জন স্নো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
টেস্ট ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
১০২ নং লাইন:
 
== কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ==
সাসেক্সের খেলোয়াড় ও কোচ [[Ken Suttle|কেন সাটল]] তাঁকে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলাতে চেয়েছিলেন। কেননা, তিনি বলকে দূর্দান্তভাবে আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় মোকাবেলায় সক্ষম ছিলেন। কিন্তু, তাঁর বোলিংয়ের ধার কমে যায় ও তেমন আশাপদ ছিল না।<ref>p17, Snow</ref> তিনি দ্রুতলয়ে ফাস্ট সিম বোলার হিসেবে উত্তরণ ঘটান। তিনি ব্যাটসম্যানদের মাথায় তাঁর খাঁটো প্রকৃতির বল দিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম হন। তিনি দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন। গ্ল্যামারগন বনাম সাসেক্সের মধ্যকার খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জন স্নো’র।<ref>[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/25/25104.html Glamorgan vs Sussex]</ref>
 
১৯৬১ সালে কার্ডিফ আর্মস পার্কে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিনি শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। একমাত্র ইনিংসটিতে ২/১২ ও ৩/৬৭ বোলিং পরিসংখ্যানসহ ১২ রান তুলেছিলেন। কাউন্টি ক্যাপ লাভের জন্য তাঁকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। এ সময়ে সাসেক্স দলে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। ১৯৬৩ সালে [[Friends Provident Trophy|জিলেট কাপের ]] চূড়ান্ত খেলায় ওরচেস্টারশায়ারকে পরাভূত করে দলের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।<ref>{{cite web|url=http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/26/26444.html|title=The Home of CricketArchive|website=www.cricketarchive.co.uk}}</ref> কাপের অভিষেক খেলায় তিনি ৩/১৩ পেয়েছিলেন। ১৯৬৪ সালে ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষে অভিষেক ঘটিয়ে ২/২৮ পান।<ref>{{cite web|url=http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/27/27103.html|title=The Home of CricketArchive|website=www.cricketarchive.co.uk}}</ref>
 
১৯৬০-এর দশকে সাসেক্স দল চারজন সিম বোলারকে খেলায়। এ সময়ে তাদের কোন স্পিনার ছিল না। জিলেট কাপ ও হোভের সবুজ উইকেটের উপযোগী বোলিং নিয়ে অগ্রসর হলেও অন্যত্র সফলতা পায়নি তারা। স্নো’র মতে, এরফলে দলকে বেশ মূল্য দিতে হয়েছে। ১৯৬৩ সালে [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে]] দলটি চতুর্থ স্থান দখল করে। অনেকগুলো খেলায় খণ্ডকালীন স্পিনারকে বোলিং করতে দেখা যায়।<ref name="p61, Snow">p61, Snow</ref> দলে প্রতিষ্ঠা লাভ ও টেস্ট বোলার হিসেবে নিয়মিত খেলার ফলে নির্জীব উইকেটেও তাঁকে দীর্ঘসময় ব্যবহার করা হয়। এরফলে তিনি প্রাণান্তকর চেষ্টা করছেন না বলে অভিযোগ উঠে ও তিনি মাঝে-মধ্যেই বোলিং করতে অস্বীকার করতে থাকেন।<ref>p39-42, Snow</ref>
 
এ প্রসঙ্গে সাসেক্স কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, যোগাযোগ রক্ষা করতে না পারা ও দলকে পরিচালনা না করার কথা বলেন যা ক্লাবের ও দলের গতিপথ রুদ্ধ করে দেয়।<ref>p62, Snow</ref> উল্টো তারা জানায় যে, তিনি তাঁর সেরা বোলিং ইংল্যান্ডের জন্য সংরক্ষণ করে চলেছেন। তাস্বত্ত্বেও ১৯৬১ থেকে ১৯৭৭ সময়কালে ২১.৩০ গড়ে ৮৮৩ উইকেট পেয়েছিলেন ও এ সময়ে ক্লাবের সেরা সফলতম বোলারের মর্যাদা পেয়েছিলেন।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
১৭ জুন, ১৯৬৫ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে [[এম. জে. কে. স্মিথ|এম. জে. কে. স্মিথের]] নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ডের সদস্যরূপে টেস্ট অভিষেক ঘটে জন স্নোয়ের। লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি ফ্রেড ট্রুম্যানের সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এ টেস্টে সাসেক্সের দলীয় সঙ্গী [[টেড ডেক্সটার]] ও [[উইকেট-রক্ষক]] [[Jim Parks, Jr.|জিম পার্কসও]] অংশগ্রহণ করেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২৮/৪ থাকা অবস্থায় তিনি বোলিং আক্রমণে নামেন। মধ্যাহ্নবিরতির পূর্বে [[জন রিচার্ড রিড|জন রিডকে]] পার্কসের কটে ও উইকেট-রক্ষক [[Artie Dick|আর্টি ডিককে]] বোল্ড করেন জন স্নো।
 
১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সালে [[কেরি প্যাকার|কেরি প্যাকারের]] ব্যবস্থাপনায় চলমান বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন জন স্নো।<ref>{{cite web|url=https://cricketarchive.com/Archive/Players/1/1270/Other_matches.html|title=Cricket Archive: Players|publisher=}}</ref>
১০৯ ⟶ ১১৮ নং লাইন:
জন স্নো তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও টেস্ট খেলাগুলোয় ফাস্ট-মিডিয়াম সিম বোলার হিসেবে খেলতেন। কিন্তু, ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁকে দলে অন্তর্ভূক্ত করা না হলে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেট খেলতে চলে যান। সেখানে তাঁর বোলিং ভঙ্গীমার পরিবর্তন ঘটান। বুক বরাবর বোলিং করতেন। ফলশ্রুতিতে তাঁর বেশ সীমাবদ্ধরূপ ধারন করে ও বলের গতিধারায় সক্ষমতা পান। তবে, কাউন্টি ও সফরকারী দলের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় সচরাচর ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। কিন্তু টেস্ট খেলায় ফাস্ট বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। হোভের পেস উপযোগী উইকেটে তাঁর প্রাণবন্ত খেলা লক্ষ্য করা যায়।<ref name="ReferenceA"/><ref name="ReferenceB"/>
 
১৯৭০-৭১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ছয় টেস্টে অংশ নিয়ে ২২.৮৩ গড়ে ৩১ উইকেট পেলেও সফরের অন্য ছয়টি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর খেলায়]] ৭১.৫৭ গড়ে মাত্র ৭ [[উইকেট]] পেয়েছিলেন। টেস্টে তিনি চতুরতার সাথে বোলিং করতেন। ১৯৬০-এর দশকে [[চার্লি গ্রিফিথ|চার্লি গ্রিফিথের]] ন্যায় কিছুটা খাঁটোমানের বোলিং করতেন। ফলে, কিছুটা লাফিয়ে ব্যাটসম্যানের শরীরে স্পর্শ করতো।<ref name="ReferenceB"/> এরফলে, তিনি বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানের মাথায় আঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়ান। ১৯৬৮ সালে হোভে [[সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সমারসেটের]] পক্ষে [[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টি ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণকারী গ্রেগ চ্যাপেল এবং ১৯৭০-৭১ মৌসুমে সিডনি টেস্টে [[ব্যাটিং অর্ডার|নিচেরসারির]] ব্যাটসম্যান [[গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি|গার্থ ম্যাকেঞ্জি]] ও [[Terry Jenner|টেরি জেনার]] তাঁর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। [[ইয়ান চ্যাপেল|ইয়ান চ্যাপেলের]] মতে, তিনি সর্বদাই নতুন সিরিজে বহুধরনের বোলিংয়ের কবলে পড়েছিলেন।<ref>Ian Chappell, Test Match Special in the First Test England vs Australia, British Broadcasting Corporation, 10 July 2009.</ref>
 
আক্রমণধর্মী ও খাঁটো প্রকৃতির বোলিং করে মাঠে বেশ কিছু ঘটনায় বিতর্কের সৃষ্টি করে গেছেন। ব্যাটসম্যানেরা তাঁর বোলিং মোকাবেলায় বেশ অস্বস্তিতে ভুগতো। কেমনভাবে ও কিভাবে বোলিং করবেন তা ভেবেই ব্যাটসম্যানেরা বিব্রতবোধ করতো। তবে, সাসেক্স ও ইংল্যান্ডে তিনি বেশ নিয়মানুবর্তীতা মেনে চলতেন। কিন্তু, দর্শকদের কাছে সঠিকমানের ভীতিপ্রদ ফাস্ট বোলারের প্রতিমূর্তি হিসেবে রয়ে যান।<ref>{{cite web|url=http://www.cricinfo.com/ci/content/image/372734.html?object=20282|title=(Photo) John Snow bowls|publisher=}}</ref>