যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ বিষয়শ্রেণী |
পরিমার্জন |
||
২০ নং লাইন:
== প্রারম্ভিক জীবন ==
যতীন্দ্রমোহনের জন্ম [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]]। পিতা [[যাত্রামোহন সেন]] ছিলেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট আইনজীবী ও বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য। তিনি ১৯০২ সালে হেয়ার স্কুল হতে প্রবেশিকা পরীক্ষায় করেন ও প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৯০৪ সালে বিলেতে যান উচ্চশিক্ষার্থে। ১৯০৮ এ কেমব্রিজ হতে বি.এ. এবং ১৯০৯ সালে ব্যারিস্টারি পাশ করেন। এখানে তার আলাপ ও প্রনয় হয় ইংরেজ মহিলা নেলী গ্রে'র সাথে। যিনি যতীন্দ্রমোহনকে বিবাহ করে [[নেলী সেনগুপ্তা]] হন। নেলী সেনগুপ্তা নিজেও অসামান্য সমাজকর্মী ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে ভারতে সমুজ্জ্বল
== আইনজীবী ==
১৯১০ সালে [[কলকাতা হাইকোর্ট|কলকাতা হাইকোর্টে]] যোগ দেন এবং আইনজীবী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হন। মাঝে কিছুদিন রিপন কলেজে (
== স্বাধীনতা আন্দোলন ==
১৯২১ সালে [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ আন্দোলনে]] যোগ দিয়ে ব্যারিস্টারি পেশা ত্যাগ করেন। বর্মা অয়েল কোম্পানি ও আসাম বেংগল রেলওয়ে ধর্মঘট পরিচালনার দায়ে তার সস্ত্রীক কারাদণ্ড হয়। ভারতে শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাসে এই শ্রমিক ধর্মঘট ছিল সর্বপ্রথম বৃহত্তর ধর্মঘট। ধর্মঘটীদের পরিবার প্রতিপালনের জন্যে সেযুগে ৪০ হাজার টাকা ঋন নেন। সাধারন মানুষ তাকে দেশপ্রিয় উপাধিতে ভূষিত করে। জনদরদী যতীন্দ্রমোহন কে চট্টগ্রামের মানুষ মুকুটহীন রাজা বলে অভিহিত করত। ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে ভারত থেকে বর্মাকে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে বক্তৃতা দিয়ে গ্রেপ্তার হন। ১৯২২-২৩ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সভাপতি ছিলেন তারপর দেশবন্ধু [[চিত্তরঞ্জন দাশ|চিত্তরঞ্জনে]]<nowiki/>র স্বরাজ্য পার্টিতে যোগ দেন। পাঁচবার কলকাতার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাষ্ট্রীয় সমিতির সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। চট্টগ্রামের ভূমিপুত্র হিসেবে সেখানে নানা সামাজিক কাজকর্মে তিনি ছিলেন অগ্রনী সেনানী। ১৯৩১ সালে চট্টগ্রামে ভয়াবহ বন্যায়, ১৯২৬ এ কলকাতায়, ১৯৩১ খৃষ্টাব্দে চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক হাংগামায় ত্রানকার্যের পুরোভাগে
== চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহে ভূমিকা ==
নাগরখানা খন্ডযুদ্ধ ও সরকারি টাকা লুঠের মামলায় মাস্টারদা [[সূর্য সেন]], [[অনন্ত সিং]]<nowiki/>হ, অম্বিকা চক্রবর্তীর হয়ে মামলা পরিচালনা করে তাদের মুক্ত করেন। বিপ্লবী [[প্রেমানন্দ দত্ত]]<nowiki/>কে পুলিশ ইনস্পেকটর প্রফুল্ল রায় হত্যা মামলায় নির্দোষ সাব্যাস্ত করা তার অপর কৃতিত্ব। বস্তুত চট্টগ্রাম বিদ্রোহের বহু সৈনিককে তিনি ফাঁসির হাত থেকে বাঁচিয়ে দেন আইনের সাহায্যে। ফৌজদারী বিষয়ে তার সমকক্ষ আইনজ্ঞ ও বাগ্মী ভারতে কমই ছিল। জালিয়ানওয়ালাবাগে রাজদ্রোহমূলক বক্তৃতা দেওয়ার পরে কারারুদ্ধ হন এবং মুক্তি পেয়ে বিলেতে যান। চট্টগ্রামে পুলিশি অত্যাচার ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিলেতে গিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করেন। তার দেওয়া তথ্য, ছবি ইত্যাদির ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিশনার নেলসন অপসারিত হন। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ক্রেগ অবসর নিতে বাধ্য হন। হান্টার বিলেতে পালান, পুলিশ সুপার স্যুটার আত্মহত্যা করেন। ফলত সরকারের রোষানল তার ওপর পড়ে। কমিশনার টেগার্ট তখন বিলেতে ছিলেন। তিনি সরকারকে জানান যতীন্দ্রমোহন অহিংসবাদী নন। তিনি সশস্ত্র বিপ্লবীদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগকারী ও মদতদাতা। পুলিশ দেশে ফেরার সংগে সংগে বোম্বাই বন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করে যারবেদা জেল ও পরে [[দার্জিলিং]] এ অন্তরীন করে পাঠায়। অসুস্থ হয়ে পড়লেও উপযুক্ত চিকিতসার ব্যবস্থা করতে দেয়নি
== মৃত্যু ==
চিকিৎসা সম্পুর্ন হওয়ার আগেই তাকে
== তথ্যসূত্র ==
|