নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
৫১ নং লাইন:
|footnotes =
}}
'''নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ''' [[নীলফামারী সদর উপজেলা]]র একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক (পাস) শ্রেণী পড়ান হয়।
 
'''নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ''' [[নীলফামারী সদর উপজেলা]]র একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক (পাস) শ্রেণী পড়ান হয়।
 
==প্রতিষ্ঠাকাল:==
নীলফামারী সরকারি মহিলা কলেজ ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং ১৯৮৪ সালে জাতীয়করণ করা হয়।<ref name="Nilphamari Govt. Women's College">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://nilgovwc.wordpress.com/|title=Nilphamari Govt. Women's College|work=Nilphamari Govt. Women's College}}</ref>
 
== ইতিহাস ==
 
উত্তর বাংলার প্রত্যন্ত মহকুমা শহর নীলফামারী শিক্ষা-সংস্কৃতির উৎসভূমি হলেও স্বাধীনতা পূর্ব কোন মহিলা মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয়নি। নারী শিক্ষার সম্প্রসারণে স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিত্বের অভিলাষে ও তৎকালীন স্বাধীনতা উত্তর জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ১৯৭২ সনের ১ জুলাই অনানুষ্ঠানিকভাবে নারী শিক্ষার জন্য মহিলা মহাবিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তারই প্রেক্ষিতে ১৯৭২ সনের ১৪ আগষ্ট সোমবার বিকেল ৫.০০ টায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে নীলফামারী সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ের উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেনিপাঠের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভার প্রস্তাবক ছিলেন এডভোকেট মোঃ জোনাব আলী এবং সভাপতি ছিলেন নীলফামারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোশাররফ হোসেন। নীলফামারী মহিলা মহাবিদ্যালয় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন হতে পুরাতন মুসলিম বোর্ডিং ভবনে নির্ধারিত স্থায়ী জায়গায় ১০ মার্চ ১৯৭৩ ইং তারিখের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। মহাবিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর পশ্চিম প্রান্তসীমা ব্যতিরেকে ১৯৭৩ সালের মধ্যেই সম্পন্ন হয়।
 
১৯৮৪ সালের ২২ জানুয়ারী প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের ঘোষণা হলেও জাতীয়করণের কাজটি সুসম্পন্ন হয় ০১ নভেম্বর ১৯৮৪ সালে। নীলফামারী মহকুমা শহরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে হিন্দু ও মুসলিম ছাত্রদের সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দুটি ছাত্রাবাস নির্মিত হয়। সেই মুসলিম ছাত্রাবাসে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠা পায় নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সময়ের চক্রে এই মুসলিম ছাত্রাবাসটি পরিণত হয় নীলফামারী সরকারি কলেজে। এরপর বিবর্তনে নীলফামারী সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস, নীলফামারী রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতন এবং পরিশেষে নীলফামারী সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় রূপে এর পূর্ণতা। তৎকালীন মুসলিম ছাত্রাবাসটি ছিল অনেক বিদ্যাপিঠের সূতিকাগার।
 
প্রতিষ্ঠার পর শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বাণিজ্য ও মানবিক শাখা নিয়ে মহাবিদ্যালয়টি নিবন্ধিত হয়। ইতোমধ্যে কলা অনুষদে স্নাতক (পাস) শ্রেনিতে ১৯৮৫ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ তিন যুগ পর ২০১০ সালে মহাবিদ্যালয়টিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শাখায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে বাংলা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে এবং ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ইতিহাস ও দর্শন বিভাগে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে ইংরেজি সহ অন্যান্য কয়েকটি বিষয়ে সম্মান কোর্স চালু করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান কলেজটি ৩.০৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। কলেজের দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চারতলা বিশিষ্ট সুসজ্জিত একটি ছাত্রীনিবাস রয়েছে।<ref name="Nilphamari Govt. Women's College" />
==কলেজ প্রতিষ্ঠাকলিনপ্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি:==
 
 
<ref name="Nilphamari Govt. Women's College" />
 
==কলেজ প্রতিষ্ঠাকলিন কমিটি:==
কলেজ প্রতিষ্ঠাকালে এ কমিটির অবদান অনস্বীকার্য্য। তৎকালিন কমিটির সদস্যগণ হলেন:
*জনাব প্রয়াত এ্যাডভোকেট দবির উদ্দিন
৭৭ ⟶ ৬৯ নং লাইন:
*জনাব আহসান আহমেদ
*এ্যাডভোকেট জোনাব আলী
*অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন। <ref name="Nilphamari Govt. Women's College"/>
 
==ফলাফল==
উচ্চ মাধ্যমিক ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে বিঞ্জান বিভাগে ৪৯ জন, ব্যবসায় শিক্ষায় ৮০জন এবং মানবিক শাখায় ৩৮০ জন পাশ করে। করে<ref name="auto"/>
উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৬২.৪৫% এবং স্নাতকে পাশের হার ৫১.৪০% <ref name="auto"/>
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
৯১ ⟶ ৮১ নং লাইন:
 
[[বিষয়শ্রেণী:নীলফামারী জেলার কলেজ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের কলেজ]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭২-এ প্রতিষ্ঠিত]]
[[বিষয়শ্রেণী:রংপুরের কলেজ]]