poem>|source=—''ভগবদ্‌ গীতা'', ২.৪৭-৪৯<ref name="Klostermaier2007p65">{{cite book|author=Klaus K. Klostermaier|title=Hinduism: A Beginner's Guide|url=https://books.google.com/books?id=d9avAgAACAAJ|year=2007|publisher=Oxford: Oneworld|isbn=978-1-85168-538-7|pages=63–66}}</ref><ref name="Chapple2010p124">{{cite book|author=Winthrop Sargeant|editor=Christopher Key Chapple|title=The Bhagavad Gita: Twenty-fifth–Anniversary Edition|url=https://books.google.com/books?id=COuy5CDAqt4C|year=2010|publisher=State University of New York Press|isbn=978-1-4384-2840-6|pages=124–135 with footnotes}}</ref><ref name="Coward2012p142"/>|bgcolor=#FFE0BB|align=right}}বিলিমোরিয়া বলেন, কর্ম যোগের অর্থ আবেগ কিংবা বাসনার বর্জন নয়, বরঞ্চ এর অর্থ “মানসিক স্থিরতা এবং সমতার” দ্বারা পরিচালিত হয়ে কর্ম সম্পাদন করা এবং “একদেশদর্শিতা, ভীতি, উদগ্র কামনা, নিজের অথবা একটি গোষ্ঠীর বা একটি দলের পক্ষপাতিত্ব, আত্মদুঃখকাতরতা, নিজের অতিরঞ্জন অথবা যেকোন ধরনের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়াশীলতা” প্রভৃতিকে বর্জন করে ‘বৈরাগ্য, নিরাসক্তি’র পথে চলা।<ref name=":1" /> ভারতীয় ধর্মকেন্দ্রিক ধর্মীয় পাঠের অধ্যাপক হ্যারল্ড কাওয়ার্ড বলেন, একজন কর্ম যোগী “গৃহকর্মী, মাতা, পরিষেবিকা বা নার্স, ছুতোর অথবা জঞ্জাল সংগ্রাহক হিসেবে নিজের খ্যাতি, সুবিধা অথবা আর্থিক পুরস্কারের কথা না ভেবে, শুধু ঈশ্বরের কাছে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে” কাজ করতে পারে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Harold G. Coward (2012). Perfectibility of Human Nature in Eastern and Western Thought, The. State University of New York Press. pp. 132–133. ISBN 978-0-7914-7885-1.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref>
 
ফিলিপসের মতে, কর্ম যোগ “যেকোন পেশায় অথবা পারিবারিক ক্ষেত্রে যেকোন কাজে” প্রয়োগ করা যেতে পারে, যেখানে যোগী নিঃস্বার্থভাবে অন্যের উপকারের জন্য কাজ করে যান। যোগের অন্যান্য প্রকারগুলির সাথে কর্ম যোগের পার্থক্য এখানেই যে অন্যান্য যোগে কেবল বিচ্ছিন্নভাবে এবং ধ্যানমগ্ন অবস্থায় আত্মোন্নতি এবং আত্মোপলব্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়। ফিলিপ বলেন, “নিরাসক্ত কর্মের” ধারণাটি কেবলমাত্র হিন্দুধর্মেই নেই, এবং বৌদ্ধ ও জৈনধর্মের সাধু ও সাধ্বীদের মধ্যেও একইধরনের নিরাসক্ত, নির্লিপ্ততার কথা পাওয়া যায়।