হাস্যরস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SUBRATO SARKER (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে/২০১৮}}
 
'''রসবোধ''' হচ্ছে বিশেষ জ্ঞান সম্বন্ধীয় অভিজ্ঞতার প্রবণতা যেটা হাসির উদ্রেক করে এবং আনন্দ দেয়। এই শব্দটি প্রাচিন গ্রিক রসবোধের ঔষধ (humoral medicine) থেকে এসেছে যেটা শিখিয়েছিল যে মানুষের শরীরের তরলের সমতা, যেটা জীবদেহনি:সৃত রস নামে পরিচিত(ল্যাতিনঃ ''humor''), মানুষের স্বাস্থ্য এবং অনুভুতি নিয়ন্ত্রন করে।
 
সকল বয়স এবং সংস্কৃতির মানুষের মাঝেই রসবোধ আছে। বেশিরভাগ মানুষ রসবোধ অনুভব করতে পারে -- আনন্দিত হয়, মজাদার কিছুতে মৃদু অথবা অট্টহাসি হাসে -- এবং সেজন্য তাদের ''রসবোধ'' আছে বলে মনে করা হয়। যে যুক্তিবাদী মানুষটার রসবোধ নেই সে এসব আচরণকে অনির্বচনীয়, অদ্ভুত এমনকি অসঙ্গতও মনে করতে পারে। যদিও শেষতক ব্যক্তিগত পছন্দ দ্বারাই রসবোধ নির্ধারিত হয়, একজন ব্যক্তি কোনও কিছুতে কতটুকু রস খুঁজে পায় তা নির্ভর করে কয়েকটি উপাদানের উপর যার মধ্যে আছে ভৌগোলিক অবস্থান, সংস্কৃতি, মানসিক পরিপক্কতা, শিক্ষার স্তর, বুদ্ধি এবং ঘটনার প্রসঙ্গ। উদাহরণস্বরূপ, ছোট ছেলেমেয়েরা পাঞ্চ অ্যান্ড জুদি পুতুল নাচ অথবা টম অ্যান্ড জেরি রঙ্গচিত্র এর মত চরকিবাজি দেখে আনন্দ পেতে পারে যাদের শারীরিক প্রকৃতি তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য। অপরপক্ষে, ব্যঙ্গধর্মী রচনার মত অধিক বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন রসবোধের জন্য প্রয়োজন তার সামাজিক অর্থ এবং ঘটনার বোধশক্তি, এবং সেজন্য অধিক মানসিক পরিপক্ক শ্রোতাদের তা আকৃষ্ট করে।
৮ নং লাইন:
প্রকৃত প্রবন্ধঃ [https://en.wikipedia.org/wiki/Theories_of_humor ''Theories of humor'']
 
রসবোধের সামাজিক ক্রিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। রসবোধের অস্তিত্বের কারন খোঁজা সম্পর্কে প্রভাবশালী মতবাদগুলোর মধ্যে রয়েছে মনোবিদ্যাগত মতবাদ, যার বেশিরভাগটা মনে করে রসবোধ-প্রবৃত্ত ব্যবহার অনেক স্বাস্থ্যকর; আধ্যাত্মিক মতবাদ, যেখানে রসবোধকে সৃষ্টিকর্তা থেকে পাওয়া উপহার হিসেবে বিবেচনা করতে পারে; এবং সেসব মতবাদ যেগুলো ঠিক একটি রহস্যময় অভিজ্ঞতার মত রসবোধকে একটা ব্যাখ্যাতীত রহস্য বলে মনে করে ।
 
পিটার ম্যাকগ্রো এর দেয়া ক্ষতিকর-লঙ্ঘন মতবাদ রসবোধের অস্তিত্ব ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করে। মতবাদটি বলে "রসবোধের উৎপত্তি তখনি হয় যখন মনে হয় কোনোকিছু নিয়মবিরুদ্ধ, বিচলিত অথবা হুমকিস্বরূপ, কিন্তু একই সাথে সঠিক, গ্রহণযোগ্য এবং নিরাপদ"। সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার মত অপ্রতিভ, অস্বস্তিকর অথবা অস্বচ্ছন্দ অনুভূতি দূর করার মাধ্যমে রসবোধকে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় খুব সহজেই যুক্ত করার একটি পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
 
অন্য অনেকেই বিশ্বাস করে "রসবোধের যথাযথ ব্যবহার সামাজিক মিথস্ক্রিয়া সহজতর করে"।
 
==দর্শন সমূহ==
কিছু ব্যক্তি দাবি করে যে রসবোধকে ব্যাখ্যা করা যায়না অথবা একে ব্যাখ্যা করা উচিত না। গ্রন্থকার ই.বি.হোয়াইট ([https://en.wikipedia.org/wiki/E._B._White E.B.White]) একবার বলেছিলেন, "রসবোধকে একটি ব্যাঙের মতই ব্যবচ্ছেদ করে বিশ্লেষণ করা যায়, কিন্তু জিনিসটা এই প্রক্রিয়ায় মারা যায় এবং ভিতরের অন্ত্রাদি বিশুদ্ধ বৈজ্ঞানিক মন ছাড়া আর সকলের মনোভঙ্গের কারন হয়"। এই যুক্তির বিপরীতে বলা যায়, "আপত্তিকর" কার্টুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ক্ষুব্ধ ব্যক্তি এবং জনগোষ্ঠী দ্বারা রসবোধের বিশ্লেষণ কিংবা অভাবকে আহ্বান করে। রসবোধের এই বিশ্লেষণ রসবোধকে দূর করে না কিন্তু তার রাজনৈতিক এবং অধিকৃত সার্বজনীনতার প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে।
 
আরথার শপেনহাউয়ার কৌতুকপ্রদ কোনও কিছুকেই ''রসবোধে''র(একটা ইংরেজি থেকে জার্মান ঋণশব্দ) সাথে তুলনা করা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। যাহোক, বিষয়টির তত্ত্বীয় বর্ণনার ক্ষেত্রে রসবোধ এবং কৌতুক প্রায় সমার্থক ব্যবহার করা হয়। প্রতিক্রিয়া এবং উদ্দীপক বস্তুর মাঝে যে সম্পর্ক সেটাই কৌতুকের বিপরীত, রসবোধের জাত্যর্থে বলা যায়। এছাড়াও,
রসবোধ কোনও ব্যক্তির হাস্যকরতা এবং উপস্থিত বুদ্ধির একটি সংমিশ্রণ বলে মনে করা হয়; যার একটি দৃষ্টান্ত শেক্সপীয়ারের স্যার জন ফালস্টাফ। ফরাসিরা অনেক ধিরে রসবোধের ধারণাটি গ্রহণ করে। এখনও ফরাসিতে মেজাজ(humeur) এবং মানসিক অবস্থা(humour) দুটি ভিন্ন শব্দ, পরেরটি কোনও ব্যক্তির মেজাজ অথবা রসবোধের প্রাচীন চারটি ধারণাকে নির্দেশ করে।
 
অ-ব্যঙ্গাত্মক হাস্যরসকে নির্দিষ্টভাবে মাতাল হাসি অথবা বিনোদনমূলক রঙ্গ বলা যায়।
 
==সামাজিক নিয়ামকসমূহ==
২৭ নং লাইন:
 
;প্রাচীন গ্রীস
পশ্চিমা রসবোধ মতবাদ প্লেটোর মাধ্যমে শুরু হয় যিনি সক্রেটিসের ফিলেবাসে আলোকপাত করেন যে দুর্বলরা হাস্যকর জিনিসের মর্মার্থ বুঝতে অজ্ঞ এবং সেজন্য যখন তাদের উপহসিত করা হয় তারা পাল্টা কোনও কিছু করতে পারে না। পরবর্তীতে, গ্রীক দর্শনে, পয়েটিক গ্রন্থে অ্যারিস্টট্ল প্রস্তাব করেন যে বিরক্তির উদ্রেক করে না এমন কদর্য হচ্ছে রসবোধের মৌলিক জিনিস।
 
;ভারত
৩৪ নং লাইন:
;আরবি এবং ফারসি সংস্কৃতি
 
মধ্যযুগীয় ইসলামী পৃথিবীতে অ্যারিস্টট্লের পয়েতিক আরবিতে অনুবাদের পর কৌতুক এবং ব্যঙ্গ শব্দদুটো সমার্থক হয়ে যায়, যেটা আরব্য লেখক ও আবু বিস্কার, তার শিষ্য আল-ফারাবি, পারস্যের আভিসিনা এবং আভেরসের মত ইসলামী দার্শনিকের দারা সম্প্রসারিত হয়। সংস্কৃতির পার্থক্যের কারনে তারা গ্রীকদের নাটকীয় বর্ণনা থেকে কৌতুককে পৃথক করে এবং তার বদলে তারা একে হিজার (ব্যঙ্গাত্মক কবিতা) মত আরব্য কবিতার বিষয় এবং গঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। তারা কৌতুককে কেবল একটি "প্রতারণার শিল্প" হিসেবে দেখত এবং চিরায়ত গ্রীক কৌতুকের হালকা এবং আনন্দদায়ক ঘটনা অথবা কষ্টকর শুরু এবং শুভ সমাপ্তির সাথে কোনো যোগসূত্র রাখে নি। ১২শ শতকে ল্যাতিন অনুবাদের পর মধ্যযুগীয় সাহিত্যে কৌতুক শব্দটি নতুন শব্দার্থিক অর্থ লাভ করে।
 
;ক্যারিবীয়
৪৮ নং লাইন:
 
আধুনিক চীনা রসবোধ শুধুমাত্র আদিবাসী ঐতিহ্য দ্বারাই প্রভাবিত হয়নি বরং মুদ্রণ সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, টিভি এবং ইন্টারনেট থেকে আসা বিদেশী হাস্যরস দ্বারাও প্রভাবিত হয়েছে।
১৯৩০ সালে যখন "ইউমো"(humor) কে হাস্যরসের নতুন বর্ণান্তর হিসেবে ধরা হয় তখন রম্য সাহিত্যে একটি আকর্ষণীয় উম্মাদনার সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি চীনের মত একটি আংশিক বিদেশী পেশায় থাকা গরিব এবং দুর্বল দেশে কি ধরনের কৌতুকপূর্ণ চেতনা সবচেয়ে উপযুক্ত তা নিয়ে আবেগপূর্ণ বিতর্কের সূচনা হয়। মাও যেদং এর শাসনামলে কিছু ধরনের কৌতুক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেলেও হাস্যরসের প্রতি রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল মূলত দমনমূলক। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আক্রমণাত্মক বিবাচন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও ১৯৮০ সালের সামাজিক উদারীকরণ, ১৯৯০ সালের সাংস্কৃতিক বাজারের বাণিজ্যিকিকরন এবং ইন্টারনেটের আগমন প্রত্যেকেই সাম্প্রতিক দশকে চীনে নতুন ধরণের হাস্যরস প্রচলনে সহায়তা করেছে।
 
;সামাজিক পরিবর্তনের রূপরেখা
 
হাস্যরসের সামাজিক পরিবর্তনের রূপ এই অনুমান করে যে শারীরিক আকর্ষণীয়তার মতো কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য রসবোধের উপর প্রভাব ফেলে। এই তত্ত্বটি রম্যলেখক, একজন শ্রোতা এবং বিষয়বস্তুর হাস্যরসের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এই নির্দিষ্ট তত্ত্বের সাথে যে দুটি পরিবর্তন জড়িত তাহলো হাস্যরসের বিষয়বস্তু এবং হাস্যকর ব্যক্তি সম্পর্কে শ্রোতাদের উপলব্ধির পরিবর্তন, যেকারনে হাস্যকর ব্যক্তি এবং শ্রোতাদের মাঝে একটি সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সামাজিক পরিবর্তনের রূপটি রসবোধকে অভিযোজিত হিসেবে বিবেচনা করে কারন এটা বর্তমান অবস্থাকে হাস্যকর করার সাথে সাথে এই বার্তা দেয় যে তার পরবর্তী ইচ্ছাও হবে হাস্যরস দেয়া। আত্মসমালোচনামূলক হাস্যরসে এই তত্ত্ব সুচিন্তিতভাবে ব্যবহার করা হয় যেখানে একজন অন্য আরেকজনের সামাজিক গোষ্ঠীর মাঝে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। যদিও অন্যের সহানুভূতি অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে আত্মসমালোচনামূলক হাস্যরস হচ্ছে দুর্বলতা এবং ভুলের পরিচায়ক তবুও এই তত্ত্ব থেকে এটা বলা যায় যে অন্য নিয়ামকগুলো অনুকূলে থাকলে এই ধরণের রসবোধ রম্যলেখকের প্রতি আবেগপ্রবন আকর্ষণ বাড়িয়ে দিতে পারে। যেখানে হাস্যরস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান সম্বন্ধীয় ক্ষমতার উন্নতি করা হয় সেখানে শিক্ষা ও পাঠদানের সময় সামাজিক পরিবর্তনের এই রূপটি ব্যবহার করা যেতে পারে। রসবোধ একটি অনুকূল এবং ঘরোয়া শ্রেণীকক্ষ পরিবেশ তৈরি করতে পারে যা শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং স্বতঃস্ফূর্তটায় উৎসাহী করে।
 
;শারীরিক আকর্ষণীয়তা