হ্যান্ডবল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jannatul.Rehy (আলোচনা | অবদান)
বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
১ নং লাইন:
'''হ্যান্ডবল''' [Handball] প্রতি দলে বারো জন নিয়ে গঠিত দুটি দলের মধ্যে চামড়া দিয়ে তৈরি বল ধরতে, নিক্ষেপ করতে বা থামাতে মুখ্যত হাত দ্বারা অনুষ্ঠিত খেলা। হ্যান্ডবল খেলার পূর্ণ মাঠের দৈর্ঘ্য বা পার্শ্বরেখা ৪০ মিটার এবং প্রস্থ বা প্রান্তরেখা (goal line) ২০ মিটার। মাঠের উভয় প্রান্তে গোল লাইনের ঠিক মাঝখানে গোল পোস্টটির অবস্থান। প্রতিটি গোলপোস্ট লম্বায় ৩ মিটার এবং উচ্চতায় ২ মিটার হয়। খেলার সময়সীমা মাঝখানে ১০ মিনিট বিরতিসহ  ৭০ মিনিট। বলটি হয় গোলাকার, পরিধি ৫৮-৬০ সেন্টিমিটার ও ওজন ৪২৫-৪৭৫ গ্রাম। একজন খেলোয়াড় হ্যান্ডবল খেলায় বল ধরতে, থামাতে বা ছুঁড়ে দিতে বাহু, মাথা, পৃষ্ঠদেশ, উরু বা হাঁটু ব্যবহার করেন, তবে তিনি সর্বোচ্চ তিন সেকেন্ড পর্যন্ত বলটি হাতে অথবা মাটিতে ধরে রাখতে পারেন। বলটি ক্রসবারের নিচে গোল-পোস্টদ্বয়ের মধ্যকার দাগটি সম্পূর্ণভাবে অতিক্রম করলে একটি গোল হয়।
 
হ্যান্ডবল একটি প্রাচীন খেলা। গ্রিক কবি হোমারের ওডিসি মহাকাব্যে এই খেলার উলে­খ আছে। খ্রিস্টপূর্ব যুগে নীল নদের উপত্যকা ভূমিতে বল নিয়ে যেসব খেলা প্রচলিত ছিল তার সব কটিই ছিল হাতের খেলা। তবে খেলার ধরন-পদ্ধতির দিক দিয়ে আজকের হ্যান্ডবল সম্পূর্ণ নতুন একটি সংযোজন। কেউ কেউ মনে করেন আধুনিক আউটডোর হ্যান্ডবল খেলার জন্ম জার্মানিতে। ১৯০৪ সালে ডেনমার্কের জনৈক ক্রীড়াশিক্ষক হোলজার নিয়েলসেন ‘হ্যান্ড বোল্ড’ নামে একটি খেলা প্রবর্তন করেন। ১৯১৭ সালে মহিলাদের ক্রীড়াশিক্ষক বার্লিনের ম্যাক্স হিসার মেয়েদের জন্য অভিনব পদ্ধতিতে হ্যান্ডবল খেলার প্রবর্তন করেন। ১৯১৯ সালে অন্য একজন ক্রীড়াশিক্ষক কার্ল শিলেঞ্জ এই খেলায় তাঁর নিজস্ব কিছু পদ্ধতি সংযোজন করে খেলাটিকে সমৃদ্ধ করেন। তিনিই প্রথম খোলা মাঠে এই খেলার আয়োজন করেন। ১৯২০ সালের ১ জানুয়ারি বার্লিনে প্রথম শিলেঞ্জের পদ্ধতিতে দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক হ্যান্ডবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯২৩ সালে ম্যাক্স হিসার পদ্ধতিতে বার্লিন ও ড্রেসডেন দলের মধ্যে প্রথম দুটি মহিলা দলের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।