আধুনিকতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zunaedsifat (আলোচনা | অবদান)
ফ্রান্সে আধুনিকতাবাদের শুরু চলছে
Zunaedsifat (আলোচনা | অবদান)
ফ্রান্সে আধুনিকতাবাদ চলছে।
২৬ নং লাইন:
 
আধুনিকতাবাদের প্রাথমিক পর্যায়ে সিগমুন্ড ফ্রয়েডের (1856-1939) তত্ত্ব বেশ প্রভাবশালী ছিল। ফ্রয়েডের প্রধান কাজ হল জোসেফ ব্রুয়ারের সাথে মৃগীরোগ সংক্রান্ত গবেষণা (1895)। ফ্রয়েডের চিন্তাভাবনার মূল "মানসিক জীবনে অবচেতন সত্ত্বার প্রাধান্যের" ধারণা, যাতে সমস্ত ব্যক্তিক বাস্তবতা মৌলিক তাড়না এবং প্রবৃত্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যার মাধ্যমে মানুষ বাইরের বিশ্বকে অনুভব করে। ফ্রয়েডের ব্যক্তিত্ত্বের বর্ণনাগুলির মধ্যে আবেগী এবং সামাজিক মূল্যবোধ থেকে প্রাপ্ত স্ব-আরোপিত বিধিনিষেধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি অবচেতন মন রয়েছে।
 
আধুনিকতাবাদের আরেকজন অগ্রদূত ছিলেন ফ্রেডরিখ নিৎশে (১৮৪৪-১৯০০)। তাঁর দর্শনে মনস্তাত্ত্বিক তাড়নাগুলো, বিশেষ করে "ক্ষমতার ইচ্ছা" কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল। "নিৎশে প্রায়ই জীবনকে ক্ষমতার ইচ্ছা বা প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্বের সাথে এক করে দেখেন।" অন্যদিকে, হেনরি বার্গসন (185২-1941) বৈজ্ঞানিক দৃষ্টির ঘড়ি ধরা সময় এবং ব্যক্তিবিশেষের অভিজ্ঞতার আলোকে আপেক্ষিক সময়ের মধ্যে পার্থক্যে জোর দিয়েছেন। সময় এবং চেতনা নিয়ে তাঁর কাজের "বিংশ শতাব্দীর ঔপন্যাসিকদের উপর একটি বড় প্রভাব ছিল," বিশেষত ডরোথি রিচার্ডসন, জেমস জয়েস এবং ভার্জিনিয়া ওলফ (188২-1941) এর মত আধুনিকবাদী চেতনা-প্রবাহ ভিত্তিক ঔপন্যাসিকদের মধ্যে। বার্গেনের দর্শনেরএসবের বাইরেও élan vital বা জীবনশক্তির গুরুত্ব ছিল, যা "সবকিছুর সৃজনশীল বিবর্তন নিয়ে আসে।" বুদ্ধিবৃত্তির গুরুত্ব অস্বীকার না করলেও তাঁর দর্শনও স্বতঃস্ফূর্ততাকে চড়া মূল্য দেয়।
 
"অপরাধ এবং শাস্তি" ও "খামাররুজ ভাইয়েরা" উপন্যাসের লেখক ফিওদর দস্তয়ভস্কি (১৮২১-৮১), "ঘাসের পাতা" কাব্যগ্রন্থের জন্য ওয়াল্ট হুইটম্যান (১৮১২-২৯) এবং দামেস্ক ট্রিলজি (১৮৯৮-১৯০১), স্বপ্নের নাটক (১৯০২) ও ভৌতিক সোনাতা (১৯০৭) এর মত শেষদিকে লেখা নাটকের জন্য আগস্ট স্ট্রেন্ডবার্গকে আধুনিকতাবাদী সাহিত্যের অগ্রদূত বিবেচনা করা হয়। একটি নারীর পোট্রেট (১৮৮১) এর জন্য হেনরি জেমসকেও গুরুত্বপূর্ণ অগ্রদূত বলা হয়।
 
বিশ শতকের প্রথম দশকের শুরুর দিকে রোমান্টিকতাবাদ থেকে পাওয়া আদর্শের সংঘর্ষ ও এখনও পর্যন্ত অজানা জ্ঞানকে ব্যাখ্যা করার প্রবণতা ছিল। আধুনিকতাবাদের প্রথম স্রোতে লেখকরা একে বিদ্যমান প্রবণতার একটি প্রসার হিসাবে দেখেন এবং মনে করেন এর মাধ্যমে লেখক ও শিল্পীরা বুর্জোয়া সংস্কৃতিতে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্বের অলিখিত চুক্তি ভঙ্গ করেছেন।