হাস্যরস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SUBRATO SARKER (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
SUBRATO SARKER (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৬৬ নং লাইন:
 
#সম্মিলিত শৈলী হাস্যরস। এই প্রকারের হাস্যরসসম্পন্ন ব্যক্তিদের কৌতুককে সম্পর্কযুক্ত সম্পর্ক, অপরকে অভিভূত করা এবং দুশ্চিন্তা কমানোর একটা মাধ্যম হিসেবে নেয়ার প্রবণতা থাকে।
#স্ব-উন্নত শৈলী হাস্যরস। এই প্রকারের মানুষেরা জীবনকে একটি হাস্যময় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে থাকে। স্ব-উন্নত হাস্যরসের মানুষেরা হাস্যরসকে দুশ্চিন্তা কমানোর একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করে।
#স্ব-উন্নত শৈলী হাস্যরস।
#আক্রমণাত্মক হাস্যরস। মজা পাওয়ার জন্য বর্ণবাদী কৌতুক, ব্যঙ্গ এবং অপরকে হেয় করা। এই ধরণের হাস্যরস সেইসব মানুষ ব্যবহার করে যারা যারা তাদের কৌতুকের পরিনাম সম্পর্কে চিন্তা করে না এবং প্রধানত শ্রোতার বিনোদনের দিকেই নজর দেয়।
#আত্ত্ব-হেয়মূলক হাস্যরস। এই ধরণের হাস্যরসের মানুষেরা আত্ত্ব-হেয়মূলক কৌতুকের মাধ্যমে অপরকে আনন্দ দিতে সচেষ্ট থাকে এবং যখন উপহাসিত হয় তখন সবার সাথে তারাও হাসিতে যোগ দেয়। ধারণা করা হয় যে, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যম হিসেবে মানুষ এই ধরণের হাস্যরস ব্যবহার করে থাকে। এটাও বলা হয়ে থাকে যে এই ধরণের মানুষের মাঝে একটা উহ্য নেতিবাচক অনুভূতি থাকে। তাই তারা এই হাস্যরসকে তারা তাদের গুঢ় নেচিবাচক অনুভুতিকে ঢেকে রাখার একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে।
 
হাস্যরস এবং মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের উপর গবেষণায় জানা যায় উচ্চস্তরের অভিযোজিত হাস্যরস (সম্মিলিত এবং স্ব-উন্নত উভয়ই) উন্নত আত্ত্ব-মর্যাদা, ইতিবাচক প্রভাব, অধিক স্ব-পারদর্শিতার সাথে দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এগুলোর সবই মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের উপাদান। এছাড়াও, সংযোজিত হাস্যরস মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা থাকার পরেও মানুষকে তাদের কল্যাণের ব্যাপারে সজাগ রাখতে পারে। অপরদিকে, অ-অভিযোজিত হাস্যরস (আক্রমনাত্মক এবং আত্ত্ব-হেয়মূলক) তুলনামূলক খারাপ মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের সাথে সম্পর্কযুক্ত যেটা অধিক দুশ্চিন্তা এবং হতাশা আনয়ন করে। তাই বলা যায়, যদি হাস্যরস নেচিবাচক চরিত্রের হয় তবে সেটা মনস্তাত্ত্বিক কল্যাণের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
 
;শারীরবৃত্তীয় প্রভাবসমূহ
সাধারনভাবে কঠিন এবং দুর্বোধ্য পরিস্থিতি সহজ করতে এবং সামাজিক পরিবেশ স্বাভাবিক করতে হাস্যরস প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। অনেকেই এটাকে ইতিবাচক এবং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা বলে বিশ্বাস করে যার কারনে শরীরের উপর ইতিবাচক শারীরবৃত্তীয় প্রভাবের উপর হাস্যরসের অবদান আছে ভাবাটা যুক্তিযুক্ত।
হাস্যরসের ইতিবাচক প্রভাব নির্ণয়ের এক পরীক্ষা, যেটা ছিল আসলে হাস্যরস এবং ব্যথা সহনশীলতার উপর সম্পর্ক নিরুপনে, ক্যারেন জিয়ের, বারবারা ভেল্কার এবং উলিবালদ রুচের দারা ১৯৯৪ সালে পরিচালনা করা হয়েছিল।