সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮-এর চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
 
==কাহিনী==
সুলেমানপুরের বাদশাহর ([[আনোয়ার হোসেন (অভিনেতা)|আনোয়ার হোসেন]]) ছয় রানী। কিন্তু তাঁদের ঘরে কোন সন্তান না থাকায় বাদশাহ নিঃসন্তান। বাদশাহ স্বপ্ন দেখেন এক দরবেশ তাকে বলছে মৃগয়ায় যেতে। সেখানে তিনি যাকে পাবেন তাকে যেন তিনি বিয়ে করেন। তাহলে তার সন্তান লাভ হবে। স্বপ্নে আদেশ পেয়ে বাদশাহ পরদিনই সহচর নফরকে নিযে মৃগয়ায় যাত্রা করেন।
 
বনে বাস করে দরিদ্র কাঠুরিয়া ও তার কন্যা। মহাজনের ঋণের কারণে তাকে ধরে নিয়ে যেতে চায় মহাজনের ছেলে। তাকে উদ্ধার করেন রাজা। এই কাঠুরিয়া কন্যাকে বিয়ে করেন রাজা। তাঁকে প্রাসাদে নিয়ে আসেন তাকে।রাজা। রাজাবিজয়পুরের শাহজাদি হিসেবে তার পরিচয় দেন তিনি বিজয়পুরের শাহজাদি হিসেবে।রাজা। তিনি হন ছোট রানী। তার ছোটবেলার সই তার কাছে আসে মালিনী হয়ে। অন্যদিকে ছোট রানীকে পছন্দ করে না অন্যান্যঅন্য রানীরা। তারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।
 
দরবেশের বরে অচিরেই অন্তসত্তা হন ছোট রানী। রাজপ্রাসাদে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। সন্তান প্রসবের সময় ছোট রানীর আঁতুড় ঘরে অন্য কাউকে ঢুকতে দেয় না ছয় রানী। তারা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে রাখে ছোট রানীকে। ছোট রাণী অজ্ঞান থাকা অবস্থায় একে একে সাত পুত্র ও এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু সাত ছেলেকে আঁতুড়ঘর থেকেই সরিয়ে ফেলে ছয় রানী। তাদের রাজবাড়ির পেছনে বাগানে পুতে ফেলে। তবে রানীদের অগোচরে একমাত্র রাজকন্যাকে বাঁচাতে পারে মালিনী সই।
 
ছয় রানী বাদশাহকে বলে ছোট রানীর সাতটি কুকুর ছানা হয়েছে। ডাইনি মনে করে ছোট রানীকে বনবাসে পাঠান বাদশাহ। এদিকে দরবেশের বরে সাতটিসাত রাজপুত্র চাঁপা ফুল হয়ে ফুটে থাকে গাছে।
 
বনে বনে ঘুরে বেড়ায় দুঃখিনী ছোট রানী। একজন বৃদ্ধ কাঠুরিয়ার কুড়েতে আশ্রয় পায় ছোট রাণী। অন্যদিকে রাজবাড়িতে মালিনী সইয়ের ঘরে মালিনীর সন্তান পরিচয়ে বড় হতে থাকে রাজকন্যা পারুল।পারুল ([[কবরী সারোয়ার]])। নদীর ঘাটে তার সঙ্গে পরিচয় হয় এক তরুণ সওদাগরের। সওদাগর ও পারুলের মধ্যে প্রেম হয়। ছয় মাসের জন্য দেশে যায় সওদাগর। যাবার আগে পারুলের কাছে দিয়ে যায় এক আজব আয়না ও একটি কবুতর পাখি। আজব আয়নায় দূরে থাকলেও প্রিয়জনদের দেখা যায়। আজব আয়নায় ছোট রানীকে বনে বনে কেঁদে বেড়াতে দেখে পারুল। মালিনী মায়ের কাছ থেকে সে জানতে পারে নিজের জন্ম ইতিহাস। এদিকেএকদিন পারুলের হাত থেকে পড়ে আয়না ভেঙে যায়। সে চম্পা গাছের কাছে গিয়ে সাত ভাইকে ডাকে। কিন্তু সাত ভাই সাড়া দেয় না। সেখানে আসে দরবেশ। দরবেশ বলে,বলেন যেদিন রাজা, ছোটরানিছোটরানী ও পারুল সবাই একসঙ্গে ওদের ডাকবে সেদিন সাত ভাই সাড়া দিবে।
 
কবুতর পাঠিয়ে সওদাগরকে ডাকে পারুল। সওদাগর ছুটে আসে। মালিনীর বাড়িতে সওদাগর এসেছে এ খবর পায় বড় রানী। বড় রানী ছাড়া আর কেউ জানে না কোথায় বনবাসে পাঠানো হয়েছিল ছোট রানীকে। বড় রানীর মহলে গোপনে যায় সওদাগর। সওদাগর তরোয়াল দিয়ে রানীকে ভয় দেখায়। প্রাণের ভয়ে বড় রানী বলে, উত্তর পশ্চিমে একশ মাইল দূরে হরিদ্রা বনে ছোট রানীকে নির্বাসন দেওয়া হযেছে। সওদাগর যায় ছোট রানীকে আনতে।
 
এদিকে প্রহরী নিয়ে মালিনীর বাড়িতে যায় বড় রানী। কিন্তু মালিনী ও পারুলকে পায় না। তারা আশ্রয় নেয় পারুলের সইয়ের বাড়িতে। পারুলের সই রাজদরবারের গায়িকা। প্রতিরাতে নিশি ভোজনের পর বাদশাহকে গান শোনায় গায়িকার দল। সেরাতে দরবারে সইয়ের পোশাক পরে পারুল যায় বাদশাহকে গান শোনাতে। ছোট রানীকে নিয়ে আসে সওদাগর। পারুল তখন দরবারে বাদশাহকে গান শোনাচ্ছে।শোনায় ‘শোনেন শোনেন জাঁহাপনা, শোনেন রানী ছয়জনা’। গানের ভেতর দিয়ে পুরো ঘটনা বাদশাহকে শোনায় পারুল।
 
গান শুনে চমকে ওঠেন বাদশাহ। প্রশ্ন করেন, তুমি কে? পারুল সে কথার জবাব না দিয়ে বাদশাহর সামনে ফুলের ডালা রেখে বলে ফুল খেতে। বাদশাহ বলেন, মানুষ কি কখনও ফুল খায়? পারুল পাল্টা প্রশ্ন করে, মানুষের ঘরে কি কুকুর ছানা হয়?