বাংলাদেশের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
জগৎসিংহ (আলোচনা | অবদান)
MarufAhmed94 (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন।
১ নং লাইন:
{{বাংলাদেশের ইতিহাস}}
'''[[বাংলাদেশ]]''' [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ার]] একটি জনবহুল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর দেশটি বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব অংশে প্রাচীন ও ঐতিহাসিক অঞ্চলের প্রধান অংশের সাথে দেশটির সীমানা মিলেছে, যেখানে চার হাজারেরও বেশিবেশী বছর ধরে সভ্যতা চলছে, ক্যালকোলিথিক যুগেও। এই অঞ্চলের ইতিহাস বাংলার ইতিহাস এবং ভারতের ইতিহাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। এলাকাটির প্রারম্ভিক ইতিহাস হল ভারতীয় সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং হিন্দু ও বৌদ্ধের মধ্যকার দ্বন্দ্বের ইতিহাস। ত্রয়োদশ শতাব্দীর পরে যখন মুসলিম অভিযাত্রীরা, যেমন তুর্কী, ইরানীয়, মুঘল প্রভৃতি এদেশে এসেছিল তখন ইসলাম ধীরে ধীরে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিল। পরবর্তীতে মুসলিম শাসকরা মসজিদ এবং মাদ্রাসা নির্মাণের মাধ্যমে রূপান্তরের প্রক্রিয়াটিকে শক্তিশালী করে ।
 
==বাংলা শব্দের উৎপত্তি==
৮ নং লাইন:
==প্রাচীন বাংলা==
{{মূল নিবন্ধ|বাংলার ইতিহাস}}
[[File: Mahasthangar Museum Bogra Bangladesh (6).JPG|right|thumb|200px|[[মহস্থানগড়মহাস্থানগড়|মহস্থানগড়েমহাস্থানগড়ে]] প্রাপ্ত একটি প্রাচীন লিপি]]
[[File:Wari-Boteshwar Excavation 053.jpg|right|thumb|200px|[[উয়ারি-বটেশ্বর|উয়ারি-বটেশ্বরের]] ধ্বংসস্তুপ]]
 
৩০ নং লাইন:
"কথাসরিৎ সাগর" থেকে জানা যায় তিনি [[দক্ষিণ ভারত|দক্ষিণ ভারতেরও]] বিরাট অংশ জয় করেছিলেন। তিনি দক্ষিণ ভারতের কলিঙ্গ ও অশ্মক এ রাজ্য দুটো জয় করেছিলেন। অশ্মক হচ্ছে [[মহারাষ্ট্র|মহারাষ্ট্রের]] পূর্ব অংশে একটি প্রাচীণ রাজ্যের নাম। এটি দক্ষিণ ভারতে অার্যদের একটি বিখ্যাত উপনিবেশ ছিল। কলিঙ্গ হচ্ছে [[উড়িষ্যা|উড়িষ্যার]] প্রাচীণ নাম। কলিঙ্গের হস্তিগুম্ফা শিলালিপি থেকে জানা যায় মহাপদ্ম কলিঙ্গে জল সেচের জন্য একটি বিরাট জল প্রণালী নির্মাণ করেছিলেন। তিনি কলিঙ্গ থেকে একটি জৈন [[তীর্থঙ্কর|তীর্থঙ্করের]] মূর্তিও রাজধানীতে নিয়ে যান। মহাপদ্ম ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথমবারের মত একটি বৃহৎ সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হন। সমগ্র ভারতবর্ষ জয় করে তিনি একরাট উপাধি গ্রহণ করেন। পরে তাকে অনুসরণ করে পশ্চিম ভারতের রাজারা বিরাট ও দক্ষিণ ভারতের রাজারা সম্রাট উপাধি গ্রহণ করে।<ref>{{citation |last=Shahnawaz |first=A.K.M |title=History of South Asia |date=2003 |publisher=Abasar prokashona |isbn=984-446-074-3 |p=130 |url=http://www.porua.com.bd/books/দক্ষিণ-এশিয়ার-ইতিহাস-১৫২৬-খ্রিস্টাব্দ-পর্যন্ত }}</ref>
 
মহাপদ্ম নন্দের পর ক্ষমতায় অাসীন হন তার পুত্র [[ধননন্দ|উগ্রনন্দ]]। উগ্রনন্দের সময় রাজ্যে ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেখা দেয়। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ৯৯০ মিলিয়ন স্বর্ণখণ্ডের অধিকারী ছিলেন। উগ্রনন্দের সময়ে পাটালিপুত্রে পাচটিপাঁচটি ধর্মস্তূপ নির্মিত হয়েছিল। প্রাচীণ ভারতের বিভিন্ন ইতিহাসে উগ্রনন্দকে অর্থপিপাসু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাকে ধননন্দ নামে অভিহিত করা হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে উগ্রনন্দ এবং তার পিতা মহাপদ্ম বিপুল পরিমাণ রাজ্য দখল করেছিলেন এবং তারা উক্ত রাজ্যের পরাজিত রাজন্যবর্গের ওপর কর অারোপ করেছিলেন। কাজেই এইসব অভিযোগ উক্ত পরাজিত রাজন্যবর্গের বিষোদ্গার হতে পারে।<ref>{{citation |last=Shahnawaz |first=A.K.M |title=History of South Asia |date=2003 |publisher=Abasar prokashona |isbn=984-446-074-3 |p=130 |url=http://www.porua.com.bd/books/দক্ষিণ-এশিয়ার-ইতিহাস-১৫২৬-খ্রিস্টাব্দ-পর্যন্ত }}</ref>
 
উগ্রনন্দের সময় গ্রীক সম্রাট [[মহান আলেকজান্ডার|অালেকজাণ্ডার]] ভারতবর্ষ অাক্রমণ করেন। কিন্তু উগ্রনন্দ একটি বিরাট সেনাবাহিনী নিয়ে অালেকজাণ্ডারের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হন। [[প্লুটার্ক]] বলেছেন, [[রাজা পুরুষোত্তম|পোরাসের]] সাথে যুদ্ধের পর [[মেসিডেনীয় সভ্যতা|মেসিডোনিয়ার]] সৈন্যরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, এবং ভারতবর্ষের অভ্যন্তরে অারও প্রবেশের জন্য অনিচ্ছুক হয়ে পড়ে। তারা জানতে পারে গঙ্গা নদী যা ২৩০ স্টেডিয়া বিস্তৃত ছিল এবং ১০০০ ফুট গভীর ছিল, তার পাশের সমস্ত তীর সমস্ত তীর সশস্ত্র যোদ্ধা, ঘোড়া এবং হাতি দ্বারা সম্পূর্ণভাবে আবৃত ছিল। গঙ্গারিডাই ও প্রাসি এর রাজা তার (আলেকজান্ডার) জন্য ২,০০,০০০ পদাতিক, ৮০,০০০ অশ্বারোহী বাহিনী, ৮,০০০ যুদ্ধরথ ও ৬,০০০ হস্তিবাহিনী নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।<ref>{{citation |last=Majumdar |first=R.C. |title=The Classical Accounts of India |date=1960 |publisher=FIRMA K.L.M |p=198 |url=http://www.worldcat.org/title/classical-accounts-of-india/oclc/467176 }}</ref>
২৭৪ নং লাইন:
 
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম সরকার। এই সরকার দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা জারি করে, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সংবিধান প্রণয়ন করে এবং মৌলিক নীতিমালা হিসাবে সমতা, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতি প্রতিষ্ঠা করে। এর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ এবং সামরিক সর্বাধিনায়ক ছিলেন এম এ জি ওসমানী। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং মুহাম্মদ মনসুর আলী। নবনির্মিত [[বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস]] এর সদস্যগণ এবং পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিসের স্বপক্ষত্যাগী সদস্যদের সমন্বয়ে এই সরকার গঠিত হয়। এই সরকারে আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী এবং রেহমান সোবহান এর নেতৃত্বে এটি একটি সুদক্ষ কূটনৈতিক সংগঠনও ছিল। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এগারোটি সেক্টর কমান্ডারের মধ্যে বিভক্ত ছিল; যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশারফ,কে.এম. শফিউল্লাহ প্রমুখ।<ref name="thedailystar">{{cite web|url=http://www.thedailystar.net/op-ed/genesis-bangladeshs-constitution-1209718|publisher=web.archive.org|title=Genesis of Bangladesh's Constitution &#124; The Daily Star|accessdate=6 January 2017|deadurl=yes|archiveurl=https://web.archive.org/web/20161226094413/http://www.thedailystar.net/op-ed/genesis-bangladeshs-constitution-1209718|archivedate=26 December 2016|df=dmy-all}}</ref><ref name="banglapedia">{{cite web|url=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Mujibnagar_Government|publisher=en.banglapedia.org|title=Mujibnagar Government – Banglapedia|accessdate=6 January 2017}}</ref>
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ভারত অান্তরিকভাবে সকল ধরণের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা প্রদান করে। নির্বাসিত এই সরকারের রাজধানী ছিল [[কলকাতা]]। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত চূড়ান্ত যুদ্ধের দুই সপ্তাহের মধ্যমধ্যে হস্গক্ষেপহস্তক্ষেপ করে পাক সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করে।
 
====শেখ মুজিব প্রশাসন====