অর্থ (টাকা): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
টাকার ইতিহাস, সংশোধন
103.220.205.10-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Aftabuzzaman-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৩ নং লাইন:
'''অর্থ (টাকা)'''
নিদিষ্ট ঐতিহাসিক পর্বে সাধারণ তুল্যমূল্য হিসেবে সকল পণ্য থেকে স্বত:স্ফূর্তভাবে আলাদা হয়ে যাওয়া বিশেষ পণ্য বা উপায়, যেকোনো পণ্যই যার সঙ্গে বিনিমেয় বা যা দিয়ে ক্রয় করা সম্ভব। প্রাক-পুঁজিবাদী গঠন রূপগুলোতে বিভিন্ন পণ্য (পশুর চামড়া, শস্য, পশু) অর্থের ভূমিকা পালন করেছে; ক্রমশ স্বর্ণ ও রৌপ্য এ ভূমিকাসীন হয়েছে। অর্থ হিসেবে কাগুজে মুদ্রা প্রচলিত। রাষ্ট্র তা ছাপায় ও তার বাধ্যতামূলক বিনিময় হার রয়েছে।<ref>http://webcache.googleusercontent.com/search?q=cache:MQA-MF1jU1YJ:https://www.teachers.gov.bd/sites/default/files/presentation/ID-02%2520mosharrof.pptx+&cd=1&hl=bn&ct=clnk&client=firefox-a</ref>
 
=== '''টাকার ইতিহাস''' ===
টাকার ইতিহাস আসে তিন ধাপে।
 
'''১. বিনিময় যুগ<sup>২</sup>-''' বিনিময় যুগে একজনের যদি একটি জিনিস দরকার পরত তাহলে অন্য আরেকজনের কাছ থেকে তার দরকারি জিনিস নিয়ে আসত আর তার বিনিময়ে তার কাছে যে জিনিস আছে তা প্রধান করত। এতে দুই জনের মাঝে অনেক ঝামেলা হত কারণ:-
 
-দুটি দ্রব্যের দাম তুলনা করা কষ্টকর। যেমন, একটা গরু কতটা ছাগলের বিনিময়ে পাওয়া যাবে।<gallery>
চিত্র:Barter.jpg|পন্যের বিনিময়ে পন্য
</gallery>-মানুষের প্রয়োজনীয়তা একই রকম না হওয়া। যেমন- কারও ছাগলের প্রয়োজন নাও থাকতে পারে।
 
এটাকে "Barter" বলা হয়L
 
এরপর মানুষ সব ধরনের পণ্যকে বাদ দিয়ে কেবল নিত্যদিন বহুল ব্যবহৃত কিছু পণ্যকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে। পরিভাষায় একে বলা হয়, Commodity money system”
কিন্তু এসব পণ্যদ্রব্য বহন করা,স্থানান্তর করার ঝামেলা ছিল।
 
==== ২.স্বর্ণমুদ্রা ব্যবস্থা: ====
বিধায় মানুষ তৃতীয় পর্যায়ে স্বর্ণ ও রূপাকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে গ্রহণ করে। বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে স্বর্ণ ও রূপা বেশ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। সকল দেশেই তা সমানভাবে গৃহিত হয়। কারণ এ দুটি ধাতব দ্রব্য সকলের নিকটই বেশ মূল্যবান ছিল। এগুলো স্থানান্তর,বহন এবং সংরক্ষণও ছিল মানুষের জন্য সহজসাধ্য ব্যাপার। অর্থনীতির পরিভাষায় এ পদ্ধতিকে বলে, Metalic money system”” যুগের পরিক্রমায় এই পদ্ধতিতেও বেশ পরিবর্তন সাধিত হয়। সংক্ষেপে পরিবর্তনের ধারা ছিল নিম্নরুপ-
 
ক. সোনা রূপাকে মুদ্রা হিসাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর সূচনা কালটি ছিল বেশ হ-য-ব-র-ল। একেকটার সাইজ ও ওজন ছিল একেক রকম। কোন মুদ্রা সোনার টুকরোর আকৃতিতে থাকতো, কোনটা ঢালাইকৃত পাত্র বা অলংকারাদিও আকৃতিতে হত। তবে বিনিময়ের সময় ওজনের বিষয়টি মূখ্য থাকতো।
 
খ. এরপর কিছু কিছু দেশে শুরু হয় ঢালাইকৃত স্বর্ণ মুদ্রার প্রচলন। আবার কিছু দেশে ঢালাইকৃত রূপার মুদ্রার প্রচলন। ওগুলো ওজন,পুরুতা এবং খাঁটি হওয়ার ক্ষেত্রে ছিল সমপর্যায়ের ও সমমানের। মুদ্রাগুলোর উভয় পিঠে মোহর অংকিত থাকতো। এটি একথার প্রমাণ বহন করতো যে, এই মুদ্রাটি বৈধ ও বিনিময়যোগ্য। মুদ্রার গায়ে যে ‘ফেইস ভ্যালু’ লেখা থাকতো তা ওই সোনা ও রূপার প্রকৃত মূল্যমানের সমমানের হত। এ পদ্ধতিকে বলা হয়, Gold specie standard”
 
গ. কিছু দিন পর কোন কোন দেশ মুদ্রাকে এক ধরণের ধাতব মুদ্রায় সীমাবদ্ধ না রেখে একই সময় দুই ধরনের ধাতব মুদ্রার প্রচলন করে। একই সঙ্গে সোনা ও রূপাকে মুদ্রা হিসাবে প্রচলন দেয়। এবং দুটি মুদ্রার পারস্পরিক লেনদেন এবং বিনিময়ের জন্য এগুলোর নির্দিষ্ট একটি মূল্যমান নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এ সময় সোনা ‘বড় মুদ্রা’ হিসাবে আর রূপা ‘ছোট মুদ্রা’ হিসাবে ব্যবহৃত হত। এ ব্যবস্থাকে বলা হয়, Bi – Metalism” উক্ত মুদ্রা ব্যবস্থায় এক জটিলতা দেখা দেয়। তা হল, সোনা ও রূপার পারস্পরিক লেনদেনের জন্য যে মূল্য স্থীর করা হত তা বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন ধরনের হত। যেমন আমেরিকায় একটি সোনার মুদ্রার মূল্যমান নির্ধারিত ছিল রূপার মুদ্রায় ১৫ টি রূপ্য মুদ্রা। ঠিক ওই সময় ইউরোপে সোনার একটি মুদ্রার মূল্যমান নির্ধারিত ছিল রূপার মুদ্রায় সাড়ে ১৫টি রূপ্য মুদ্রা। এ পরিস্থিতিই পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম জন্ম দেয় ‘মুদ্রা ব্যবসায়ের’। স্বর্ণের মূল্যমান তারতম্য হওয়ার সুযোগে একদল লোক মুদ্রা ব্যবসায় বেশ উৎসাহি হয়ে উঠে।
 
'''৩.কাগুজী মুদ্রার প্রচলন:''' এক সময় দেখা গেল, বিশাল স্বর্ণ মুদ্রার স্তুপ নিজের ঘরে রাখা নিরাপদ নয়। মানুষ তখন স্বর্ণকার ও মহাজনদের নিকট আমানতস্বরূপ স্বর্ণ রাখা শুরু করে। স্বর্ণকাররা তাদের নিকট স্বর্ণ -রূপা মুদ্রা আমানত রাখার সময় প্রমাণ স্বরূপ একটা কাগুজে রশিদ বা রিসিপ্ট দিয়ে দিত। ক্রমান্বয়ে মানুষ স্বর্ণকারদের উপর বেশ আস্থাশীল হয়ে ওঠে। তাই তারা স্বর্ণকারদের জারিকৃত প্রমাণপত্র অর্থাৎ রশিদকে ক্রয়-বিক্রয়ের সময় মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে। এখান থেকেই শুরু হয়, মুদ্রা হিসাবে কাগুজে মুদ্রার প্রচলন। ১৭০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এই রশিদ বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে বাজারে ব্যাপকহারে চালু হয়ে যায়। তখন রশিদগুলোকে সংস্কার সাধন করে একটি নির্দিষ্ট আকৃতির অধীনে নিয়ে আসা হয়। আর একেই বলা হয়, ‘ব্যাংক নোট’। বলা হয়, সুইডেনের ‘স্টকহোম ব্যাংক ’ সর্বপ্রথম কাগুজো মুদ্রা হিসাবে ‘ব্যাংক নোট’ এর প্রচলন করে । তখনকার সময় কাগুজে নোটের বিপরীতে ব্যাংকে শতকরা একশত ভাগ মূল্যমানের সোনা সংরক্ষিত থাকতো। ব্যাংক বাধ্যতামুলকভাবে যে পরিমাণ সোনা তার কাছে মওজুদ থাকতো ,ঠিক সেই পরিমাণেই কাগুজে নোট বাজারে চালু করতো। নোট ব্যবহারকারী যে কোন সময় ব্যাংক থেকে এই নোটের পরিবর্তে সোনা অর্জন করার অধিকার থাকতো। মুদ্রার এ পদ্ধতিকে বলা হয়, '''“Gold Bulion standard”''' এরপরের ইতিহাস অনেকেই জানেন, ১৮৩৩ খৃ. এ রাষ্ট্রীয়ভাবে কাগুজে নোটের আইনগত ভ্যালু প্রদান করা হয়। বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে তা গ্রহণ করতে জনগণকে বাধ্য করা হয়। এতে এর প্রচলন ও গ্রহণযোগ্যতা কয়েকগুন বেড়ে যায়। সরকার যখন বাধ্য করল,জনগণও তা গ্রহণ করল তখন সরকার পক্ষ নোটের বিপরীতে স্বর্ণ মওজুদ রাখার ব্যাপারে শিথিলতা শুরু করল। একটা সময় রাষ্ট্রপক্ষ স্বর্ণের মওজুদের অতিরিক্ত কাগুজে নোট ছাপানো শুরু করল। অবশ্য এর পেছনে কিছু যুক্তিসংগত কারণও ছিল। যেমন, যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের সংকট কালে আমদানী হ্রাসের কারণে সরকার অতিরিক্ত নোট ছাপাতে বাধ্য হয়েছিল। যাইহোক, এখান থেকেই শুরু হল ধীরে ধীরে কাগুজে নোটের বিপরীতে স্বর্ণ মওজুদ না থাকার বিষয়টি। একটা সময় আসল যখন কাগুজে নোটের বিপরীতে সরকারের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের নিকট চাহিবা মাত্র দেয়ার মত স্বর্ণ মওজুদ নেই। তখন কাগুজে নোটকে সোনার দ্বারা পরিবর্তন সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। [http://www.somewhereinblog.net/blog/abuamatulla/30019841]<gallery>
চিত্র:Crystal Project money.png|আধুনিক টাকা
</gallery>
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}২. সামুয়েলসন- Basic Economics
 
{{অর্থনীতি-অসম্পূর্ণ}}
3.http://tinhatranch.com/the-lost-art-of-bartering/#.WpEjgU7ZvuQ
 
http://www.somewhereinblog.net/blog/abuamatulla/30019841
[[বিষয়শ্রেণী:অর্থনীতি]]