পদার্থবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shebu Islam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Shebu Islam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
[[File:CollageFisica.jpg|300px|thumb|পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন উদাহরণ]]
 
[[চিত্র:Newton'sLawsOfMotion.svg|thumb|right|250px|[[নিউটন|নিউটনের]] [[নিউটনের গতিসূত্রসমূহ|গতিসূত্রসমূহ]]]]
 
'''পদার্থবিজ্ঞান''' ({{lang-en|Physics}}) [[পদার্থ]] ও তার [[গতি|গতির]] [[বিজ্ঞান]]।<ref>
৮ নং লাইন:
 
পদার্থবিজ্ঞান প্রাচীনতম একাডেমিক বিষয়ের মধ্যে অন্যতম, সম্ভবত জ্যোতির্বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে প্রাচীনতম।<ref name="krupp2003">{{harvnb|Krupp|2003}}</ref> শেষ দুই সহস্রাব্দে, পদার্থবিজ্ঞান রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং গণিতের কিছু শাখার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দর্শনের অংশ ছিল, কিন্তু 17 শতকের বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের সময় প্রাকৃতিক বিজ্ঞান তাদের নিজস্ব অধিকার হিসাবে অনন্য গবেষণা কর্মসূচিতে পরিণত হয়।{{efn|[[Francis Bacon]]'s 1620 ''[[Novum Organum]]'' was critical in the [[History of scientific method|development of scientific method]].<ref name="Cajori1917">{{harvnb|Cajori|1917|pp=48–49}}</ref>}} পদার্থবিদ্যা গবেষণার অনেক আন্তঃসম্পর্কিত এলাকায়, যেমন জৈববিজ্ঞান এবং কোয়ান্টাম রসায়ন হিসাবে ছেদ করে, এবং পদার্থবিজ্ঞানের সীমারেখা কঠোরভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় না পদার্থবিজ্ঞানে নতুন ধারণাগুলি প্রায়ই অন্যান্য বিজ্ঞানগুলির মৌলিক পদ্ধতি ব্যাখ্যা করে<ref name="youngfreedman2014p1" /> যখন গণিত এবং দর্শনের ক্ষেত্রে গবেষণার নতুন নতুন উপায়গুলি খোলার সময়।
 
পদার্থবিজ্ঞান তাত্ত্বিক সাফল্য থেকে উদ্ভূত নতুন প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অবদানও করে। উদাহরণস্বরূপ, তড়িচ্চুম্বকত্ব বা পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের বিকাশের অগ্রগতিগুলি সরাসরি নতুন পণ্যগুলির উন্নয়নে পরিচালিত হয়েছে যা নাটকীয়ভাবে একটি আধুনিককালের সমাজ যেমন টেলিভিশন, কম্পিউটার, গার্হস্থ্য যন্ত্রপাতি এবং পারমাণবিক অস্ত্রকে রূপান্তরিত করেছে;<ref name="youngfreedman2014p1" /> তাপবিদ্যায় অগ্রগতি ঘটেছে শিল্পায়ন উন্নয়ন, এবং মেকানিক্স মধ্যে অগ্রগতি ক্যালকুলাসের <sup>(calculus)</sup> উন্নয়ন অনুপ্রাণিত করেছেন। পদার্থবিদ্যা এর শব্দকোষ দেখুন
 
পদার্থবিজ্ঞান জ্ঞানের প্রাচীনতম শাখাগুলির একটি এবং এটির সবচেয়ে প্রাচীন উপশাখার আধুনিক নাম [[জ্যোতির্বিজ্ঞান]]।<ref>Evidence exists that the earliest civilizations dating back to beyond 3000BC, such as the [[Sumer]]ians, [[Ancient Egyptians]], and the [[Indus Valley Civilization]], all had a predictive knowledge and a very basic understanding of the motions of the Sun, Moon, and stars.</ref> [[প্রকৃতি]] নিয়ে [[গবেষণা]] মানুষের আদিমতম কাজের একটি, তবে পদার্থবিজ্ঞান বলতে বর্তমানে যাকে বোঝানো হয় তার জন্ম ১৬শ শতাব্দীর [[বৈজ্ঞানিক বিপ্লব|বৈজ্ঞানিক বিপ্লবোত্তর-কালে]], যখন এটি [[বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি]] অনুসরণকারী একটি [[বিজ্ঞান|বিজ্ঞানে]] পরিণত হয়<ref>[[ফ্রান্সিস বেকন]] (১৬২০) তাঁর ''Novum Organum'' গ্রন্থে [[বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ইতিহাস|বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রচলনের]] বিরোধী ছিলেন।</ref> তার আগে প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার সাধারণ নাম ছিল [[প্রাকৃতিক দর্শন]], যাকে ঠিক বিজ্ঞান বলা যায় না।
১৩ ⟶ ১৫ নং লাইন:
[[জড়পদার্থ|জড়পদার্থের]] ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানদায়ক বিদ্যা বা শাস্ত্র হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান গবেষণার সাথে জড়িত ব্যক্তি [[পদার্থবিজ্ঞানী|পদার্থবিজ্ঞানী-রূপে]] পরিচিত। পদার্থবিজ্ঞানীরা আমাদের চারপাশের বস্তুজগৎ কি আচরণ করে আর কেনই বা সেইসব আচরণ করে, তা বোঝার চেষ্টা করেন। তাঁরা এ উদ্দেশ্যে অনুকল্প প্রস্তাব করেন, এবং সেগুলি বাস্তবে পর্যবেক্ষণসম্ভব উপাত্তের সাথে মিলিয়ে দেখেন। এই দৃষ্টিকোণ থেকে পদার্থবিজ্ঞান [[রসায়ন]] ও [[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানের]] সাথে সম্পর্কিত। আবার শাস্ত্রটি [[দর্শন]] ও [[গণিত|গণিতের]] সাথেও সম্পর্কিত। উল্লিখিত সমস্ত শাস্ত্রগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক ও নির্ভরশীলতা সুসংজ্ঞায়িত নয়, বরং জটিল। প্রকৃতিকে ভালভাবে বিশ্লেষণ করার জন্য এ সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান এই তিনটি প্রধান বিজ্ঞানে ভাগ করে নেয়া হয়েছে। রসায়নে [[মৌলিক পদার্থ|মৌলিক]] ও [[যৌগিক পদার্থ]] আলোচিত হয়, জীববিজ্ঞানে [[জীবন]] ও জীবিত বস্তুসমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়, আর বাকী সব কিছু আলোচনা করা হয় পদার্থবিজ্ঞানে। দর্শন ও গণিতের সাথে পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্ক আরও জটিল। আধুনিক বিজ্ঞান হিসেবে জন্মলাভের আগ পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু [[দর্শন|দর্শনশাস্ত্রে]] আলোচিত হত এবং বর্তমান দর্শনের নানা শাখায় অধীত বিষয়সমূহ পদার্থবিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে ব্যাখ্যা করার ইচ্ছা রাখেন (যেমন - [[অস্তিত্ব|অস্তিত্বের]] মত [[অধিবিদ্যা|অধিবিদ্যামূলক]] ধারণাসমূহ), যদিও তা সম্ভব না-ও হতে পারে। পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা ও [[তত্ত্ব|তত্ত্বগুলি]] প্রায় সার্বজনীনভাবে গাণিতিক [[সমীকরণ|সমীকরণের]] সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। তাই গণিতকে প্রায়ই পদার্থবিজ্ঞানের ভাষা বলে অভিহিত করা হয়।<ref>"Philosophy is written in that great book which ever lies before our eyes. I mean the universe, but we cannot understand it if we do not first learn the language and grasp the symbols in which it is written. This book is written in the mathematical language, and the symbols are triangles, circles and other geometrical figures, without whose help it is humanly impossible to comprehend a single word of it, and without which one wanders in vain through a dark labyrinth." -- [[গ্যালিলিও]] (১৬২৩), ''[[The Assayer]]'', G. Toraldo Di Francia (1976), ''The Investigation of the Physical World'' {{আইএসবিএন|0-521-29925-X}} p.10-এ উদ্ধৃত।
</ref> আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে উপরের সবগুলি শাস্ত্রের মধ্যে গণিতের সাথেই পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্ক সবচেয়ে নিবিড়। পদার্থবিজ্ঞান গণিতের কিছু শাখার উন্নয়নে সরাসরি সহায়তা করেছে, যেমন - [[ভেক্টর বিশ্লেষণ]]। আবার বিজ্ঞানের ইতিহাসে এরকম অনেক ব্যক্তি আছেন যারা গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান উভয়ক্ষেত্রেই পারদর্শী ছিলেন, যেমন - [[আইজাক নিউটন|নিউটন]], [[লেওনার্ড অয়লার|অয়লার]], [[কার্ল ফ্রিড্‌রিশ গাউস|গাউস]], [[অঁরি পোয়াঁকারে|পোয়াঁকারে]] প্রমুখ। পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতের আন্তঃসম্পর্ক পদার্থবিজ্ঞানকে [[তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান]] ও [[পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞান]] নামের দুইটি প্রধান শাখায় ভাগ করেছে।
[[চিত্র:Newton'sLawsOfMotion.svg|thumb|right|250px|[[নিউটন|নিউটনের]] [[নিউটনের গতিসূত্রসমূহ|গতিসূত্রসমূহ]]]]
 
[[তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান]] এবং এর সংশ্লিষ্ট শাস্ত্র [[গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান|গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানে]] সাধারণত [[অনুকল্প|অনুকল্পসমূহ]] প্রস্তাব করা হয়, আর [[পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞান|পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানে]] এই অনুকল্পগুলিকে প্রকৃতির সাথে পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই দুই শাখা একে-অপরের পরিপূরক: তত্ত্বসমূহ পরীক্ষা করা হয় ও পরীক্ষাশেষে উন্নততর [[তত্ত্ব]] প্রস্তাব করা হয়, যেগুলো আবার পরীক্ষা করা হয় এবং এভাবেই ক্রমশ চলতে থাকে। পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা মূলত [[শিক্ষা প্রতিষ্ঠান]] বা পেশাদারী [[পরীক্ষাগার|পরীক্ষাগারে]] সম্পন্ন করা হয় এবং আধুনিক যুগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গবেষণা হয় না বললেই চলে। তাত্ত্বিক কাজকর্ম মূলত ব্যক্তিগত হলেও তা অন্যান্য পদার্থবিজ্ঞানীদের সাথে আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতেই ঘটে।<ref>অতীতেও পদার্থবিজ্ঞানীরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। এপ্রসঙ্গে নিউটন ও [[রবার্ট হুক]] এবং [[আলবার্ট আইনস্টাইন|আইনস্টাইন]] ও [[নিল্‌স বোর|বোরের]] মধ্যকার পত্র-যোগাযোগ স্মরণীয়।</ref> বর্তমান আধুনিক যুগে পদার্থবিজ্ঞানীরা সাধারণত পদার্থবিজ্ঞানের যে-কোন একটি বিশেষ ক্ষেত্রের উপর দক্ষতা অর্জন করেন, যা অতীতের পদার্থবিজ্ঞানীদের কর্মপন্থার বিপরীত।<ref>উদাহরণস্বরূপ নিউটন [[আলোকবিজ্ঞান]], [[বলবিজ্ঞান]] এবং [[অভিকর্ষ|অভিকর্ষের]] উপর অবদান রাখেন; অয়লার এবং গাউস পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখেন।</ref> অন্যদিকে নিউটন, অয়লার বা গাউসের মত পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন আলাদা শাখার প্রতিটিতে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন, এরকম আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।