বঙ্গাব্দ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jatak (আলোচনা | অবদান)
Jatak (আলোচনা | অবদান)
৫৩ নং লাইন:
ভারতের পশ্চিম বঙ্গ সৌরপঞ্জি নির্ভর সিডেরিয়েল বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে থাকে । এই বর্ষপঞ্জির মাসগুলো নির্ধারিত হয় সূর্যের প্রকৃত আবর্তনকে ভিত্তি করে । এই বর্ষপঞ্জিতে বর্ষ সংখ্যা হতে সাত বিয়োজন করে তা ৩৯ দিয়ে ভাগ করতে হয় । যদি ভাগশেষ শূন্য হয় বা ৪ দিয়ে বিভাজ্য হয় তাহলে সে বর্ষটিকে অধিবর্ষ হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং ৩৬৬ দিনের এই বর্ষের চৈত্র মাস ৩১ দিনের হয় । প্রতি ৩৭ বছরে ১০ টি অধিবর্ষ হয় ।
==ব্যবহার==
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ঋতু বৈচিত্রকে ধারন করবার কারণে বাংলা সনের জনপ্রিয়তা এসেছে । দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পূর্বাঞ্চলের জলবায়ুকে ষঢ়ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে । এগুলো হচ্ছে [[বসন্ত]], [[গ্রীষ্ম]], [[হেমন্ত]] এবং [[শীত]] ঋতুর সাথে [[বর্ষা ]]ও [[শরৎ]] ঋতু । বাংলা সনের মাসগুলোর উপর ভিত্তি করেই এই ঋতু বিভাজন করা হয়েছে ।
বাঙালী সংস্কুতিতে বাংলা সনের ব্যবহার এখন আর পূর্বের পর্যায়ে নেই । নাগরিক জীবন যাপনের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় এর ব্যবহার এখন কেবল কৃষিজীবীদের মধ্যেই সীমাবব্ধ হয়ে পড়েছে । কৃষিজীবীরা এখনো বীজতলা তৈরী, বীজ বপন, ফসলের যত্ন, ফসল তোলা ইত্যাদি যাবতীয় কাজে বাংলা মাসের ব্যাপক ব্যবহার করেন ।
 
ব্যবসায় ব্যবস্থায় পূর্বের সেই বাংলা সন ভিত্তিক হিসাব ব্যবস্থা এখন গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি নির্ভর হয়ে পড়েছে । যার ফলে ব্যবসায়ের হিসাবের খাতা এখন রাষ্ট্রের আইনে যাকে সহজভাবে গ্রহণ করে সে পদ্ধতিতে রাখা হয় । ষাট বা সত্তুর দশকেও যে হালখাতা দেখা যেতো উৎসবের মতো করে, তা দিনে দিনে ফিকে হতে হতে প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে ।
 
ধর্মীয় ক্ষেত্রে বাংলায় (বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গ) [[পূজা]] এখনো বাংলা বর্ষপঞ্জি নির্ভর ।
 
সামজিক ব্যবস্থায় মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলো, যেমন [[বিয়ে]], [[গৃহপ্রবেশ]], [[অন্নপ্রাশন]], [[সাধভক্ষণ]], [[জামাই ষষ্ঠী]], [[ভাই ফোঁটা]] ইত্যাদি অনুষ্ঠানের দিন নির্বাচনে বাংলা মাসের দিনকেই গুরুত্ব দেয় ।
উৎসব পার্বন যেমন [[পৌষ সংক্রান্তি]], [[চৈত্র সংক্রান্তি]] এগুলোও বাংলা মাস নির্ভর ।
 
উৎসব পার্বন যেমন [[পৌষ সংক্রান্তি]], [[চৈত্র সংক্রান্তি]] এগুলোও বাংলা মাস নির্ভর ।
শহুরে মানুষরা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সাম্প্রতিক কালে পহেলা বৈশাখকে একটি সার্বজনীন ধর্মনিরপেক্ষ উৎসবের রূপ দিতে সচেষ্ট এবং অনেকখানি সফলও বলা যায় । পারস্যের [[নওরোজ| নওরোজের]] মতো বাংলা নববর্ষও সার্বজনীন উৎসবের মর্যাদায় এগিয়ে যাচ্ছে ।
 
==সহযোগী বর্ষপঞ্জী==
বাংলা সন ওতপ্রোতভাবে হিন্দু সৌর পঞ্জিকার সাথে সম্পর্কিত যেটা আবার সূর্য সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল । হিন্দু সৌর পঞ্জিও শুরু হয় মধ্য এপ্রিলে । বাংলাদেশ এবং পশ্চিম বঙ্গের বাইরে [[আসাম]], [[কেরালা]],[[ মনিপুর]], [[নেপাল]], [[উড়িষ্যা]], [[পাঞ্জাব]], [[তামিলনাড়ু]] এবং [[ত্রিপুরায়]] এই বর্ষপঞ্জির প্রথম দিনকেই নতুন বর্ষের শুরু হিসেবে উদযাপন করা হয় । নববর্ষ আবার “[[মেসা সংক্রান্তি]]” হিসেবেও পরিচিত ।