ব্রিটিশ রাজের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
৯৮ নং লাইন:
[[File:Brit IndianEmpireReligions3.jpg|left|thumb|১৯০৯ সালের ভারতের নিয়ন্ত্রক ধর্ম, ১৯০৯ সালের ব্রিটিশ ভারত সাম্রাজ্যের মানচিত্র যেখানে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন এলাকাতে সংখ্যাগুরু নিয়ন্ত্রক ধর্মমত অনুসরণকারী জনসংখ্যা।]]
 
জানুয়ারি ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে সশস্ত্র বাহিনীতে কয়েকটি বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। এটা রয়্যাল এয়ারফোর্সের কর্মীদের থেকে শুরু হয় যারা তাদের ধীরে ব্রিটেনে ফেরৎ পাঠানোতে হতাশ হয়ে পড়েছিল।<ref name=judd-mutiny>{{Harv|Judd|2004|pp=172–173}}</ref> ফেব্রুয়ারী ১৯৪৬ এ বম্বেতে রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে বিদ্রোহ শুরু হয়। এর পর তা শুরু হয় কলকাতা, মাদ্রাজ এবং করাচিতে। যদিও এই বিদ্রোহগুলি তাড়াতাড়ি দমন করা হয়েছিল, এগুলি ভারতে প্রচুর জনসমর্থন পায় এবং ব্রিটেন নতুন লেবার সরকারকে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে এবং ভারতে একটি ক্যাবিনেট মিশন পাঠানো হয় যার নেতৃত্বে ছিলেন রাষ্ট্র সচিব লর্ড পেথিক লরেন্স এবং এই মিশনে ছিলেন স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস, যিনি চার বছর আগেও ভারতে এসেছিলেন।<ref name=judd-mutiny/>
১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে ভারতে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হয় যাতে কংগ্রেস এগারোটি প্রদেশের মধ্যে আটটি প্রদেশে জয়লাভ করে।<ref>{{Harv|Judd|2004|p=172}}</ref> কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের মধ্যে আলোচনা ভারত ভাগের বিষয়কে কেন্দ্র করে হোঁচট খায়। জিন্না ১৬ই আগস্ট ১৯৪৬ দিনটিকে ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে বলে ঘোষনা করেন, যার লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে মুসলমান স্বভূমির গঠনের দাবিকে তুলে আনা। এর পর দিন হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা কলকাতাতে শুরু হয় এবং তারপর তা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। ভারত সরকার এবং কংগ্রেস দুই পক্ষের কাছেই এই ঘটনা একটা ধাক্কা ছিল। সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জওহরলাল নেহরু ছিলেন এই সংযুক্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
 
এই বছরের পরের দিকে ব্রিটেনে লেবার সরকার, যার কোষাগার সম্প্রতি শেষ হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল, ভারতে ব্রিটিশ শাসন সমাপ্ত করবার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে ব্রিটেন জুন ১৯৪৮ এর আগে ক্ষমতা হস্তান্তরের ইচ্ছার কথা ঘোষনা করে।
১০৫ নং লাইন:
স্বাধীনতা নিকটবর্তী হতে, পাঞ্জাব এবং বাংলা প্রদেশগুলিতে হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা অবিশ্রান্তভাবে চলতে থাকে। ব্রিটিশ সেনা বর্ধিত হিংসার জন্য তৈরি ছিল না। নতুন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখ এগিয়ে আনেন। এর ফলে স্বাধীনতার জন্য পারস্পরিক সম্মতিতে পরিকল্পনার জন্য ছয় মাসেরও কম সময় পাওয়া যায়। জুন ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয়তা বাদী নেতারা ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করার বিষয়ে রাজি হন। এঁদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসাবে নেহরু এবং আবুল কালাম আজাদ, মুসলিম লিগের প্রতিনিধি হিসাবে জিন্না, দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে বি. আর. আম্বেদকর, শিখদের প্রতিনিধি হিসাবে মাস্টার তারা সিং। প্রধানত হিন্দু এবং শিখ এলাকাগুলি ভারতে দেওয়া হয় এবং মুসলমান এলাকাগুলি যায় পাকিস্তানে। এই পরিকল্পনাটিতে মুসলমান-সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলি পাঞ্জাব এবং বাংলার বিভাজন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
 
বহু লক্ষ মুসলমান, শিখ এবং হিন্দু উদ্বাস্তুরা নতুন সীমানা ধরে হাঁটতে থাকে। পাঞ্জাবে নতুন সীমারেখা টানা হয়েছিল যা শিখ অঞ্চলকে আধাআধি বিভক্ত করে দিয়েছিল। সেখানে ব্যাপক রক্তপাত শুরু হয়। বাংলা এবং বিহারে গান্ধীর উপস্থিতি সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে প্রশমিত করেছিল। এখানে হিংসা ছিল সীমিত। সব মিলিয়ে নতুন সীমানার দুই পারের ২,৫০,০০০ থেকে ৫,০০,০০০ এর মধ্যবর্তী মানুষ হিংসায় মারা যায়।<ref>{{Harv|Khosla|2001|p=299}}</ref> ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য সৃষ্টি হয়। মহম্মদ আলি জিন্না এর প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসাবে করাচিতে শপথ গ্রহন করেন। এর পরদিন ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত, যা এখন ছিল একটি ছোট ভারতীয় ইউনিয়ন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়। যার সরকারী সমারোহ অনুষ্ঠান পালিত হয় দিল্লিতে। জওহরলাল নেহরু ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহন করেন এবং ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন এর প্রথম গভর্নর জেনারেল হন।
 
==তথ্যসূত্র==