তৈমুর লং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
119.30.38.48-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 116.58.201.71-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
আবারও হুবহু কপিপেস্ট করে সম্প্রসারিত
২২ নং লাইন:
}}
 
'''তৈমুর বিন তারাগাই বারলাস''' ([[চাগাতাই ভাষা|চাগাতাই ভাষায়]]: تیمور - ''তেমোর্‌'', "[[লোহা]]") ([[১৩৩৬]] - ফেব্রুয়ারি, [[১৪০৫]]) ১৪শ শতকের একজন [[তুর্কী]]-[[মোঙ্গল]] [[সেনাধ্যক্ষ]]। <ref name="EI">বি.এফ. মান্‌জ, ''"Tīmūr Lang"'', in [[এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম]], Online Edition, 2006</ref><ref>The Columbia Electronic Encyclopedia, "Timur", 6th ed., Columbia University Press: ''"... Timur (timoor') or Tamerlane (tăm'urlān), c.1336–1405, <u>মোঙ্গল বিজেতা</u>, b. কেশ, সমরখন্দের নিকটে. ..."'', ([http://www.infoplease.com/ce6/people/A0848795.html LINK])</ref><ref>[http://secure.britannica.com/ebc/article-9277364 "Timur"], in [[ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ]]: ''"... [Timur] was a member of the Turkic Barlas clan of Mongols..."''</ref><ref>[http://secure.britannica.com/ebc/article-9273044 "Baber"], in [[ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ]]: ''"... Baber first tried to recover Samarkand, the former capital of the empire founded by his Mongol ancestor Timur Lenk ..."''</ref> তিনি পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজ দখলে এনে [[তৈমুরীয় সম্রাজ্য]] প্রতিষ্ঠা করেন যা [[১৩৭০]] থেকে [[১৪০৫]] সাল পর্যন্ত নেতৃত্বে আসীন ছিল। এছাড়াও তাঁর কারণেই [[তৈমুরীয় রাজবংশ]] প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোন না কোনভাবে [[১৮৫৭]] সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি ''তিমুরে ল্যাংগ্‌'' ({{PerB|تیمور لنگ}}) নামেও পরিচিত যার অর্থ '''খোঁড়া তৈমুর'''। তার আসল নাম '''তৈমুর বেগ'''। যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি আহত হন যার ফলে তাঁর একটি পা অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। তিনি উনার পূর্বপুরুষ [[সেলযুক সাম্রাজ্য|মহান সেলযুক সাম্রাজ্যের]] শাসক সুলতান [[তুগরিল বেগ]] কে অনুপ্রেরণা হিসেবে অনুসরণ করতেন। এবং তিনিও আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের মতো বিশ্বজয়ে উনার সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হয়েছিলেন। এ নিয়ে [[বিশ্ব বিজেতা তৈমুর লং]] নামের একটি বইও রচিত হয়েছে। তাঁর সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক [[তুরস্ক]], [[সিরিয়া]], [[ইরাক]], [[কুয়েত]], [[ইরান]] থেকে [[মধ্য এশিয়া|মধ্য এশিয়ার]] অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে [[কাজাখস্তান]], [[আফগানিস্তান]], [[রাশিয়া]], [[তুর্কমেনিস্তান]], [[উজবেকিস্তান]], [[কিরগিজিস্তান]], [[পাকিস্তান]], [[ভারত|ভারতবর্ষ]] এমনকি [[চীন|চীনের]] [[কাশগর]] পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম [[তুজুক ই তৈমুরী]]।
তিনি উনার একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম [[তুজুক ই তৈমুরী]]।
 
==কেশ শহরের দূরন্ত শিশু==
 
১৩৩৬ সালের কথা। গভীর রাত। উজবেকিস্তানের প্রতিটি ঘরের বাতি নিভে গেছে। গভীর ঘুমে বিভোর উজবেকবাসী। কিন্তু ঘুম নেই শুধু একটি ঘরে। সমরকন্দ থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে অবস্থিত কেশ নগরীর স্কারদু শহরের সবচেয়ে বড় বাড়িতে এখনও নিভু নিভু অবস্থায় প্রদীপ জ্বলছে। ঘরের বাইরে উঠানে অস্থির পায়চারি করছেন বাড়ির মালিক '''তারাগাই [[বে|বেগ]]'''। তিনি এই অঞ্চলের ভূস্বামী। হঠাৎ তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠায় তিনি চিন্তিত। শহরে লোক পাঠানো হয়েছে ধাত্রীর খোঁজে, কিন্তু তারা এখনও ফিরে আসেনি। মনে মনে সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করছেন তিনি। শেষপর্যন্ত তার ডাকে সাড়া দিলেন সৃষ্টিকর্তা। ভোরের প্রথম আলোর সাথে ভূমিষ্ঠ হলো এক পুত্রসন্তান। পুত্রের নাম রাখা হলো '''তৈমুর বেগ''' ‘তৈমুর’, যার অর্থ ‘লৌহ’,‘বেগ’ অর্থ ‘শাসক’। ইউরোপে তিনি ‘তিমুর’ (Timur) বা ‘তিমুরলেন’ (Timurlane) নামে পরিচিত।
 
হয়তো তার নামকরণের সার্থকতা প্রমাণের জন্যই তৈমুর বেশ দুরন্ত এবং সাহসী কিশোর হিসেবে বেড়ে ওঠেন। এমনকি ছোটখাট সৈন্য বাহিনীও গড়ে তুলেন তিনি। এলাকা ঘুরে ঘুরে ছোটখাটো হানা দিতো তারা। দেখতে দেখতে তৈমুর যৌবনে পদার্পণ করেন। বয়সের সাথে সাথে তার শক্তি এবং সাহস, দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার সত্যিকারের সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে থাকেন তিনি। তৈমুরের দাপটে এলাকার ভূস্বামীরা আতংকিত হয়ে থাকতো। যুবক তৈমুরের ডান পা এক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যায়। কিন্তু ঠিক কীভাবে তিনি খোঁড়া হয়েছিলেন, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
একদল ইতিহাসবিদের মতে, একদল লুটতরাজদের তাড়া করতে গিয়ে নিজ সৈন্যদলের তীরের আঘাত লাগে। এরপর থেকে তিনি ‘খোঁড়া তৈমুর’ বা ‘তৈমুর-ই-লং’ নামে পরিচিত হন।
 
== তথ্যসূত্র ==