ভিক্ষু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৫২ নং লাইন:
 
একজন ভিক্ষু হতে গেলে তাঁকে অবশ্যই একজন যাজক পদপ্রার্থী হতে হবে, এই সময়ে তিনি মঠে বসবাস করবেন এবং যাচাই করে নেবেন তিনি ভিক্ষু হতে পারবেন কিনা। যাজক পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি কোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নন এবং যে কোন সময়ে তিনি মঠ পরিত্যাগ করতে পারেন। যদি যাজক পদপ্রার্থী এবং তাঁর সম্প্রদায় মনে করেন যে তাঁকে ভিক্ষু হিসেব নেওয়া যেতে পারে তবে তাঁকে প্রথমে ব্রতী হিসেবে প্রবেশ করানো হয় এবং এই সময়ে তাঁকে ধর্মীয় পোশাক দান করা হয় ও তিনি মঠের জীবন শুরু করেন। ছয়মাস থেকে একবছরের ব্রতীজীবন কাটাবার পর ব্রতী কিছু সাময়িক শপথ নেয় যা বছর বছর পুনর্নবীকরণ করা যেতে পারে। কয়েক বছর পর ভিক্ষু স্থায়ী শপথ গ্রহণ করেন যা তাঁর সারা জীবনের জন্য আবদ্ধ হয়ে যায়।
 
সন্ন্যাস জীবন সাধারণত তিন ধরনের প্রার্থনা নিয়ে গঠিত – লিটার্জি অফ আওয়ার্স (ডিভাইন অফিস নামেও পরিচিত), ডিভাইন রিডিং (লেকটিও ডিভাইনা) এবং ম্যানুয়াল লেবার। প্রায় সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে, ভিক্ষুরা সাধারণ মানের অনাড়ম্বর গৃহে বসবাস করেন যাকে কুঠুরি বলা হয়। তাঁরা প্রতিদিন কনভেনচুয়াল মাস্‌ উদ্‌যাপন করতে একত্রিত হন এবং লিটারজি অফ আওয়ার্স মন্ত্র পাঠ করেন। বেশিরভাগ সম্প্রদায়েই, ভিক্ষুরা ভোজনালয়ে একযোগে আহারার্য সম্পন্ন করেন। যদিও তাঁরা নীরবতার কোন শপথ গ্রহণ করেন না, তবুও অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে সন্ধ্যাকাল থেকে পরবর্তী সকাল পর্যন্ত নীরবতা বজায় রাখবার রীতি প্রচলিত আছে এবং কিছু সম্প্রদায়ে আবার ভিক্ষুদের কাজের সময় ও সাপ্তাহিক বিশ্রামের সময় ছাড়া অন্য কোন সময় বাক্যালাপ চলে না।
[[চিত্র:Germany_München_Monks.jpg|থাম্ব|বেনেডিক্টিয় সাধুরা [[মিউনিখ]] শহরের প্রতীক এবং এর নামের উৎস উদ্‌যাপন করছেন। ]]
যেসকল ভিক্ষুদের হোলি অর্ডার বা পবিত্র আদেশ মারফৎ পুরোহিত বা যাজক হিসেবে অভিষিক্ত করা হবে বা হয়েছে তাঁদেরকে কয়্যার মঙ্ক বা গায়ক ভিক্ষু বলা হয়, কারণ তাঁদের সম্পূর্ণ ডিভাইন অফিস সমবেতভাবে গাওয়া বাধ্যতামূলক। যেসকল ভিক্ষুর পবিত্র আদেশ দ্বারা অভিষিক্ত হন না তাঁদের সাধারণ ভ্রাতা বলা হয়। তবে আজকের দিনে বেশিরভাগ সম্প্রদায়ে গায়ক ভিক্ষু ও সাধারণ ভ্রাতার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য করা হয় না। যদিও ইতিহাসগতভাবে মঠবাসী এই দুই প্রকার ভিক্ষুর কর্তব্যের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান। গায়ক ভিক্ষুদের কাজ প্রধানত প্রার্থনা করা, ডিভাইন অফিসের স্তোত্র সাতঘণ্টা ধরে আউড়ে চলা এবং প্রত্যহ ‘মাস’ উদ্‌যাপন করা; সেখানে সাধারণ ভ্রাতারা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনের উদ্দেশ্যে খাদ্য সরাবরাহ করেন, ভোজন প্রস্তুত করেন, মঠ এবং মঠচত্বর রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এই পার্থক্য ইতিহাসগতভাবে বিদ্যমান কারণ সাধারণত যেসকল ভিক্ষু ল্যাটিন পড়তে পারতেন তাঁরা গায়ক ভিক্ষু এবং যাঁরা ল্যাটিন পড়তে পারতেন না বা নিরক্ষর ছিলেন তাঁরা সাধারণ ভ্রাতা হিসেবে থাকতেন। যেহেতু সাধারণ ভ্রাতারা ল্যাটিনে ডিভাইন অফিস পাঠ করতে পারতেন না, তাই তাঁরা আওয়ার ফাদার বা হেইল মেরি প্রভৃতি সহজে স্মর্তব্য স্তোত্রগুলি দিনে ১৫০বার আউড়াতেন। দ্বিতীয় ভাটিকান কাউন্সিল থেকেই গায়ক ভিক্ষু এবং সাধারণ ভ্রাতার মধ্যে পার্থক্য কমে আসতে থাকে, কারণ কাউন্সিল সেই সময় থেকে ডিভাইন অফিসকে অন্যান্য উপভাষাতেও পাঠ করবার অধিকার দেন এবং এর ফলে সমস্ত ভিক্ষুর এখানে প্রবেশ উন্মুক্ত হয়।
 
পশ্চিমী সন্ন্যাসে, ভিক্ষু ও ফ্রায়ারসের মধ্যে পার্থক্য করা জরুরী। ভিক্ষুরা সাধারণত মঠের ভিতরে প্রার্থনার মাধ্যমে গভীরে চিন্তাভাবনায় নিরত থাকেন; ফ্রায়ারস্‌রা সাধারণত বহির্বিশ্বের সঙ্গে সক্রিয় সংযোগ রেখে সেবাকার্য সম্পাদনা করেন। সন্ন্যাসীদের সম্প্রদায়গুলির মধ্যে রয়েছে সমস্ত বেনেডিক্টপন্থীরা (সেন্ট বেনেডিক্টপন্থী এবং এর পরবর্তী রূপ, যেমন সিস্টারসিয়ান্স্‌ এবং ট্র্যাপিস্টস্‌) এবং কার্ফুসিয়ান যাঁরা তাঁদের নিজস্ব সংবিধি অনুযায়ী চলে এবং সেন্ট বেনেডিক্টের নিয়মাবলী সঠিকভাবে মান্য করে না। ফ্রায়ারস্‌দের সম্প্রদায়গুলির হল ফ্রান্সিসকানস্‌, ডোমিনিকানস্‌, কার্মেলাইটস্‌ এবং অগাস্টিনিয়ানস্‌। যদিও নর্বারটাইনসের মত ক্যাননস রেগুলাররা সম্প্রদায়ের মধ্যেই বসবাস করেন।, তবুও তাঁরা তাঁদের যাজক-অবস্থা অনুযায়ী পরিচিত হন, কোন সন্ন্যাস-শপথ তাঁরা নেন না।
 
=== অ্যাঙ্গলীয়পন্থী ===
ইংল্যাণ্ডের সন্নাস ধর্ম হঠাৎই সমাপ্ত হয়ে যায় যখন রাজা অষ্টম হেনরী রোমান ক্যাথলিক চার্চ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন এবং নিজেকে চার্চ অফ ইংল্যাণ্ডের প্রধান বলে ঘোষণা করেন। তিনি মঠের অবলুপ্তির কথা ঘোষণা করেন এবং এই সময়ে ইংল্যাণ্ডের সমস্ত মঠ ধ্বংস করা হয়। প্রচুর পরিমাণে ভিক্ষুদের হত্যা করা হয় এবং বাকীরা ইওরোপের অন্যান্য মঠে পালিয়ে সন্ন্যাস জীবন অতিবাহিত করেন।
 
চার্চ অফ ইংল্যান্ডে ক্যাথলিক আন্দোলন পুনরাবির্ভাব হতে শুরু করলে সন্ন্যাস জীবন প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজন দেখা যায়। ১৮৪০ এর দশকে, তৎকালীন অ্যাঙ্গলীয় পুরোহিত এবং পরবর্তীকালের ক্যাথলিক কার্ডিনাল জন হেনরি নিউম্যান অক্সফোর্ডের লিটলমোরের কাছে পুরুষদের নিয়ে একটি সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকেই ভিক্ষুদের, ফ্রিঅরস্‌দের, এবং অন্যান্য পুরুষ ধর্মীয় সম্প্রদায় সৃষ্টি হয় যাকে অ্যাঙ্গলীয় কমিউন বলা হয়। অ্যাঙ্গলীয় বেনেডিক্টীয়, ফ্রান্সিয়ান্‌স, সিস্টারিয়ান্‌স প্রভৃতি সম্প্রদায় রয়েছে এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের এপিস্কোপাল চার্চে ডোমিনিকান্‌স নামক সম্প্রদায় অবস্থিত। এছাড়াও আছে সোসাইটি অফ সেন্ট জন দি এভাঞ্জেলিস্ট এবং মিরফিল্ডে রয়েছে কমিউনিটি অফ দি রেজারেকশনের মত অ্যাঙ্গলীয় সন্ন্যাসীদের অনন্য সম্প্রদায়।
 
কিছু কিছু অ্যাঙ্গলীয় ধর্মীয় সম্প্রদায় ধ্যানপরায়ণ আবার কেউ বা সক্রিয়, কিন্তু অ্যাঙ্গলীয়দের সন্ন্যাস জীবনের যেটি স্বতন্ত্র সেটি হল তাঁদের বেশিরভাগ আচার ব্যবহারই তথাকথিত “মিশ্র প্রকৃতির”। অ্যাঙ্গলীয় ভিক্ষুরা সমবেতভাবে প্রত্যহ ডিভাইন অফিস স্তোত্রপাঠ করেন, হয় তাঁরা ব্রেভিয়ারির পূর্ণ আটটি পাঠই করেন অথবা বুক অফ কমন প্রেয়ার থেকে চারটি অফিস পাঠ করেন এবং তাঁরা ইউক্যারিস্ট বা নৈশভোজন উদ্‌যাপন করেন। অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে বাইরের অনেক সেবাকাজ করবার রীতি প্রচলিত রয়েছে, যেমন, দরিদ্রসেবা করা, ধর্মীয় অনুধ্যান করা অথবা অন্যান্য সক্রিয় সেবামূলক কাজকর্ম এবং এসবই হয় তাঁদের সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের মধ্যে। রোমান ক্যাথলিক ভিক্ষুদের মত, অ্যাঙ্গলীয় ভিক্ষুরাও দারিদ্র্য, বিশুদ্ধ কৌমার্য এবং আনুগত্যের সন্ন্যাস-শপথ গ্রহণ করে।
 
বিংশ শতকের শুরুতে যখন ক্যাথলিক আন্দোলন চরমে উঠেছিল, তখন অ্যাঙ্গলীয় কমিউনের কয়েক শত সম্প্রদায় এবং গোষ্ঠী ছিল <sup>[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]</sup> এবং কয়েক সহস্র অনুগামী ছিল। যদিও ১৯৬০এর দশক থেকে অ্যাঙ্গলীয় কমিউনের নানা ধর্মীয় সংগঠন থেকে লোকসংখ্যা দ্রুত কমতে থাকে। একদা বৃহৎ এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলি পরবর্তীকালে বয়োজ্যেষ্ঠদের দ্বারা গঠিত একটি একক কনভেন্ট বা মঠে পরিণত হয়। বিংশ শতকের শেষ কয়েক দশকে ব্রতীদের সংখ্যা বেশিরভাগ সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত কমে এসেছে। কিছু সম্প্রদায় ও গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই অবলুপ্ত হয়ে গেছে।
 
যাই হোক, আজকের দিনেও তবু কয়েক হাজার অ্যাঙ্গলীয় ভিক্ষু গোটা বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০০টির মত সম্প্রদায়ে কাজ করে চলেছে। সবচেয়ে অস্বাভাবিক রকমের বৃদ্ধি দেখা গেছে মেলানিসিয়ান দেশগুলিতে, যেমন সলোমন দ্বীপ, ভানুয়াতু এবং পাপুয়া নিউ গিনি। ইনি কোপুরিয়া দ্বারা ১৯২৫ সালে গুয়াদালক্যানালের তাবালিয়ায় প্রতিষ্ঠিত মেলানিসিয়ান ভ্রাতৃবর্গ হল বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে বড় অ্যাঙ্গলীয় সম্প্রদায়; এতে সলোমন দ্বীপ, ভানুয়াতু, পাপুয়া নিউ গিনি, [[ফিলিপাইন]] এবং [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যে]]<nowiki/>র মোট ৪৫০ জন ভ্রাতৃবর্গ কাজ করে চলেছেন।
 
=== লুথারপন্থা ===
[[চিত্র:St_augustine.jpg|বাম|থাম্ব|মিশিগানের অক্সফোর্ডে অবস্থিত সেন্ট অগাস্টিন্স হাউস লুথেরান মোনাস্ট্রি।]]
লকম অ্যাবি এবং অ্যামেলুঙ্গস্‌বর্ন অ্যাবিতে লুথারীয় মঠের সবথেকে বড় ঐতিহ্য রয়েছে। ১৯শ এবং ২০শ শতক থেকে, লুথারপন্থার মধ্যে সন্ন্যাস জীবনের পুনর্নবীকরণের কাজ চলছে। আজকের দিনের অনেক লুথারীয়, রোমান ক্যাথলিক গীর্জায় সন্ন্যাস শিক্ষা দানের কাজে নিরত।
 
আমেরিকার লুথারীয় প্রথায়, মিশিগানের অক্সফোর্ডের সেন্ট অগাস্টিন্‌স হাউসে ১৯৫৮ সালে যখন কিছু ব্যক্তি ফাদার আর্থার ক্রেইনহেডারের সঙ্গে মিলিত হয়ে সন্ন্যাস জীবন এবং প্রার্থনা শুরু করলেন, তখন খ্রিস্টের সেবকদের একত্রীভবন (দি কনগ্রেগেশন অফ দি সার্ভেন্টস অফ ক্রাইস্ট) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ব্যক্তিদের আসা যাওয়া বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকে। এই সম্প্রদায়টি সবসময়ই খুব ছোট, মাঝে মাঝে এর সদস্য হিসেবে কেবল মাত্র ফাদার আর্থারই থাকেন। এর ৩৫ বছরের ইতিহাসে ২৫ জন মত ব্যক্তি এই বাড়িতে কিছু সময়ের জন্য (কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর) সন্ন্যাস জীবন যাপন করবার অবকাশ পেয়েছেন, কিন্তু ১৯৮৯ সালে ফাদার আর্থারের মৃত্যুর পর এই বাড়ির স্থায়ী ব্যক্তি বলতে রয়েছেন কেবল একজনই। ২০০৬ সালের প্রথমদিকে ২ জন পেশাদার সদস্য ছিলেন এবং ২ জন দীর্ঘকালীন অতিথি ছিলেন। সুইডেনে (অস্টানবাক মঠ) এবং জার্মানিতে (সেন্ট উইগবার্টের প্রায়োরি) এই সম্প্রদায়ের সাথে তাঁদের ভ্রাতৃবর্গের সুদৃঢ় বন্ধন রয়েছে।
 
এভাঞ্জেলিকাল লুথেরান চার্চ ইন আমেরিকার প্রথায় অর্ডার অফ লুথেরান ফ্রান্সিসকানস নামে ফ্রিঅর্‌স এবং ভগিনীদের একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় রয়েছে।
 
== বৌদ্ধধর্ম ==
[[চিত্র:Monks_in_Wat_Phra_Singh_-_Chiang_Mai.jpg|বাম|থাম্ব|Buddhist monks in [[Thailand]].]]
[[চিত্র:Monk_resting_outside_Thag-Thok_Gompa,_Ladakh.jpg|বাম|থাম্ব|Monk resting outside Thag-Thok Gompa, [[Ladakh]]]]
[[চিত্র:Monk_with_baby_sparrow_at_Likir_Gompa,_Ladakh.jpg|থাম্ব|Monk caring for baby [[sparrow]] at Likir Gompa, Ladakh]]
থেরবাদ বৌদ্ধধর্মে, সাধুদের ভিক্ষু বলা হয়। তাঁদের শাস্ত্রীয় সংহিতাকে পতিমোক্ষ বলা হয়, যা কিনা বৃহত্তর বিনয়ের একটি অংশ। তাঁরা ভিক্ষুর জীবনযাপন করেন এবং প্রত্যহ সকাল হতেই ভিক্ষা সংগ্রহে (পালি : পিণ্ডপাত) বেরিয়ে পড়েন। স্থানীয় মানুষেরা ভিক্ষুদের খাদ্যদ্রব্য দান করেন, যদিও ভিক্ষুদের কিছু চাইবার কোন অনুমতি নেই। ভিক্ষুরা মঠে বসবাস করেন এবং প্রাচীন এশীয় সমাজে তাঁদের কাজকর্ম ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ। অল্পবয়সী বালকদের শ্রমণ হিসেবে অভিষিক্ত করা হত। ভিক্ষু এবং শ্রমণ উভয়েই কেবলমাত্র সকালে আহার করতে পারতেন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপনের কোন অনুমতি তাঁদের ছিল না। তাঁদের টাকা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ ছিল যদিও এই নিয়মটি এখন আর সকলে মানেন না। ভিক্ষুরা হলেন সংঘের অংশ – বুদ্ধ, ধম্ম, সংঘ – এই ত্রিরত্নের তৃতীয়টি।
 
মহাযান বৌদ্ধধর্ম, ‘সংঘ’ অর্থে কঠোরভাবে বলতে গেলে তাঁদেরকে বোঝায় যাঁরা বোধির একটা নির্দিষ্ট পর্যায় লাভ করেছেন। তাই তাঁদেরকে ‘গুনীবর্গের সম্প্রদায়ও’ বলা হয়, যদিও এঁরা ভিক্ষু নাও হতে পারেন (অর্থাৎ সেরকম কোন শপথ নাও নিতে পারেন)। কিছু কিছু মহাযান সম্প্রদায়ে মহিলাদেরও ‘ভিক্ষু’ হিসেবে গ্রহণ করা হয়, আলাদা করে ‘ভিক্ষুণী’ বলা হয় না এবং তাঁদের পুরুষদের মতোই সমস্ত দিক থেকে সমান দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দেখা হয়।