রেজাউল করিম (সাংবাদিক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান
→‎প্রারম্ভিক জীবন: তথ্যসূত্র
১ নং লাইন:
'''রেজাউল করিম''' ( ১৯০২ - ৫ নভম্বর, ১৯৯৩) ছিলেন বাঙালি জাতীয়তাবাদী [[সাংবাদিক]], সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেন, কুসংস্কারবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে তার অবদান আছে।
==প্রারম্ভিক জীবন==
রেজাউল করিম [[বীরভূম জেলা]]র মারগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। মুসলিম ধর্মীয় পরিবেশের মধ্যে মানুষ হলেও তার পরিবার রক্ষণশীল ছিলনা। তিনি উচ্চশিক্ষার প্রেরনা পান লেখক ও সাংবাদিক, অগ্রজ মইনুদ্দিন হোসায়েনের কাছে। প্রথমে [[কলকাতা]]<nowiki/>র তালতলা হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন ও [[সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ, কলকাতা]] থেকে আই এ পাশ করেন। ১৯২১ সালে [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ আন্দোলনে]] যোগ দিয়ে কলেজ ছড়েন। আন্দোলন শেষে [[মুর্শিদাবাদ জেলা]]<nowiki/>র সালারে মাদ্রাসার অবৈতনিক শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে থাকেন। এর কিছুদিন পরে তিনি বহরমপুরে চলে আসেন ও জাতীয়তাবাদী নেতা, মাতুল আব্দুস সামাদের চেষ্টায় আবার কলেজে ভর্তি হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://archives.anandabazar.com/archive/1110605/4mur-letter.html|title=আড়ালেই দুই ‘মণীষী’|last=|first=|date=|website=|publisher=|access-date=১৪ জানুয়ারী, ২০১৮}}</ref> [[কাশিম বাজার]] মহারাজা মনীন্দ্রচন্দ্র নন্দী তার বক্তৃতা শুনে তার পড়ার ব্যয়ভার বহন করার সিদ্ধান্ত নেন। [[কৃষ্ণনাথ কলেজ]] থেকে ১৯২৮ সালে আই এ ও ১৯৩০ সালে ইংরেজিতে অনার্স পাশ করেন রেজাউল করিম।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান|last=দ্বিতীয় খন্ড|first=অঞ্জলি বসু সম্পাদিত|publisher=সাহিত্য সংসদ|year=২০০৪|isbn=|location=কলকাতা|pages=৩০৮}}</ref>
==সাংবাদিকতা==
কলেজে পড়াকালীন সৌরভ নামক মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। মুক্তচিন্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন [[বহরমপুর]] তথা মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম ব্যক্তিত্ব। বিভিন্ন সাময়িকপত্রে তার লেখা এসময় প্রকাশ হয়। অর্থাভাবে [[খিদিরপুর|খিদিরপুরে]]<nowiki/>র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইংরেজিতে এম এ পাশ করেন ও আইন পরীক্ষা দেন। কংগ্রেস সাহিত্য সংঘের তিনি ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা। কলকাতার বাইরে সর্বপ্রথম বহরমপুরে এই সংঘের শাখা তৈরি হয়। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি [[নবযুগ]] পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন, মোহাম্মদী পত্রিকাতে ধারাবাহিকভাবে ফরাসী বিপ্লব নামক লেখা লিখেছেন তিনি। [[মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ]]<nowiki/>র চোদ্দ দফা শর্তের বিরুদ্ধে [[প্রবাসী (পত্রিকা)|প্রবাসী]] পত্রিকায় তার লেখা প্রবন্ধ প্রকাশিত হলে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলে। মুসলিম মানসে জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটানোর জন্যে দূরবীন পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৫১-৫২ তিনি 'মুর্শিদাবাদ পত্রিকা' সম্পাদনা করতেন।