ভাষাবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shebu Islam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Shebu Islam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন:
{{ভাষাবিজ্ঞান}}
 
'''ভাষাবিজ্ঞান''' ([[ইংরেজি]]: Linguistics) বলতে একটি সংশ্রয় (system) হিসেবে [[ভাষা|ভাষার]] প্রকৃতি, গঠন, ঔপাদানিক একক ও এর যে কোনো ধরনের পরিবর্তন নিয়ে [[বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি|বৈজ্ঞানিক]] গবেষণাকে বোঝায়। <ref>{{Cite book|title=On Language and Linguistics|first=Michael A.K.|last=Halliday|authorlink=Michael Halliday|author2=Jonathan Webster|publisher=Continuum International Publishing Group|year=2006|isbn=0-8264-8824-2|page=vii}}</ref><ref>{{cite book|title=Elements of General Linguistics|last=Martinet|first=André|authorlink=André Martinet|others=Tr. Elisabeth Palmer Rubbert (Studies in General Linguistics, vol. i.)|location=London|publisher=Faber|year=1960|page=15}}</ref> যারা এ বিষয়ে গবেষণা করেন তাঁদেরকে [[ভাষাবিজ্ঞানী তালিকা|ভাষাবিজ্ঞানী]] বলা হয়।
 
ভাষাবিজ্ঞানীরা নৈর্ব্যক্তিক বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষাকে বিশ্লেষণ ও বর্ণনা করেন; ভাষার সঠিক ব্যবহারের কঠোর বিধিবিধান প্রণয়ন তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাঁরা বিভিন্ন ভাষার মধ্যে তুলনা করে এদের সাধারণ উপাদান এবং অন্তর্নিহিত সূত্রগুলি নিরূপণের চেষ্টা করেন এবং এগুলিকে এমন একটি তাত্ত্বিক কাঠামোয় দাঁড় করাতে চেষ্টা করেন যে-কাঠামো সমস্ত ভাষার পরিচয় দিতে সক্ষম এবং ভাষাতে কোন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই, সে ব্যাপারেও ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম।
 
ভাষাসমূহের বৈজ্ঞানিক বিবরণ ছাড়াও এগুলির উৎপত্তি কীভাবে হয়, শিশুরা কীভাবে ভাষা অর্জন করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা কীভাবে মাতৃভাষা ব্যতীত অন্য নতুন [[ভাষা]] শেখে, সেগুলিও ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। আবার ভাষাসমূহের নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক এবং সময়ের সাথে সাথে এগুলির পরিবর্তন নিয়েও এই শাস্ত্রে অধ্যয়ন করা হয়। কোনও কোনও [[ভাষাবিজ্ঞানী]] ভাষাকে একটি মানসিক প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করেন এবং ভাষা উৎপাদন ও উপলব্ধি করার যে বিশ্বজনীন মানবিক ক্ষমতা, সেটির একটি তত্ত্ব দাঁড় করাতে চেষ্টা করেন। আবার অন্যান্য কিছু ভাষাবিজ্ঞানী সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ভাষাকে দেখেন এবং মানুষের কথা বলার ভঙ্গি পর্যবেক্ষণ করে বোঝার চেষ্টা করেন মানুষ কীভাবে পরিবেশভেদে কর্মস্থলে, বন্ধুদের সাথে বা পরিবারের সদস্যদের সাথে যথাযথভাবে একই ভাষার বিভিন্ন রূপ প্রয়োগ করে। আবার কিছু ভাষাবিজ্ঞানী ভিন্ন ভিন্ন ভাষার [[মানুষ]] একসাথে হলে কী ঘটে, তা নিয়ে [[গবেষণা]] করেন। এছাড়া [[ভাষা শিক্ষণ]] ও শিখনের ব্যাপারেও তারা তত্ত্ব দিতে পারেন।
 
ভাষা নিয়ে গবেষণা একটি অতি প্রাচীন শাস্ত্র হলেও কেবল উনিশ শতকে এসেই এটি বিজ্ঞানভিত্তিক "ভাষাবিজ্ঞান" নামীয় শাস্ত্রের রূপ নেয়। ভাষাবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক দিক ও ব্যবহারিক দিক দুই-ই বিদ্যমান। তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানে ভাষার ধ্বনিসম্ভার ([[ধ্বনিতত্ত্ব]] ও [[ধ্বনিবিজ্ঞান]]), ব্যাকরণ ([[বাক্যতত্ত্ব]] ও [[রূপমূলতত্ত্ব]]) এবং শব্দার্থ ([[অর্থবিজ্ঞান]]) নিয়ে আলোচনা করা হয়। ব্যবহারিক ভাষাবিজ্ঞানে অনুবাদ, ভাষা শিক্ষণ, বাক-রোগ নির্ণয় ও বাক-চিকিৎসা, ইত্যাদি আলোচিত হয়। এছাড়া ভাষাবিজ্ঞান জ্ঞানের অন্যান্য শাখার সাথে মিলে [[সমাজভাষাবিজ্ঞান]], [[মনোভাষাবিজ্ঞান]], [[গণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান]] ইত্যাদির জন্ম দিয়েছে।