কনরাড হান্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ইংল্যান্ড গমন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
টেস্ট ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৯০ নং লাইন:
ইংল্যান্ডে গমনকালে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড|ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল নির্বাচকমণ্ডলীর]] কাছ থেকে ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যতা লাভের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত হন। এ সফরে আমন্ত্রণবার্তা লাভের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে [[কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|কেন্টের]] পক্ষে খেলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। আমন্ত্রণবার্তা না আসায় পরের মৌসুমের জন্য এনফিল্ডের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীকালে হান্ট বলেছিলেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) তাঁকে চিঠি প্রেরণ করেছিল। তবে, ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে তিনি চিঠি পাননি। এনফিল্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পর ডব্লিউআইসিবির সদস্যদের কাছ থেকে বার্তা পান। তাতে লেখা ছিল যে, যদি তিনি আগ্রহ ব্যক্ত করেন, তাহলে তাঁকে দলের সদস্যরূপে নেয়া হবে। এর প্রত্যুত্তরে হান্ট জানিয়েছিলেন, এনফিল্ড কর্তৃপক্ষ চুক্তি থেকে তাঁকে দায়মুক্ত করতে প্রস্তুত। তবে, সফরের জন্য দলের নাম ঘোষণা হলে হান্টের নাম বাদ যায়। হান্টকে অগ্রাহ্য করার বিষয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করে। তাঁর পরিবর্তে [[Nyron Asgarali|নাইরন আসগরআলী]] ও [[অ্যান্ডি গ্যানটিউম|অ্যান্ডি গ্যানটিউমকে]] মনোনীত করা হয়। তবে, তাঁরা টেস্ট খেলাগুলোয় তেমন সফলতা লাভ করতে পারেননি।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
পরবর্তী শীতকালে ১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৮ তারিখে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে কনরাড হান্টের। কেনসিংটন ওভালের নিজমাঠে [[ফজল মাহমুদ|ফজল মাহমুদের]] প্রথম দুই বল মোকাবেলা করে বাউন্ডারি মারেন। এরপর প্রথম ইনিংসে ১৪২ রান তুলেন। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ২৬০ রান তুলেন। এ সময় [[গারফিল্ড সোবার্স|গারফিল্ড সোবার্সের]] সাথে ৪৪৬ রানের স্মরণীয় জুটি গড়েন। এ জুটির সংগ্রহটি তৎকালীন ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও অদ্যাবধি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ সংগ্রহরূপে বিবেচিত।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283573.html Test records – Highest partnerships for any wicket], Cricinfo, Retrieved on 13 March 2009</ref> অন্যদিকে সোবার্স অপরাজিত ৩৬৫ রান তুলে তৎকালীন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯০/৩ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে আরও একটি সেঞ্চুরি করেন কনরাড হান্ট। অভিষেক সিরিজে ৭৭.৭৫ গড়ে ৬২২ রান তুলেন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
 
৯৬ ⟶ ৯৭ নং লাইন:
১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। আক্রমণধর্মী খেলা উপহার দিয়ে দলের ইনিংসের ভিত্তি গড়েন। দুইটি সেঞ্চুরিও করেন তিনি। গ্রীষ্মের প্রথম ইনিংসে ১৮২ রান তুলে দলকে ১০ উইকেটে জয় এনে দেন। গ্রীষ্মের চূড়ান্ত টেস্টে পরাজয় এড়িয়ে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে চতুর্থ ইনিংসে ২৫৩ রানে অগ্রসর হয়। দুই দিনে এ লক্ষ্যমাত্রাকে বেশ কঠিন মনে করা হয়েছিল। তবে, হান্ট অপরাজিত ১০৮ রান তুললে দল আট উইকেটে জয়ী হয়। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। ঐ সিরিজে ৫৮.৬৭ গড়ে রান তুলেন কনরাড হান্ট।
 
ইংল্যান্ড সফরের পর [[ফ্রাঙ্ক ওরেল]] ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব থেকে অবসর নেন। হান্টকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করার কথা আশা করলেও গারফিল্ড সোবার্সকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে মনক্ষুণ্ণ হয়ে খেলার বাইরে ছয় সপ্তাহ ছিলেন ও পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। তবে খেলার জগতে ফিরে আসেন ও ১৯৬৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। সেঞ্চুরিবিহীন অবস্থাতে দশ ইনিংসের ছয়টিতে অর্ধ-শতক করে তিনি ৫৫০ রান তুলেন। সর্বোচ্চ রান করেন ৮৯ ও রানের গড় ছিল ৬১.১১। সেঞ্চুরিবিহীন অবস্থায় সিরিজে তাঁর গড়া এ রেকর্ড পরবর্তীকালে ১৯৯৩ সালে [[মাইকেল অ্যাথারটন|মাইক অ্যাথারটন]] ১৯৯৩ সালে ছয় টেস্টের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৫৩ রান তুলে নিজের করে নেন।
১৯৬৪ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন তিনি। দুইজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারের একজনরূপে স্যার কনরাড হান্ট টেস্টের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে অপরাজিত ছিলেন।<ref>{{cite news | url = http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283149.html | title = Test Batting Records – Carrying bat through a completed innings | work = ESPN Cricinfo | access-date= 3 November 2016}}</ref>
 
১৯৫৮ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে কনরাড হান্ট ৪৪ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। এ সময়ে ব্যাটিং উদ্বোধনে তেরোজন খেলোয়াড়কে সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন। ৪৫.০৬ গড়ে ৩,২৪৫ রান তুলতে পেরেছেন। আটটি ভিন্ন দেশের প্রত্যেকের বিপক্ষে কমপক্ষে একটি করে মোট আটটি সেঞ্চুরি করেছেন। ১৯৬৪ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন তিনি। দুইজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারের একজনরূপে স্যার কনরাড হান্ট টেস্টের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে অপরাজিত ছিলেন।<ref>{{cite news | url = http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283149.html | title = Test Batting Records – Carrying bat through a completed innings | work = ESPN Cricinfo | access-date= 3 November 2016}}</ref>
 
কনরাড হান্ট ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভূক্ত ব্যক্তি ছিলেন।
 
== তথ্যসূত্র ==