বিশেষ আবহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
১৫ নং লাইন:
১৮৫৭ সালে অস্কার রেজেন্ডার ৩০ টি নেগেটিভের বিভিন্ন অংশ একটি একক ইমেজ মধ্যে সংযুক্ত করে বিশ্বের প্রথম "বিশেষ প্রভাব" চলচ্চিত্র তৈরি করেন। এটি একটি কোলাজ সমন্বয় মুদ্রণ ছিল। ১৮৯৫ সালে অ্যালফ্রেড ক্লার্ক প্রথমবারের মতো বিশেষ আবহ দিয়ে গ্রহণযোগ্য গতিশীল ছবি তৈরী করেছিলেন। একটি চলচ্চিত্রে স্কটিশ রানী মেরির শিরঃচ্ছেদের দৃশ্য পুনরাবৃত্তি করতে, ক্লার্ক একজন অভিনেতাকে মেরির পোশাকে ব্লকটিতে বারবার যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জল্লাদ যখন মাথায় করে কুড়াল নিয়ে আসছিলো তখন ক্লার্ক ক্যামেরা বন্ধ করে দিয়েছিল এবং সব অভিনেতা স্থির হয়ে গিয়েছিল। আর যিনি মেরির অভিনয় করছিলেন, তাকে সেট থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি অভিনেতার জায়গায় মেরির অনুরূপ একটি পুতুল স্থাপন করে নতুনভাবে চিত্রগ্রহণ শুরু করেন এবং পুতুলের মাথা কাটার জন্য জল্লাদকে তখন কুড়াল আনার অনুমতি দেন। এই ধরণের কৌশল এক শতাব্দী ধরে বিশেষ আবহ সৃজন শাসন করেছিল।<ref>Rickitt, 10.</ref>
 
সিনেমায় এই চাতুরতা ব্যবহারে এটিই শুধু প্রথমই ছিল না, এটি চলমান ছবির প্রথম ফোটোগ্রাফিক চাতুরি ছিল, যেমন "স্টপ ট্রিক"। জর্জ মেলিয়েস ঘটনাক্রমে একই "স্টপ ট্রিক" আবিষ্কার করেছিলেন। মেলিয়েস অনুযায়ী, প্যারিসে রাস্তার দৃশ্য চিত্রগ্রহণের সময় তার ক্যামেরা কাজ করছিল না। যখন তিনি চলচ্চিত্রটি দেখেন, তিনি "স্টপ ট্রিকটি" আবিস্কার করেন, যেখানে একটি পথচারীদের দিক পরিবর্তন করতে এবং পুরুষদের মহিলাদের মাঝে নিয়ে যেতে একটি ট্রাক শবযানে রুপান্তরিত হয়েছিল। থিয়েটার রবার্ট-হাউডিনের মঞ্চ ব্যবস্থাপক মেলিয়েস ১৯১৪-এর মধ্যে ৫০০ [[স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র]] ধারাবাহিক গড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, এই পদ্ধতিতে একাধিক এক্সপোজার, টাইম-ল্যাপ আলোকচিত্ৰবিদ্যা, দ্রবীভূত এবং হাতে আঁকা রং এর কৌশল উদ্ভাবন বা উন্নয়ন করেছিলেন। চলচ্চিত্রক্ষেপক ব্যাবহার করে নিপূণভাবে তার এই রূপান্তর করার দক্ষতার কারণে উর্বর মেলিয়েসকে অনেক সময় "সিনেম্যাজিশন" হিসেবে উল্লেখ হয়। তার সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্র এ ট্রিপ টু দ্যা মুন (১৯০২), জুলস ভার্নিসের ফ্রম দ্যা আর্থ টু মুন এর অদ্ভুত প্যারোডি ছিল। যাতে জীবন্ত দৃশ্য এবং এনিমেশনের সমন্বয় ঘটেছিল এবং ব্যাপকভাবে ক্ষুদ্রকায় এবং ঔজ্বল্যহীন অঙ্কন কাজের সঙ্ঘবদ্ধসংঘবদ্ধ করেছিল।
 
১৯২০ থেকে ১৯৩০ সালের মাঝের এই সময়টাতে বিশেষ আবহ কৌশলগুলো চলচ্চিত্র শিল্প দ্বারা উন্নত এবং পরিশীলিত হয়েছিল। সাফটান পদ্ধতির মত অনেক পদ্ধতি রঙ্গশালায় এবং স্থির ছবিতে (যেমন ডবল এক্সপোজার এবং ম্যাট কম্পোজিটিং) অক্ষিবিভ্রমে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল। রঙ্গশালায় অংকিত পটভুমির পরিমার্জিত ছিল পশ্চাৎ অভিক্ষেপ, চলন্ত ছবি বদলের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল পটভূমি তৈরি হত। মুখের অবয়বের ছাঁচ প্রচলিত মুখোশের আদলে করা হয়েছিল। মেকাপের উন্নতির সাথে সাথে চৎকার অনেক মুখোশ নির্মিত হয়েছিল, যা অভিনেতাদের সাথে সুন্দরভাবে মানিয়ে যেত। বস্তুগত বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে ভৌতিক সিনেমার মুখোশও সেভাবে উন্নতি লাভ করেছে।
 
== উল্লেখযোগ্য বিশেষ আবহ কোম্পানি ==