খালেদ মোশাররফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
Asif jamil (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১২ নং লাইন:
[[১৯৫৭]] সালে সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভের পর, প্রায় আট বছর ([[১৯৫৭]]-[[১৯৬৫]]) তিনি বিভিন্ন সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। [[১৯৬৫]] সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় খালেদ মোশাররফ চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের এডজুডেন্ট হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। যুদ্ধের পর তিনি কেকুল মিলিটারি একাডেমীতে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। সেখান থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পর তিনি মেজর হিসেবে পদন্নোতি লাভ করেন। [[১৯৬৮]] সালে তিনি [[কোয়েটা]] স্টাফ কলেজ থেকে পি.এস.সি. ডিগ্রি লাভ করেন এবং তাকে বিগ্রেড মেজর হিসেবে খারিয়াতে ৫৭- বিগ্রেডে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার যখন জার্মান ও লন্ডনে মিলিটারি প্রশিক্ষণে যাওয়া কথা, তখন [[১৯৭০]] সালের মার্চে তাকে ঢাকা বদলি করা হয়।
==মুক্তিযুদ্ধ==
[[মার্চ ২৪|২৪ মার্চ]] [[১৯৭১]] সালে খালেদ মোশাররফকে কুমিল্লাতে চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয়। [[মার্চ ২৭২৬|২৭২৬ মার্চ]] তিনি তার বাহিনীকে [[ব্রাহ্মণবাড়িয়ামৌলভীবাজার জেলা|ব্রাহ্মণবাড়িয়ামৌলভীবাজারের]] সংগঠিতশমসেরনগরে করেতিনি মুক্তিযুদ্ধে৪র্থ যোগইস্ট দেন।বেঙ্গল রেজিমেন্টের তিনিদুই চতুর্থকোম্পানি বেঙ্গলসৈনিক রেজিমেন্টেরনিয়ে কমান্ডিংঅবস্থান অফিসারেরকরছিলেন। দ্বায়িত্ব[[ঢাকা|ঢাকায়]] নেনপাকিস্তান এবংহানাদার অবাঙ্গালিবাহিনীর অফিসারদেরগণহত্যার বন্দিখবর করেন।পেয়ে পরিস্থিতিতিনি বিবেচনাবিদ্রোহ করেকরেন তিনিএবং তারসেই বাহিনীররাতে তাঁর বাহিনী অফিসনিয়ে [[ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা|ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়িয়ার]] উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরদিন [[মার্চ ২৭|২৭ মার্চ]] সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌঁছালে তাঁর বাহিনী এবং সেখানে আগে থেকে তেলিপাড়াঅবস্থানরত চামেজর বাগানেশাফায়াত সরিয়েজামিলের বাহিনী সম্মিলিত হয়। ইতিমধ্যেই তাঁর বেতার নির্দেশ পেয়ে শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে বাঙ্গালি সৈনিকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থানরত পাঞ্জাবী সৈনিকদের আটক করেন। নেন।<ref name=ali>{{cite book
| year = ২০০৮
| title = ২নং সেক্টর এবং কে ফোর্স কমান্ডার খালেদের কথা ( মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া সম্পাদিত)
|publisher = দিব্যপ্রকাশ
|id = ISBN 984 7008 0001 5
}}</ref>খালেদ চতুর্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসারের দ্বায়িত্ব নেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি তার বাহিনীর অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তেলিপাড়া চা বাগানে সরিয়ে নেন।
 
[[পাকিস্তান]] সেনাবাহিনীকে সফল প্রতিরোধ করতে করতে মধ্য এপ্রিলে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবিরাম বিমান আক্রমনের শিকার হন, ফলে তিনি [[ত্রিপুরা]] রাজ্যে অবস্থান নেন। [[মুজিবনগর সরকার]] তাকে [[২ নং সেক্টর|২ নং সেক্টরের]] দ্বায়িত্ব দেয়। যুদ্ধের সময় খালেদ মোশাররফ লেফটেনেন্ট কর্ণেলের পদে উন্নিত হন। [[অক্টোবর ২৩|২৩ অক্টোবর]] খালেদ মোশাররফ মাথায় গুলি লেগে মারাত্বক আহত হন এবং লক্ষ্ণৌ মিলিটারি হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা লাভের পর সুস্থ হন।
১৮ ⟶ ২৩ নং লাইন:
==মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি সময়==
যুদ্ধের পর খালেদ মোশাররফ [[ঢাকা]] সেনা সদর দপ্তরে স্টাফ অফিসার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরে তিনি [[বাংলাদেশ]] সেনাবাহিনীর চীফ জেনারেল স্টাফ হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকার [[১৯৭২]] সালে খালেদ মোশাররফকে '''[[বীর উত্তম]]''' উপাধীতে ভূষিত করে। বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] সপরিবারে নিহত হবার পর, [[নভেম্বর ৩|৩ নভেম্বর]], [[১৯৭৫]] সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন। ঐ সময় তিনি সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করেন। ঠিক তিন দিন পর [[নভেম্বর ৭|৭ নভেম্বর]] আরেকটি পাল্টা অভ্যুত্থানে তিনি নিহন হন।
 
==সূত্র==
==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}
*বাংলাপেডিয়া