কুরআনের সমালোচনা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
202.142.96.73-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে এম আবু সাঈদ-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস...
ট্যাগ: পুনর্বহাল
অভীক (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১০ নং লাইন:
==== সমালোচনা ====
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ধর্ম এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ফ্রান্সিস পিটারস এর মতে,
'' ঐতিহাসিকদের নিকট কুরআন পর্যালোচনার ক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় হচ্ছে এর ঐতিহাসিক বিশুদ্ধতা। যদিও মুসলিমদের নিকট পবিত্র কুরআন মহান ঈশ্বরের বাণিবাণী হিসেবে স্বীকৃত, নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকদের জন্য একে ধর্মগ্রন্থ হিসেবে পর্যালোচনা ও সমালোচনা অনুচিত ও অধিকার বহির্ভূত। ঐতিহাসিকগণের কাছে মুখ্য বিষয় হওয়া উচিৎ যে, কুরআন একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা সপ্তম শতকে মক্কায় মুহাম্মাদ কর্তৃক প্রচারিত হয়েছিল। এটি অবশ্য কোন লিখিত পাণ্ডুলিপি ছিল না। আমাদের কাছে যে কুরআনের অনুলিপি আছে, তা খলিফা উসমান এর নির্দেশে প্রথম সংকলন করা হয়।.. উসমানের পূর্বে কুরআনের যে সব আংশিক পাণ্ডুলিপি ছিল, সেগুলোর সাথে উসমান কর্তৃক সংকলিত পাণ্ডুলিপি খুব একটা পার্থক্য দেখা যায় না। তবে উসমানীয় সূত্রগুলো ভাঙা ভাঙা, এবং সে কারণে হতে পারে, তার সময়ে সংকলিত পাণ্ডুলিপিতে একটি বড় অংশ হয়তো সংযোজন করা হয়েছে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কিছু আয়াত বাদ দেয়া হয়েছে। তাই মুসলিম পণ্ডিতদের কেউ কেউ, যারা উসমানের আমলে সংকলিত কুরআনের অনুলিপির বিভিন্ন অংশের তথ্যসূত্র বা সনদ বা নবীজী থেকে কোন যোগসূত্র খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছেন, তারা অভিযোগ তুলেছেন যে, কুরআনের মূল পাণ্ডুলিপির সাথে সংকলিত বর্তমান পাণ্ডুলিপির মধ্যে গরমিল রয়েছে। তবে এই যুক্তি সুস্পষ্টভাবে উদ্দেশ্যমূলক এবং মূল বিষয়টি তুলে ধরবার জন্য যে প্রমাণাদি পেশ করা হয়েছে, তা নিতান্তই অপ্রতুল। এ কারণে কিছু ব্যক্তিবর্গ 'বর্তমান কুরআন আসলেই মুহাম্মাদের সময়কার কুরআন'- এ বিষয়ে আশ্বস্ত হতে পারেন নি।"<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=Francis E. Peters (1994). Muhammad and the Origins of Islam. SUNY Press. pp. 257–. {{আইএসবিএন|978-0-7914-1875-8}}.|last=|first=|publisher=|year=|isbn=|location=|pages=}}</ref>
 
ইসলামের অনুসারীদের নিকট কুরআন সম্পূর্ণ নির্ভুল গ্রন্থ।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=তাফসীরে ইবনে কাসীর|last=|first= |publisher=|year=|isbn= |location= |pages= }}</ref> কেননা, এটি বিশ্ব জগতের প্রভু [[আল্লাহ|আল্লাহর তাআলা]]র পক্ষ থেকে আগত বাণিবাণী, যাতে ভুল বা দ্বন্দ্বের কোন অবকাশ থাকতে পারে না। তাই, কুরআনের বিরুদ্ধবাদীদের জবাবে তারা বলেন, কুরআন সংকলনের ক্ষেত্রে যে অপরিসীম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এরকম সতর্কতা আর দ্বিতীয় কোন গ্রন্থের ব্যাপারে পাওয়া যায় না।
 
মহানবী [[মুহাম্মাদ (সাঃ)|মুহাম্মাদ (সা)]] এর বয়স যখন চল্লিশ বছর, তখন থেকে কুরআন অবতরণ শুরু হয়। এটি ছিল ৬১০ খ্রিস্টাব্দ। এরপর সুদীর্ঘ প্রায় ২২ বছর যাবৎ এর অবতরণ অব্যাহত থাকে এবং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। অবতরণের বিভিন্ন পর্যায়ে যখনই কুরআন নাজিল হতো, মুহাম্মাদ (সা) এবং তার অনুসারীবৃন্দ তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন। প্রাথমিকভাবে, কুরআনের নাজিলকৃত অংশে মুখস্থকরণের মাধ্যমে তা সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে, লিখনীর মাধ্যমে তা হিফাজতের ব্যবস্থা করা হয়। সংরক্ষণ ও নির্ভুলতার ক্ষেত্রে কোনকোনো প্রামাণ্য দলিল যখন শুরু থেকেই লিপিবদ্ধ করা হয়, তখন তার গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। লোকমুখে প্রচারিত ইতিহাস, গল্প খুব সহজেই বিকৃত হয়ে যেতে পারে; কিন্তু লিখিত কোন দলিলের ক্ষেত্রে তা হওয়া সম্ভবপর নয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=বাইবেল, কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান|last=ড. মরিস বুকাইলি|first=|publisher=|year=১৯৭৫|isbn=|location=|pages=}}</ref>
 
লিপিবদ্ধ হবার এ গুরুত্বপূর্ণ দিকটি কুরআনে সব সময়ই গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছেঃ
২৪ নং লাইন:
একদম সর্বপ্রথম আয়াতে নাজিলকৃত এ আয়াতগুলোতে কলমের নির্দেশনা এসেছে, যা কুরআনের লিপিবদ্ধ প্রামাণ্যতার স্বাক্ষর বহন করে। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি আয়াত রয়েছে, যা কুরআনের লৈপিক অনুলিপির প্রমাণ বহন করে।
 
এভাবে, মুহাম্মাদ (সা) এর তিরোধান পর্যন্ত সমস্ত কুরআন নবীজীর সহচরদের দ্বারা মুখস্থ ও লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়। নবী মুহাম্মাদ (সা) তাঁর জীবনের শেষ [[রমজান(ইসলামিক পবিত্র মাস)|রমজান]] মাসে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ ধারাবাহিকভাবে ফিরিশতা জিবরাঈল এর কাছে থেকে শুনে নেন এবং সম্পূর্ণ কুরআন তিনি নিজেও জিবরাঈল কে পাঠ করে শোনান। এতে পুরো কুরআনের বিন্যাসের চূড়ান্ত প্রতিরূপ স্পষ্ট হয়ে যায়। নবী মুহাম্মাদ (সা) এর তিরোধানের পর ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর (রা) এর সময়ে অহি লিখক জায়িদ (রা) এর তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ কুরআনের একটি লিখিত পান্ডুলিপি তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে তৃতীয় খলিফা উসমান (রা) এর সময় পুনরায় অহি বিশেষজ্ঞ সকল সাহাবীর পরামর্শ, তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে কুরআনের চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি তৈরি করা হয় এবং এই পাণ্ডুলিপি থেকে আরো সাতটি অনুলিপি প্রস্তুত করে সাতটি প্রদেশে প্রেরণ করে দেয়া হয়। কুরআন সংকলনের কাজে এই মহান অবদানের জন্য উসমান (রা) কে 'জামিউল কুরআন' বা 'কুরআন একত্রকারী' বলে অভিহিত করা হয়।
 
== বৈজ্ঞানিক অসংগতিসমূহ ==