আব্দুস সামাদ আজাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| name = <small>[[আলহাজ্ব]]</small><br>আব্দুস সামাদ আজাদ [[File:আব্দুস সামাদ আজাদ.jpg|thumb|]]
| imagesize =
| caption =
২৭ নং লাইন:
==রাজনৈতিক জীবন==
১৯৪০ সালে সামাদ আজাদ সুনামগঞ্জ মহকুমা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি হিসাবে ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পণ করেন। তিনি তখন সুনামগঞ্জ সরকারী জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও ইতিহাস বিষয়ে তিনি এম এ পাশ করেন। তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে সরকার তার এম এ ডিগ্রি কেড়ে নেয়। ১৯৪৪-৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিলেট জেলা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনেও রয়েছে এ রাজনীতিবিদের সুদীর্ঘ সংগ্রামী ইতিহাস। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করতে গিয়ে কারা বরণ করেন। ১৯৫৩ সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান যুব লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যনির্বাচিত হয়ে রাজনীতির লাইম লাইটে আসেন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্তপূর্বপাকিস্তান (বাংলাদেশ) আওয়ামীলীগের শ্রম সম্পাদকের দায়িত্বপালন করেন। ১৯৫৬ সালে সমগ্রপূর্বপাকিস্তান ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেয়ায় পাক সাময়িক সরকার পুনরায় তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারীর পর তিনি আবার গ্রেফতার হন এবং ৪ বছর কারাভোগ করে ১৯৬২ সালে মুক্তিলাভ করেন। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃ ক সৃষ্টষড়যন্ত্রমূলক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সাহসিকতার সাথে মোকাবিলা করতে গিয়ে কারারূদ্ধহন। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্যনির্বাচিত হন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ২ ও ৩নং আসন জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-৩ আসন এবং দিরাই-শাল-া-ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ-২, দুটি আসনে নির্বাচন করে সংসদ সদস্যনির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার (স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার) প্রতিষ্ঠাতা নেতাদের মধ্যেতিনি ছিলেন অন্যতম। বাঙালী জাতির স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্তআত্যান্তভাজন ব্যক্তিত্ব জনাব আব্দুস সামাদ আজাদ ছিলেন মুজিবনগর সরকারের রাজনৈতিক উপদেষ্টা (পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা) এবং ভ্রাম্যমান রাষ্ট্রদূত। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে সামাদ আজাদ বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বপান। ১৯৭১ সালের হাঙ্গেরি বুদাষ্টেবিশ্বশান্তিসম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং বিশ্ববর্ণবৈষম্যকমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয়উপনেতার দায়িত্বপালন করেন। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বপুনরায় পান। ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই দলের মনোনয়নে সংসদ সদস্যনির্বাচিত হন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্বপালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। ৭৫ পরবর্তী অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতীয় রাজনীতির পট পরিবর্তনের সময় তিনি ছিলেন নীতি ও আদর্শের প্রতি অবিচল। দীর্ঘদুর্ভোগ, জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের হুলিয়া মাথায় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে র অসাম্প্রদায়িক চেতনার সূর্যসন্তান হিসেবে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন।
 
 
== তথ্যসূত্র ==