ব্রিটিশ রাজের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
৪৪ নং লাইন:
এর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে ইউরোপ এবং মেসোপটেমিয়ায় ভারতের বেশিরভাগ ব্রিটিশ সেনার পুর্ননিয়োগের ফলে পূর্ববর্তী জয় এসেছিল। লর্ড হার্ডিং এর ফলে "ভারত থেকে সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার ঝুঁকি" সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিপ্লবী সহিংসতা ইতিমধ্যেই ব্রিটিশ ভারতে একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছিল। ফলস্বরূপ ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে বর্দ্ধিত দুর্বলতার সময় নিজের ক্ষমতা আরো জোরদার করার জন্য ভারত সরকার ডিফেন্স অফ ইন্ডিয়া আইন জারি করে। যা সরকারকে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই রাজনৈতিকভাবে বিপজ্জনক বিরোধীদের বন্দী করার ক্ষমতা দেয় এবং ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দের প্রেস আইন অনুযায়ী যা ক্ষমতা ছিল তাকে আরো জোরালো করা হয়। যার মধ্যে ছিল সাংবাদিকদের কারারুদ্ধ করা এবং সংবাদমাধ্যমকে সেন্সর করা। এখন সাংবিধানিক সংস্কারের বিষয়টি আন্তরিকভাবে আলোচনা করা শুরু হয়। ব্রিটিশ সরকার বিবেচনা করতে শুরু করে কিভাবে নরমপন্থী ভারতীয়দের সাংবিধানিক রাজনীতির মধ্যে আনা যায় এবং একই সাথে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত সাংবিধানিকদের হাত শক্তিশালী করা যায়। যদিও সংস্কার পরিকল্পনাটি এমন একটি সময়ে নেওয়া হয়েছিল যখন চরমপন্থী সহিংসতা যুদ্ধকালীন সরকারের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রনের ফলে হ্রাস পেয়েছিল। এখন বিপ্লবী সহিংসতা পুনরুজ্জীবনের আশঙ্কায় সরকার বিবেচনা করতে লাগল কিভাবে যুদ্ধকালীন ক্ষমতাগুলি শান্তির সময়েও টিঁকিয়ে রাখা যেতে পারে।
 
[[File:Montagu left.jpg|left|thumb|ভারতের রাষ্ট্র সচিব এডউইন মন্টাগু, বামদিকে, যাঁর দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে ১৯১৯ সালের ভারত সরকার আইন চালু হয়। এটিকে মন্টফোর্ড সংস্কার বা মন্টাগু-চেমসফোর্ড সংস্কার বলেও অভিহিত করা হয়।]]
[[File:Montagu left.jpg|left|thumb|[[Edwin Montagu]], left, the [[Secretary of State for India]], whose report led to the [[Government of India Act 1919]], also known as the Montford Reforms or the Montagu-Chelmsford Reforms.]]
সুতরাং ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে যদিও এডউইন মন্টেগু নতুন সাংবিধানিক সংস্কারের ঘোষনা করেছিলেন, একটি রাষ্ট্রদ্রোহ বিষয়ক পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতে যুদ্ধকালীন সময়ে বিপ্লবী ষড়যন্ত্র এবং হিংসাত্মক কার্যকলাপের সাথে জার্মান এবং বলশেভিক যোগাযোগ তদন্ত করে দেখতে। এই পরিষদের সভাপতি ছিলেন একজন ব্রিটিশ বিচারপতি মিস্টার এস. এ. টি. রাওলাট। এই পরিষদের অলিখিত লক্ষ্য ছিল সরকারের যুদ্ধকালীন ক্ষমতাগুলিকে পরবর্তী সময়ে বাড়িয়ে নেওয়া। রাওলাট পরিষদ তার বিবৃতি পেশ করে ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে এবং ষড়যন্ত্রমূলক বিদ্রোহের তিনটি অঞ্চল চিহ্নিত করে: বাংলা, বম্বে প্রেসিডেন্সি এবং পাঞ্জাব। এই অঞ্চলগুলিতে বিধ্বংসী কার্যকলাপের মোকাবিলা করার জন্য রাওলাট পরিষদ সুপারিশ করে যে সরকার তার জরুরি ক্ষমতাগুলিকে যুদ্ধকালীন সময়ের মত ব্যবহার করবে। এর মধ্যে ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাগুলির জুরি ছাড়া তিনজন বিচারপতির প্যানেলের মাধ্যমে বিচারের ক্ষমতা, সন্দেহভাজনদের থেকে বলপূর্বক জমানত আদায়, সরকার কর্তৃক সন্দেহভাজনদের বাসস্থানের উপর নজরদারী এবং প্রাদেশিক সরকারগুলির জন্য সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার ও বিনা বিচারে স্বল্পমেয়াদী কারাগারে আটক রাখার ক্ষমতা।