ভারতে নারী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১০ নং লাইন:
=== প্রাচীন যুগ ===
বৈদিক যুগের আদি পর্বে নারীরা জীবনের সকল ক্ষেত্রেই পুরুষের সঙ্গে সমানাধিকার ভোগ করেছে। পতঞ্জলি বা কাত্যায়ণের মতো প্রাচীণ ভারতীয় বৈয়াকরণের লেখা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে আদি বৈদিক যুগে নারীরা শিক্ষিত ছিলেন। ঋক বেদের শ্লোক থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে নারীরা পরিণত বয়সে বিবাহ করতেন এবং সম্ভবত স্বয়ম্বরা নামক প্রথায় নিজের স্বামী নির্বাচনের বা গান্ধর্ব বিবাহ নামক প্রথায় সহবাসের স্বাধীনতা তাঁদের ছিল। ঋক বেদ, উপনিষদের মতো আদি গ্রন্থে বহু প্রাজ্ঞ ও ভবিষ্যদ্রষ্টা নারীর উল্লেখ আছে, গার্গী ও মৈত্রেয়ী যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
[[চিত্র:Amrapali greets Buddha Roundel 36 buddha ivory tusk.jpg|থাম্ব|"আম্রপালী ও গৌতম বুদ্ধ", হাতির দাঁতে খোদাই করা, জাতীয় সংপগ্রহশালা, নতুন দিল্লী ]]
নারীর বেদপাঠের অধিকার ছিল। হরিতের ধর্মশাস্ত্রে বলা আছে-
মধ্যযুগে তা এই যুক্তিতে খারিজ হয়ে যায় যে তা পূর্বযুগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০ শতকে নারীর অবস্থার অবনতি শুরু হয়।হয়।যদিও জৈনধর্মের ন্যায় সংস্কার আন্দোলনগুলি
বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্রে নারীদের উপর আরোপিত বিধিনিষেধের উল্লেখ পাওয়া যায়, যেমন, মনু স্মৃতি অনুযায়ী: নারী শৈশবে পিতা, যৌবনে স্বামী বার্ধক্যে পুত্রের অভিভাবকত্বে থাকবে, একজন মহিলা স্বয়ংশাসিত থাকার উপযুক্ত নয়। তবে এটি আদর্শিক গ্রন্থ, এবং নারীর স্বাধীন ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করার, বানপ্রস্থ এবং সন্যাস গ্রহণের বর্ণনামূলক বিবৃতিও পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতে কিছু রাজ্যে নগরবধূর মতো প্রথা প্রচলিত ছিল। নারীরা নগরবধূর ঈপ্সিত শিরোপা জয় করতে প্রতিযোগিতা করতো। আম্রপালী এরকমই একজন জনপ্রিয় নগরবধূ।
|