বিউবনিক প্লেগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পাতা তৈরি, অনুবাদ
 
সম্প্রসারণ
১ নং লাইন:
{{কাজ চলছে/২০১৮}}
{{About|রোগ|মধ্যযুগীয় প্লেগ সংক্রান্ত তথ্যের|ব্ল্যাক ডেথ}}
{{About|the disease|information about the medieval plague|Black Death}}
{{pp-semi-indef}}
{{pp-move-indef|small=yes}}
২৫ নং লাইন:
}}
<!-- Definition and symptoms -->
'''বিউবনিক প্লেগ''' ({{lang-en|Bubonic plague}}) হল ''[[ইরসিনিয়া পেস্টিস|ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস]]'' নামক ব্যাক্টেরিয়াঘটিত [[প্লেগ]] রোগের তিনটি প্রকারের একটি।<ref name=WHO2014/> জীবাণুর সংস্পর্শে আসার ১ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।<ref name=WHO2014/> উপসর্গগুলো হল [[জ্বর]], [[মাথাব্যথা]], বমি।<ref name=WHO2014/> ত্বকের যে স্থান দিয়ে জীবাণু প্রবেশ করে তার নিকটবর্তী লসিকাগ্রন্থি ফুলে যায় ও ব্যথা হয়।<ref name=CDC2012Sym>{{cite web |url=https://www.cdc.gov/plague/symptoms/index.html |title=Plague Symptoms |date=Jun 13, 2012 |accessdate=Aug 21, 2015 |deadurl=no |archiveurl=https://web.archive.org/web/20150819134608/http://www.cdc.gov/plague/symptoms/index.html |archivedate=19 August 2015 |df=dmy-all }}</ref>মাঝেমধ্যে ফোলা লসিকাগ্রন্থি ফেটে যেতে পারে।<ref name=WHO2014/>
 
<!-- Cause and diagnosis-->
রোগী প্লেগের তিনটি রূপভেদ যেমন বিউবনিক প্লেগ,[[সেপটিসেমিক প্লেগ]] ও [[নিউমনিকনিউমোনিক প্লেগ]] এর মধ্যে কোনটিতে আক্রান্ত হবে তা নির্ভর করে শরীরে জীবাণু প্রবেশের ধরনের উপর।<ref name=WHO2014/> বিউবনিক প্লেগ সাধারণত ছোট প্রাণী থেকে আক্রান্ত মক্ষিকার মাধ্যমে ছড়ায়।<ref name=WHO2014/>
এটা প্লেগে আক্রান্ত প্রাণীর মৃতদেহ থেকে নির্গত তরল পদার্থ থেকেও ছড়াতে পারে।<ref name=CDC2012Tran>{{cite web |url=https://www.cdc.gov/plague/transmission/index.html |title=Plague Ecology and Transmission |date=Jun 13, 2012 |accessdate=Aug 21, 2015 |deadurl=no |archiveurl=https://web.archive.org/web/20150822100946/http://www.cdc.gov/plague/transmission/index.html |archivedate=22 August 2015 |df=dmy-all }}</ref> বিউবনিক প্লেগের ক্ষেত্রে, মক্ষিকা ত্বকে কামড়ালে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে লসিকানালীর মাধ্যমে লসিকাগ্রন্থিতে পৌছায় ফলে লসিকা ফুলে যায়।<ref name=WHO2014/> রক্ত, থুতু বা লসিকাগ্রন্থিতে জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয় করে রোগ নির্ণয় করা যায়।<ref name=WHO2014/>
 
<!-- Prevention, treatment, and epidemiology -->
প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে যেমন যেসব এলাকায় প্লেগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেখানে জনগণকে মৃত প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখা<ref name=WHO2014/>প্লেগ প্রতিরোধে [[টীকা]]র কার্যকারিতা খুব একটা নেই।<ref name=WHO2014/> [[স্ট্রেপটোমাইসিন]], [[জেনটামাইসিন]], বা [[ডক্সিসাইক্লিন]] প্রভৃতি অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয়।<ref name=Lancet2007>{{cite journal |authors=Prentice MB, Rahalison L |title=Plague |journal=Lancet |volume=369 |issue=9568 |pages=1196–207 |year=2007 |pmid=17416264 |doi=10.1016/S0140-6736(07)60566-2 |url=}}</ref><ref name=CDC2012Tx>{{cite web |url=https://www.cdc.gov/plague/healthcare/clinicians.html |title=Plague Resources for Clinicians |date=Jun 13, 2012 |accessdate=Aug 21, 2015 |deadurl=no |archiveurl=https://web.archive.org/web/20150821214546/http://www.cdc.gov/plague/healthcare/clinicians.html |archivedate=21 August 2015 |df=dmy-all }}</ref> চিকিৎসা না করালে প্লেগ আক্রান্ত রোগীর ৩০% থেকে ৯০% রোগীই মৃত্যুবরণ করে।<ref name=WHO2014/><ref name=Lancet2007/> মৃত্যু হলে সাধারণত দশ দিনের মধ্যেই হয়।<ref>{{cite book|last1=Keyes|first1=Daniel C.|title=Medical response to terrorism : preparedness and clinical practice|date=2005|publisher=Lippincott Williams & Wilkins|location=Philadelphia [u.a.]|isbn=9780781749862|page=74|url=https://books.google.com/books?id=y4uCV4Gm82YC&pg=PA74|df=dmy-all}}</ref> চিকিৎসা সত্ত্বেও মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ১০%।<ref name=Lancet2007/>সারাবিশ্বে প্রতিবছর প্রতিবেদনকৃত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬৫০ জন তন্মধ্যে প্রায় ১২০ জন মৃত্যুবরণ করে।<ref name=WHO2014/>একবিংশ শতাব্দীতে আফ্রিকায় এই রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।<ref name=WHO2014>{{cite web|author1=World Health Organization|title=Plague Fact sheet N°267|url=http://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs267/en/|accessdate=10 May 2015|date=November 2014|deadurl=no|archiveurl=https://web.archive.org/web/20150424065540/http://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs267/en/|archivedate=24 April 2015|df=dmy-all}}</ref>
 
<!-- History, society and culture -->
প্লেগকে [[ব্ল্যাক ডেথ]] এর কারণ হিসেবে মনে করা হয় যা [[এশিয়া]], [[ইউরোপ]] ও [[আফ্রিকা]]য় চতুর্দশ শতাব্দীতে মহামারী আকারে দেখা দেয় যাতে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ প্রাণ হারায়।<ref name=WHO2014/> যার ২৫%-৬০% লোকই ছিল ইউরোপীয়।<ref name=WHO2014/><ref name=CDC2012Hx/> সে সময় বহুসংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ মৃত্যুবরণ করায় শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেয় ফলে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি পায়।<ref name=CDC2012Hx/> কোনোকোনো ঐতিহাসিক এই ঘটনাকে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের সন্ধিক্ষণ বোলে বিবেচনা করেন।<ref name=CDC2012Hx>{{cite web |url=https://www.cdc.gov/plague/history/index.html |title=Plague History |date=Jun 13, 2012 |accessdate=Aug 21, 2015 |deadurl=no |archiveurl=https://web.archive.org/web/20150821062557/http://www.cdc.gov/plague/history/index.html |archivedate=21 August 2015 |df=dmy-all }}</ref> ''bubonic'' শব্দটি গ্রিক শব্দ [[wikt:βουβών|βουβών]] থেকে উদ্ভূত যার অর্থ "কুঁচকি" (groin)।<ref>{{cite book |last=LeRoux |first=Neil |date=2007 |title=Martin Luther As Comforter: Writings on Death Volume 133 of Studies in the History of Christian Traditions |url=https://books.google.com/books?id=HJK9MucO298C&pg=PA247 |location= |publisher=BRILL |page=247 |isbn=9789004158801 |df=dmy-all }}</ref> স্ফীত লসিকাগ্রন্থিকে বুঝাতে "buboes" শব্দটিও ব্যবহৃত হয়।<ref>{{cite book|last1=Edman|first1=Bruce F. Eldridge, John D.|title=Medical Entomology a Textbook on Public Health and Veterinary Problems Caused by Arthropods|date=2004|publisher=Springer Netherlands|location=Dordrecht|isbn=9789400710092|page=390|edition=Rev..|url=https://books.google.com/books?id=61vuCAAAQBAJ&pg=PA390|df=dmy-all}}</ref>
 
==উপসর্গসমূহ==
[[File:Acral necrosis due to bubonic plague.jpg|thumb|upright|রক্ত ও ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়া বিউবনিক প্লেগে আক্রান্ত রোগীর ছবি দেখানো হয়েছে যার নাকের অগ্রভাগ, ঠোঁট, হাতের আঙুলে [[টিস্যু নেক্রোসিস]] হয়েছে এবং তার অগ্রবাহুতে কালশিরে পড়েছে। এক সময় ব্যক্তিটির সমগ্র শরীরেই কালশিরে পড়েছিল।]]
 
বিউবনিক প্লেগের সবচেয়ে সুপরিচিত লক্ষণ হল এক বা একাধিক সংক্রমিত, স্ফীত ও ব্যথাযুক্ত [[লসিকা গ্রন্থি]] যা [[বিউবো]] নামে পরিচিত। "ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস" নামক ব্যাক্টেরিয়া মক্ষিকার কামড়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের পর নিকটবর্তী লসিকা গ্রন্থিতে বসতি গড়ে এবং বংশবিস্তার করে। বিউবোগুলো সাধারণত বগল, ঊরুর ঊর্ধ্বভাগ, কুঁচকি ও ঘাড় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। এছাড়া হাত ও পায়ের আঙুল, ঠোঁট ও নাকের অগ্রভাগের টিস্যুতে [[গ্যাংরিন|গ্যাংগ্রিন]] হয়।
কামড়ভিত্তিক বিস্তারপ্রক্রিয়া হওয়ায় বিউবনিক প্লেগেই প্রথম প্রকাশ পায়। বিউবনিক প্লেগের উপসর্গসমূহ ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশ পায়। উপসর্গসমূহ নিম্নরূপঃ
*শীত শীত অনুভূতি
*অসুস্থতা-বোধ
*উচ্চমাত্রায় [[জ্বর]] >{{convert|39|°C|°F|1|lk=on|abbr=on}}
*মাংসপেশি সংকোচন<ref>{{cite web |title=Symptoms of Plague |work=Brief Overview of Plague |series=iTriage |url=https://www.itriagehealth.com/conditions/plague-bubonic-plague-bacteria-yersinia-infection-580 |publisher=Healthagen, LLC |accessdate=November 26, 2014 |deadurl=no |archiveurl=https://web.archive.org/web/20160204111725/https://www.itriagehealth.com/conditions/plague-bubonic-plague-bacteria-yersinia-infection-580 |archivedate=4 February 2016 |df=dmy-all }}</ref>
*খিঁচুনি
*মসৃণ, স্ফীত, ব্যথাযুক্ত লসিকা গ্রন্থি বা বিউবো যা কুঁচকিতে বেশি দেখা যায় তবে বগল বা ঘাড়েও থাকতে পারে। প্রায়শ প্রাথমিক সংক্রমনের নিকটবর্তী স্থানে বেশি দেখা যায়।
*আক্রান্ত লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার আগেই ব্যথা হতে পারে।
*হাত ও পায়ের আঙুল, ঠোঁট ও নাকের অগ্রভাগের টিস্যুতে [[গ্যাংরিন|গ্যাংগ্রিন]] হয়।<ref>{{cite journal | pmid = 10807389 | volume=283 | issue=17 | title=Plague as a biological weapon: medical and public health management. Working Group on Civilian Biodefense |date=May 2000 |authors=Inglesby TV, Dennis DT, Henderson DA | journal=JAMA | pages=2281–90 | doi=10.1001/jama.283.17.2281|display-authors=etal}}</ref>
অন্যান্য লক্ষণসমূহের মধ্যে রয়েছে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, অনবরত রক্তবমি (হিমাটেমেসিস), হাত-পা ব্যথা হওয়া, কাশি ও রোগী জ্যান্ত থাকা অবস্থাতেও ত্বকের ক্ষয় বা পচনের ফলে সৃষ্ট তীব্র ব্যথা। এছাড়া প্রচণ্ড ক্লান্তি, পেটের সমস্যা, লেন্টিকিউলি (সারা দেহে ছড়িয়ে থাকা কালো দাগ), চিত্তবৈকল্য বা প্রলাপ বকা ও গাঢ় নিদ্রা বা অচেতন অবস্থা।
 
==কারণ==
[[File:Flea infected with yersinia pestis.jpg|thumb|এটা ''[[ইরসিনিয়া পেস্টিস|ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস]]'' নামক [[ব্যাক্টেরিয়া]] দ্বারা সংক্রমিত একটা ওরিয়েন্টাল র্যা ট ফ্লি (''Xenopsylla cheopis'') এর চিত্র যার অন্ত্রে জীবাণুগুলো কালো পিণ্ড আকারে দেখা যাচ্ছে। অন্ত্রের সম্মুখভাগ ''Y. pestis'' এর বায়োফিল্ম দ্বারা অবরুদ্ধ থাকে ফলে যখন মক্ষিকা অসংক্রমিত [[পোষক(জীববিজ্ঞান)|পোষকের]] রক্ত খাওয়ার চেষ্টা করে তখন অন্ত্র থেকে জীবাণু উদ্গিরণের মাধ্যমে কামড়ানোর স্থানে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।]]
 
বিউবনিক প্লেগ হল ''Xenopsylla cheopis'' নামক সংক্রমিত র্যাষট ফ্লির কামড়ের ফলে সৃষ্ট লসিকাতন্ত্রের একটি সংক্রমণ। খুব বিরল কিছু ক্ষেত্রে যেমন সেপটিসেমিক প্লেগ, সরাসরি সংক্রমিত টিস্যু বা আরেকজন সংক্রমিত ব্যক্তির কফের সংস্পর্শে আসলে রোগটি ছড়াতে পারে। মক্ষিকাটি গৃহ ও ক্ষেতের ইঁদুরের দেহে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং তার পোষকটি মারা গেলে আরেকটি শিকারের সন্ধান করে। ব্যাক্টেরিয়াটি মক্ষিকার কোনো ক্ষতি করে না যা এক পোষক থেকে আরেক পোষকে জীবাণুর বিস্তারে সহায়তা করে। জীবাণুগুলো মক্ষিকার অন্ত্রে জড়ো হয়ে একটি পিণ্ডের মতো বায়োফিল্ম তৈরি করে। অন্ত্রের সম্মুখভাগ ''Y. pestis'' এর বায়োফিল্ম দ্বারা অবরুদ্ধ থাকে ফলে যখন মক্ষিকা অসংক্রমিত [[পোষক(জীববিজ্ঞান)|পোষকের]] রক্ত খাওয়ার চেষ্টা করে তখন অন্ত্র থেকে জীবাণু উদগিরণের মাধ্যমে কামড়ানোর স্থানে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়। ব্যাক্টেরিয়া মক্ষিকার কামড়ের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশের পর নিকটবর্তী লসিকা গ্রন্থিতে বসতি গড়ে এবং বংশবিস্তার করে।
''[[ইরসিনিয়া পেস্টিস|ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস]]'' ব্যাক্টেরিয়া [[ফ্যাগোসাইটোসিস]] ঠেকাতে পারে এমনকি ফ্যাগোসাইটের অভ্যন্তরে বংশবিস্তার করতে পারে ও তাদেরকে হত্যাও করতে পারে।
কিছুদিনের মধ্যে লসিকা গ্রন্থিতে রক্তপাত হয়ে স্ফীত হয় ও টিস্যুগুলো নেক্রোসিস হয়। কখনোকখনো বিউবনিক প্লেগ প্রাণঘাতী সেপটিসেমিক প্লেগে রূপান্তরিত হতে পারে। প্লেগ ফুসফুসেও ছড়াতে পারে সেক্ষেত্রে এটি নিউমোনিক প্লেগ নামে পরিচিত।
 
 
 
 
==তথ্যসূত্র==