ব্রিটিশ রাজের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান)
৬৭ নং লাইন:
==ভারত সরকার আইন (১৯৩৫)==
১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে গোলটেবিল বৈঠকের ব্যর্থতার পরে ব্রিটিশ সংসদ ভারত সরকার আইন ১৯৩৫ অনুমোদন করে, যা ব্রিটিশ ভারতে সমস্ত প্রদেশে স্বাধীন আইন পরিষদ স্থাপন অনুমোদন করে, একটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে যার মধ্যে ব্রিটিশ প্রদেশ এবং দেশীয় রাজ্যগুলি থাকবে এবং মুসলমান সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। স্বাধীন ভারতের ভবিষ্যত সংবিধান এই আইন থেকে অনেকটাই ধার নিয়েছিল। এই আইনটির মাধ্যমে একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ এবং একটি কার্যনির্বাহী শাখা গঠন করা হয় যা ব্রিটিশ সরকারের আওতায় থাকবে। যদিও জাতীয় সঙ্ঘ কখনই তৈরি হয়নি, প্রাদেশিক পরিষদগুলির জন্য দেশব্যাপী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩৭ সালে। প্রাথমিকভাব দ্বিধায় থাকা সত্ত্বেও, কংগ্রেস নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং ব্রিটিশ ভারতের এগারোটি প্রদেশের সাতটি প্রদেশে জয়লাভ করে। এবং এই প্রদেশগুলিতে যথেষ্ট শক্তির সাথে কংগ্রেস সরকার গঠন করে। গ্রেট ব্রিটেনে, এই জয়গুলি পরবর্তীকালে ভারতের স্বাধীনতার ধারণাটির পক্ষে জোয়ার আনে।
 
==দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ==
জাপান ও জার্মানির বিরূদ্ধে মিত্রশক্তির সম্মিলিত যুদ্ধ প্রচেষ্টাতে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। ভারত থেকে কুড়ি লক্ষ সৈন্য মধ্যপ্রাচ্যের বহু যুদ্ধে, ভারত ও বার্মা সীমান্তে লড়াই করে। এছাড়াও ভারত বহু কোটি পাউন্ড ব্রিটিশ যুদ্ধ প্রচেষ্টার জন্য দিয়েছিল। ভারতের মুসলমান এবং শিখ জনগন ব্রিটিশদের যুদ্ধ প্রচেষ্টার শক্তিশালী সমর্থক ছিল। কিন্তু হিন্দু জনসংখ্যার মতামত এ বিষয়ে বিভক্ত ছিল। কংগ্রেস যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল এবং হাজার হাজার কংগ্রেস নেতাদের ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কারারুদ্ধ করা হয়। পূর্ব ভারতে একটি প্রধান দুর্ভিক্ষের ফলে অনাহারে লক্ষ লক্ষ লোক মারা গিয়েছিল। চার্চিলের জরুরী খাদ্য ত্রাণ প্রদান অনিচ্ছার কারনে দুর্ভিক্ষটি খুবই বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
 
==তথ্যসূত্র==