কনরাড হান্ট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রারম্ভিক জীবন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৭৯ নং লাইন:
 
বার্বাডোস ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) উত্তরাঞ্চলে বেলেপ্লেইন খেলতো। দলটি দরিদ্র ও গ্রাম্য বার্বাডীয়দেরকে নিয়ে গঠন করা হয়েছিল। ১৯৫০ সালে বিসিএলে দলের বার্ষিক খেলায় অভিজাত ও সামাজিক মর্যাদাসম্পন্নদের নিয়ে গড়া বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। ইনিংসের শুরুতে টেস্ট খেলোয়াড় [[ডেনিস অ্যাটকিনসন|ডেনিস অ্যাটকিনসনের]] বোলিংয়ে আউট থেকে বেঁচে যাবার পর মনোরম ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। এরফলে প্রথম বিসিএল খেলোয়াড় হিসেবে পূর্ব-নির্ধারিত বার্ষিক প্রতিযোগিতায় সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন।<ref name="WisdenObit"/><ref name=WCOTY />
 
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
বিসিএল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পর বার্বাডোস ক্রিকেট দলের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে কনরাড হান্টের। ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত প্রথম খেলায় তিনি প্রথম ইনিংসে ৬৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫ রান তুলেন।<ref>{{cite web|title=Barbados v Trinidad|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/19/19640.html|work=First-Class matches in West Indies 1950/51|publisher=CricketArchive|accessdate=31 July 2011}}</ref> [[এভারটন উইকস|এভারটন উইকসের]] একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন তিনি। বার্বাডোস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম বিভাগের অন্যতম প্রধান ক্লাবে উইকস খেলেছিলেন। এ ক্লাবের পক্ষে খেলার জন্যও তিনি প্রস্তাব পান। ঐ সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খুব কমই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হতো। ফলে হান্টের ক্রিকেট জীবনও বেশ ধীরলয়ে উত্তরণ ঘটতে থাকে।
 
এক পর্যায়ে সেন্ট সিমন্স মিক্সড স্কুলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, বার্বাডোস সিভিল সার্ভিসে হিসাব করণিক ও পরবর্তীতে জীবনবীমার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে স্বীয় প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হন। তিনি [[শূন্য রান|শূন্য]] ও তিন রান তুলতে পেরেছিলেন।<ref>{{cite web|title=Barbados v Australians|url=https://cricketarchive.com/Archive/Scorecards/21/21482.html|work=Australia in West Indies 1954/55|publisher=CricketArchive|accessdate=31 July 2011}}</ref> অবশেষে পরের মৌসুমে হান্ট তাঁর সক্ষমতার কথা জানান দেন। [[E. W. Swanton|ই. ডব্লিউ. সোয়ানটনের]] ব্যবস্থাপনায় সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দুই খেলায় ১৫১ ও ৯৫ রান তুলেন।
 
১৯৫৬ সালে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ড চলে যান। ইংরেজ লীগ ক্রিকেটে পেশাদারী চুক্তিতে খেলার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে বাস নির্মাণ ও তুলার কারখানায় কাজ করেন তিনি। এরপর নর্দার্ন লীগে লেল্যান্ড মটর্স ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। পরের বছর ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে এনফিল্ড ক্রিকেট ক্লাবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। হান্ট ও এনফিল্ডের মধ্যকার সম্পর্ক বেশ চমৎকার ছিল। অধিকাংশ পেশাদার ক্রিকেটারই বিরক্তবোধ করলেও হান্ট ঐ ক্লাবে ছয় মৌসুম অতিবাহিত করেন। ১৯৫৯ সালে এক মৌসুমে সর্বাধিক রান তুলে ক্লাবের নতুন রেকর্ড গড়েন।<ref>{{cite web|last=Stockley|first=Nigel|title=Enfield lose Van Jaarsveld to Northants|url=https://cricketarchive.com/Archive/Articles/0/481.html|publisher=CricketArchive|accessdate=31 July 2011|date=8 September 2003}}</ref>
 
ইংল্যান্ডে গমনকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে ১৯৫৭ সালে ইংল্যান্ড সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যতা লাভের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত হন। এ সফরে আমন্ত্রণবার্তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। এছাড়াও, ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে কেন্টের পক্ষে খেলার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। আমন্ত্রণবার্তা না আসায় পরের মৌসুমের জন্য এনফিল্ডের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীকালে হান্ট বলেছিলেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডব্লিউআইসিবি) তাঁকে চিঠি প্রেরণ করেছিল। তবে, ল্যাঙ্কাশায়ারে অবস্থানকালে তিনি চিঠি পাননি। এনফিল্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হবার পর ডব্লিউআইসিবির সদস্যদের কাছ থেকে বার্তা পান। তাতে লেখা ছিল যে, যদি তিনি আগ্রহ ব্যক্ত করেন, তাহলে তাঁকে দলের সদস্যরূপে নেয়া হবে। এর প্রত্যুত্তরে হান্ট জানিয়েছিলেন, এনফিল্ড কর্তৃপক্ষ চুক্তি থেকে তাঁকে দায়মুক্ত করতে প্রস্তুত। তবে, সফরের জন্য দলের নাম ঘোষণা হলে হান্টের নাম বাদ যায়। হান্টকে অগ্রাহ্য করার বিষয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করে। তাঁর পরিবর্তে [[Nyron Asgarali|নাইরন আসগরআলী]] ও [[অ্যান্ডি গ্যানটিউম|অ্যান্ডি গ্যানটিউমকে]] মনোনীত করা হয়। তবে, তাঁরা টেস্ট খেলাগুলোয় তেমন সফলতা লাভ করতে পারেননি।
 
১৭ জানুয়ারি, ১৯৫৮ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে কনরাড হান্টের।