বাংলাদেশের ব্যান্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
45.123.43.22-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Ibrahim Husain Meraj-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফে...
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৮ নং লাইন:
স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ''আগলি ফেসেস'' ও ''আন্ডার গ্রাউন্ড পিস লাভারস'' নামের দুটি ব্যান্ড। বিতর্ক আছে স্বাধীনতার পর জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যান্ড নিয়ে। কারও কারও মতে, 'আন্ডার গ্রাউন্ড পিস লাভারস' স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম ব্যান্ড। দেশের প্রথম ব্যান্ড বিতর্কের পর, স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম ব্যান্ড বিতর্কের এ ব্যান্ডটির উদ্যোক্তা ওমর খালেদ রুমী। ব্যান্ডে তার সঙ্গী ছিলেন সালাউদ্দিন, সাজ্জাদসহ আরও বেশ ক'জন। অধিকসংখ্যকের মতের ভিত্তিতে ''আগলি ফেসেস'' ব্যান্ডকেই প্রথম ব্যান্ড ধরা হয়েছে। এটি গঠন করেছিলেন ল্যারী, সাকী, কামাল ও রেজা নামের চার তরুণ। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম ব্যান্ডের স্বীকৃতি না পেলেও প্রথম কনসার্ট আয়োজন করে ''আন্ডার গ্রাউন্ড পিস লাভারস''। ১৯৭২ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে ব্যান্ডটি প্রথম টিকিট কনসার্ট করে। ১৯৭২-৭৩ সালের আগ পর্যন্ত ব্যান্ডগুলো ইংরেজি গান পরিবেশন করত। বাংলা গানে আগ্রহী হয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ ও ফিরোজ সাঁইসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে গঠন করেন 'স্পন্দন' নামের একটি ব্যান্ড। ব্যান্ডের 'এমন একটা মা দে না' গানের সুবাদে তুমুল জনপ্রিয় হয় ব্যান্ডটি। এ সময় উচ্চারণ ব্যান্ড নিয়ে আবির্ভাব ঘটে পরবর্তীকালের গুরু খেতাব পাওয়া শিল্পী আজম খানের। 'ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী' নিয়ে আসেন ফকির আলমগীর। ১৯৭৩-৭৪ সালে ফেরদৌস ওয়াহিদের গানের পাশাপাশি আজম খানের 'রেলাইনের ঐ বস্তিতে', 'ওরে সালেকা ওরে মালেকা', 'আলাল ও দুলাল'; ফিরোজ সাঁইর 'ইশকুল খুইলাছে রে মওলা' এবং ফকির আলমগীরের 'ও সখিনা' গানগুলো সারা বাংলায় আলোড়ন তোলে। পরবর্তীকালে এ চার শিল্পীর সঙ্গে পিলু মমতাজ যোগ দেন এবং পাঁচপীর নাম নিয়ে উচ্চারণ ব্যান্ডের সঙ্গে তারা পারফর্ম করতে থাকেন। কিন্তু পঞ্চশিল্পীর কাউকেই ব্যান্ড নিয়ে খুব বেশিদূর এগিয়ে যেতে দেখা যায়নি। এককভাবে পরিচিতি গড়তেই তাদের আগ্রহী দেখা গেছে। এরপরে আগমন ঘটে পপ রক ব্যান্ডগুলোর। সোলস [১৯৭৩], ফিডব্যাক টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি [১৯৭৬], বালার্ক [১৯৭৬], অ্যাবনরমাল থ্রি প্লাস [১৯৭৬], মাইলস [১৯৭৯]-এর মতো ব্যান্ডগুলো বাংলা গানে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া নতুন রূপরেখা তৈরি করে। ১৯৭২ সালের সুরেলা সঙ্গীত দল বিবর্তিত হয়ে গঠন করা সোলস বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘায়ু ব্যান্ড। মন শুধু মন ছুঁয়েছে, আগের জনম, এ এমন পরিচয়, কেন এই নিঃসঙ্গতা, চায়ের কাপে পরিচয় ইত্যাদি অসংখ্য জনপ্রিয় গান এ ব্যান্ডকে আজও সজীব রেখেছে। আশির দশকে বালর্ক ছেড়ে হ্যাপী আখন্দ, ইমতিয়াক, কামাল, ল্যারীর প্রতিষ্ঠা করা ব্যান্ড মাইলসে যোগ দেন হামিন ও শাফিন আহমেদের মতো সেকাল-একালের জনপ্রিয় শিল্পীদ্বয়। এ সময়ে মানাম, জুয়েল ও তূর্যকে সাথী করে হামিন ও শাফিন রচনা করেছেন জনপ্রিয় তার নতুন ইতিহাস। ফিরিয়ে দাও, চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, কি জাদু, ধিকি ধিকি আগুন জ্বলেসহ অজস্র জনপ্রিয় গানে সমৃদ্ধ ব্যান্ড মাইলস। ১৯৭৬ সালের 'ফিডব্যাক টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি' কালের হাওয়া রূপান্তরিত হয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় জনপ্রিয় ব্যান্ড 'ফিডব্যাক'-এ। মেলা, মৌসুমী, চিঠি, পালকী, দেহঘড়ির মতো আকাশচুম্বী জনপ্রিয় গান নিয়ে দীর্ঘ পথ মাড়িয়েছে ফিডব্যাক। ১৯৮৪ সালে মেটাল গান নিয়ে শ্রোতার মধ্যে আসে ওয়েভস। কিন্তু একই সময়ে স্কুলপড়ূয়া সঞ্জয়, বাবনা, টিপু, রাসেল, কমলের মতো জন্ম নেওয়া ব্যান্ড 'ওয়ারফেইজ' সময়ের ব্যবধানে হয়ে ওঠে সবচেয়ে জনপ্রিয় ''হেভি মেটাল ব্যান্ড''। অবাক ভালোবাসা, জীবনধারা, একটি ছেলে, সময়, অসামাজিকসহ অসংখ্য জনপ্রিয় মেটাল ও হার্ডরক গানের স্রষ্টা ওয়ারফেইজ।
===বর্তমান সময়===
এ সময়েই উইনিং, আর্টসেল,অর্থহীন,অবসকিওর প্রমিথিউস, ফিলিংস, আর্ক, চাইম, ডিফরেন্ট টাচ, সিম্ফনি, তির্যক, পেপার রাইস, এলআরবি, বাংলা, দলছুট,শিরোনামহীন, রেনেসাঁ, দ্য কিট, অরবিট, ফেইথ, রকস্ট্রাটা, ইন ঢাকা, সাডেন ও নোভার মতো জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর জন্ম। নব্বই দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবি সেই তুমি, রূপালি গিটার, সাড়ে তিন হাত মাটি, ফেরারি মন, এখন অনেক রাতসহ অজস্র গান নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। অন্যদিকে ফিলিংস [পরবর্তীকালে নগরবাউল] ব্যান্ড পথ, জেল থেকে বলছি, তারায় তারায়, যাত্রা, দুষ্টু ছেলের দল, বিজলী ইত্যাদি গান নিয়ে দর্শক মাতিয়েছে। আর্ক_ একাকী, সুইটি , প্রেম তুমি; দলছুট_ বাজি, তোমাকেই বলে দেব, ফিরে পেতে চাই; উইনিং_ সোনার মেয়ে, ইচ্ছে করেসহ আরও অনেক গান নিয়ে শ্রোতার মনোযোগ কাড়ে।
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের ব্যান্ড]]