বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
{{অনুচ্ছেদসমূহ}}, {{পরিষ্করণ-পুনঃসংগঠন}}, {{ভূমিকাংশ অনুপস্থিত}} ও {{সূত্র উন্নতি}} ট্যাগ ({{বিবিধ সমস্য...
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎top: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
৫ নং লাইন:
{{সূত্র উন্নতি|date=জানুয়ারি ২০১৮}}
}}
'''বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন''' (বিএইচবিএফসি’র<ref>http://www.bhbfc.gov.bd</ref> প্রতিষ্ঠা ও ক্রমবিকাশ
 
পটভূমি:
আবাসন মানুষের একটি অন্যতম মৌলিক চাহিদা। বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিক্যাল ৫ (পার্ট ২) এ বলা আছে সরকার মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদা (খাদ্য, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য) পূরণ নিশ্চিত করবে। কাজেই জনগনের অন্যতম মৌলিক চাহিদা আশ্রয় বা বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। মানুষের খাদ্য ও বস্ত্রের চাহিদা পুরণ হওয়ার পরে যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে বাসস্থান বা আবাসন। বাসস্থান মানুষকে একান্তে বসবাসের সুযোগ ও প্রাকৃতিক পরিবেশগত বৈরীতা থেকে নিরাপত্তা প্রদান করে। স্বাস্থ্য ও স্বাচ্ছন্দ প্রদানের মাধ্যমে কর্ম তথা উপার্জনের ভিত্তি তৈরী করে দেয়। তাই বাংলাদেশ সরকার গৃহায়নকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তথা সামগ্রিকভাবে উন্নয়নের একটি অপরিহার্য শর্ত হিসেবে গণ্য করে।
 
উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের আবাসন সমস্যা প্রকট। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে আবাসনের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি এ চাহিদা পূরণে কৃষিজমির ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে কৃষি জমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। শিল্পায়ন ও নগরায়নের কারণে শহরে ও গ্রামে দিনে দিনেই আবাসনের চাহিদা বাড়ছে। আবাসন চাহিদা বৃদ্ধির প্রধান কারণসমূহ নিম্নরূপ:
২৪ নং লাইন:
সদর দফতর বিদ্যমান ভবনে স্থানান্তরের সময় উক্ত ভবনের হোল্ডিং নম্বর ছিল ২৪, পুরানা পল্টন। পরবর্তীকালে হোল্ডিং নম্বর পরিবর্তীত হয়ে ২২, পুরানা পল্টন হয়।
মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন’ রাখা হয়।
যুদ্ধ বিব্ধস্ত দেশে জনগণের আবাসন চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ১৯৭৩ সালে ‘‘Bangladesh House Building Finance Corporation’’ বা ‘‘President’s Order No. - 7/1973’’ মাধ্যমে কর্পোরেশন-কে পুনর্গঠিত করা হয়। স্বাধীনতা উত্তরকালে গৃহায়ন খাতে একমাত্র বিশেষায়িত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএইচবিএফসি নতুন উদ্দীপনায় কার্যক্রম শুরু করে।
 
তৎকালে কর্পোরেশনের Authorized Capital ছিল মাত্র ১০.০০ (দশ) কোটি টাকা।
৫৪ নং লাইন:
১৯৯৪ সালের অর্গানোগ্রাম মোতাবেক অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ছিল ৭২৫ জন। পরবর্তীকালে অবসরজনিত কারণে জনবল ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে এবং ২০০৯ সালের ৩০ জুন তারিখে জনবলের সংখ্যা দাঁড়ায় মাত্র ৪৪০ জনে। জনবলের ক্রম অবনতিশীল অবস্থার প্রেক্ষাপটে কর্পোরেশনে স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ে।
জনবল সংকটের এ পটভূমিতে ২০০৯ সালে সরকার কর্পোরেশনের নতুন অর্গানোগ্রাম অনুমোদন করে। এ অর্গানোগ্রামে জনবলের মোট সংখ্যা ৮২৫ জনে উন্নীত করা হয়। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে জনবল নিয়োগে গতি সঞ্চার হয় এবং ৩০ জুন/২০১২ তারিখ পর্যন্ত কর্পোরেশনের মোট জনবল বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৫৮৫ জনে।
২০১২ সালে সরকার অনুমোদিত কর্পোরেশনের সংশোধিত অর্গানোগ্রাম মোতাবেক অনুমোদিত জনবলের মোট সংখ্যা ৭৯৫ জন। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে নতুন জনবল নিয়োগের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের অনিস্পন্ন পদোন্নতি প্রদানের কার্যক্রমও দ্রত সম্পন্ন করা হয়। এর ফলে কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রমের গতিশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। জনবল নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রদানের পাশাপাশি নতুন ও পুরাতন সকল শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদানের কার্যক্রমও জোরদার করা হয়। এরফলে জনবলের দক্ষতাও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।
 
২০১২ সালে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ছিল ৭৯৫ জন। পাঁচ বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা কমে সেপ্টেম্বর’১৭ পর্যন্ত কর্মরত জনবলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪৮৩ জনে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তরকালে ১৯টি জেলা ভেঙ্গে ৬৪টি জেলাতে উন্নীত করলেও কর্পোরেশনের অফিস সংখ্যা তেমনভাবে বৃদ্ধি পায়নি। সারাদেশে ব্যাপক আবাসনের চাহিদা সত্বেও স্বাধীনতা উত্তর ৪৬ বৎসর কেটে গেলেও সকল জেলাতে কর্পোরেশনের অফিস স্থাপন করা হয়নি। ২০১৭ সালে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগদানের পর হতে কর্পোরেশনে কর্মকান্ডে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়।
 
প্রথমে ঋণের প্রোডাক্টগুলো জনগনের চাহিদা অনুযায়ী ৬টি বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে বিভক্ত করে সময়োপযোগী করা হয়। অফিসের সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন করে সাংগঠনিক কাঠামো-২০১৭ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। নতুন সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী আরো ৩টি মহাবিভাগ ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ এবং আরো ৪টি নতুন বিভাগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও ১০টি জোনাল, ১৪টি রিজিওনাল অফিস এবং ১০০টি শাখা অফিস করা হয়েছে। শাখাগুলোকে A, B, C তিনটি ক্যাটাগরীতে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও সাংগঠনিক কাঠামো-২০১৭ তে জনবল ৭৯৫ হতে বৃদ্ধি করে ১২৯৭ জন করা হয়েছে।