কনরাড হান্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ইংল্যান্ড গমন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৮৫ নং লাইন:
এক পর্যায়ে সেন্ট সিমন্স মিক্সড স্কুলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, বার্বাডোস সিভিল সার্ভিসে হিসাব করণিক ও পরবর্তীতে জীবনবীমার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে স্বীয় প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হন। তিনি [[শূন্য রান|শূন্য]] ও তিন রান তুলতে পেরেছিলেন।<ref>{{cite web|title=Barbados v Australians|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/21/21482.html|work=Australia in West Indies 1954/55|publisher=CricketArchive|accessdate=31 July 2011}}</ref> অবশেষে পরের মৌসুমে হান্ট তাঁর সক্ষমতার কথা জানান দেন। [[E. W. Swanton|ই. ডব্লিউ. সোয়ানটনের]] ব্যবস্থাপনায় সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দুই খেলায় ১৫১ ও ৯৫ রান তুলেন।
 
== ইংল্যান্ড গমন ==
১৯৫৬ সালে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ড চলে যান। ইংরেজ লীগ ক্রিকেটে পেশাদারী চুক্তিতে খেলার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে বাস নির্মাণ ও তুলার কারখানায় কাজ করেন তিনি। এরপর নর্দার্ন লীগে লেল্যান্ড মটর্স ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। পরের বছর ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে এনফিল্ড ক্রিকেট ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। হান্ট ও এনফিল্ডের মধ্যকার সম্পর্ক বেশ চমৎকার ছিল। অধিকাংশ পেশাদার ক্রিকেটারই বিরক্তবোধ করলেও হান্ট ঐ ক্লাবে ছয় মৌসুম অতিবাহিত করেন। ১৯৫৯ সালে এক মৌসুমে সর্বাধিক রান তুলে ক্লাবের নতুন রেকর্ড গড়েন।<ref>{{cite web|last=Stockley|first=Nigel|title=Enfield lose Van Jaarsveld to Northants|url=https://cricketarchive.com/Archive/Articles/0/481.html|publisher=CricketArchive|accessdate=31 July 2011|date=8 September 2003}}</ref>
 
ইংল্যান্ডে গমনকালে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড|ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল নির্বাচকমণ্ডলীর]] কাছ থেকে ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যতা লাভের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত হন। এ সফরে আমন্ত্রণবার্তারআমন্ত্রণবার্তা লাভের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে [[কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|কেন্টের]] পক্ষে খেলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। আমন্ত্রণবার্তা না আসায় পরের মৌসুমের জন্য এনফিল্ডের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীকালে হান্ট বলেছিলেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) তাঁকে চিঠি প্রেরণ করেছিল। তবে, ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে তিনি চিঠি পাননি। এনফিল্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পর ডব্লিউআইসিবির সদস্যদের কাছ থেকে বার্তা পান। তাতে লেখা ছিল যে, যদি তিনি আগ্রহ ব্যক্ত করেন, তাহলে তাঁকে দলের সদস্যরূপে নেয়া হবে। এর প্রত্যুত্তরে হান্ট জানিয়েছিলেন, এনফিল্ড কর্তৃপক্ষ চুক্তি থেকে তাঁকে দায়মুক্ত করতে প্রস্তুত। তবে, সফরের জন্য দলের নাম ঘোষণা হলে হান্টের নাম বাদ যায়। হান্টকে অগ্রাহ্য করার বিষয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করে। তাঁর পরিবর্তে [[Nyron Asgarali|নাইরন আসগরআলী]] ও [[অ্যান্ডি গ্যানটিউম|অ্যান্ডি গ্যানটিউমকে]] মনোনীত করা হয়। তবে, তাঁরা টেস্ট খেলাগুলোয় তেমন সফলতা লাভ করতে পারেননি।
 
পরবর্তী শীতকালে ১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৮ তারিখে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে কনরাড হান্টের। কেনসিংটন ওভালের নিজমাঠে [[ফজল মাহমুদ|ফজল মাহমুদের]] প্রথম দুই বল মোকাবেলা করে বাউন্ডারি মারেন। এরপর প্রথম ইনিংসে ১৪২ রান তুলেন। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ২৬০ রান তুলেন। এ সময় [[গারফিল্ড সোবার্স|গারফিল্ড সোবার্সের]] সাথে ৪৪৬ রানের স্মরণীয় জুটি গড়েন। এ জুটির সংগ্রহটি তৎকালীন ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও অদ্যাবধি ষষ্ঠ সর্বোচ্চ সংগ্রহরূপে বিবেচিত।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283573.html Test records – Highest partnerships for any wicket], Cricinfo, Retrieved on 13 March 2009</ref> অন্যদিকে সোবার্স অপরাজিত ৩৬৫ রান তুলে তৎকালীন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯০/৩ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। সিরিজের চতুর্থ টেস্টে আরও একটি সেঞ্চুরি করেন কনরাড হান্ট। অভিষেক সিরিজে ৭৭.৭৫ গড়ে ৬২২ রান তুলেন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৮ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে কনরাড হান্টের।
 
অভিষেক সিরিজে শুভ সূচনার পর পরবর্তী নয় বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। তন্মধ্যে আট বছর দলের সহঃ অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেন কনরাড হান্ট। এ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অন্যতম সফল সময় অতিবাহিত করে। অংশগ্রহণকৃত দশটি সিরিজের সাতটিতেই দল সিরিজ জয় করেছিল।
 
১৯৬৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। আক্রমণধর্মী খেলা উপহার দিয়ে দলের ইনিংসের ভিত্তি গড়েন। দুইটি সেঞ্চুরিও করেন তিনি। গ্রীষ্মের প্রথম ইনিংসে ১৮২ রান তুলে দলকে ১০ উইকেটে জয় এনে দেন। গ্রীষ্মের চূড়ান্ত টেস্টে পরাজয় এড়িয়ে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে চতুর্থ ইনিংসে ২৫৩ রানে অগ্রসর হয়। দুই দিনে এ লক্ষ্যমাত্রাকে বেশ কঠিন মনে করা হয়েছিল। তবে, হান্ট অপরাজিত ১০৮ রান তুললে দল আট উইকেটে জয়ী হয়। এরফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। ঐ সিরিজে ৫৮.৬৭ গড়ে রান তুলেন কনরাড হান্ট।
 
১৯৬৪ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন তিনি। দুইজন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটারের একজনরূপে স্যার কনরাড হান্ট টেস্টের ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে অপরাজিত ছিলেন।<ref>{{cite news | url = http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283149.html | title = Test Batting Records – Carrying bat through a completed innings | work = ESPN Cricinfo | access-date= 3 November 2016}}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==