হাতশেপসুত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ →জন্ম |
→জন্ম: পরিভাষা সংশোধন |
||
৪১ নং লাইন:
দেবতা [[আমুন রে]] একদা [[থিবিস (মিশর)|থিবিস]] নগরীতে অসামান্যা সুন্দরী এক রমনীকে দেখতে পান। আমুন রে তখন তার খবর নিতে [চন্দ্রদেবতা] [[থৎ|থৎকে]] পাঠান। খবর পেয়ে আমুন রে থিবিসে যান ও তার স্বামীর রূপ ধরেন। তিনি তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান, কিন্তু দেবতার গন্ধে তার ঘুম ভেঙে যায়। আমুন রে তাকে প্রেম নিবেদন করেন, তার কাছে আসেন এবং রাণী আহমোসে তাঁর মধ্যে দেবতা আমুন রে’র রূপ প্রত্যক্ষ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে তাঁকে চুম্বন করে এবং বলে, ‘সত্যি, এ’ আমার পরম সৌভাগ্য যে আপনার মুখদর্শন করতে পারছি; আমার স্বামীকে তা যেন এক জ্যোতির মতোই ঘিরে আছে।’ আমুন রে তার উত্তরে বলেন, ‘তুমি নিজের মুখে যেমন বলেছ, আমার মেয়ে, যাকে আমি তোমার দেহে বপন করেছি, তার নামও হবে তেমনই ‘’হতশেপসুত’’[অভিজাত রমনীদের মধ্যে প্রধানা, যিনি আমুনের আলিঙ্গনধন্যা]। এই হতশেপসুতই একদিন সমগ্র দেশে সম্রাটের দরবার সামলাবে ও দায়িত্বপালন করবে।’
মিশরবিদদের মতে এই লেখাটি আসলে স্রমাজ্ঞী হাতশেপসুতের প্রশাসনকে বৈধতাপ্রদানের উদ্দেশ্যে পরে খোদাই করা; এর রচনাশৈলী যদিও [[
দইর আল বাহারির আলেখ্যেও আমরা দেখতে পাই যে হাতশেপসুত এখানে তাঁর জন্মের ক্ষেত্রে পার্থিব পিতা ''প্রথম থুতমোসে''র বদলে সুকৌশলে অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করছেন তাঁর ছদ্মবেশে আসা দেবতার উপর; একমাত্র রাণীই তাঁকে দেবতা হিসেবে চিনতে পারেন ও তাঁর সাথে দেবতা তাঁর স্বামীর ছদ্মবেশের বাইরে গিয়ে কথোপকথনেও ব্যাপৃত হন। অর্থাৎ, হাতশেপসুতের জন্মসংক্রান্ত এই আখ্যানটির সমস্ত উপাদানই [[মিশরীয় পুরাণ|মিশরীয় পুরাণের]] সাথে পুরোপুরি খাপ খেয়ে যায়। মিশরীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী মিশরের ফেরাউনরা সাক্ষাত দেবতার বংশধর। এই আখ্যান দেখায় ফেরাউন ''প্রথম থুতমোসের'' সন্তান হিসেবে শুধুমাত্র ''দ্বিতীয় থুতমোসে''ই নয়, স্রমাজ্ঞী ''হাতশেপসুত''ও সমানভাবেই দেবতার সাক্ষাত বংশধর, এমনকি দেবতার সাক্ষাত বংশধর হিসেবে তাঁর যোগ্যতা ''দ্বিতীয় থুতমোসের'' থেকেও অপেক্ষাকৃত বেশিই।<ref name="Lieven" />
|