২০০৬-০৮ বাংলাদেশী রাজনৈতিক সংকট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
অসচ্ছ তথ্য সংশোধন।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১২ নং লাইন:
}}</ref>
 
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার তিক্ত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দুই দশক ধরে জাতিকে প্রভাবিত করছে যদিও তাদের রাজনৈতিক অবস্থান খুব একটা অভিন্ন নয়।<ref name="rahman"/> দুটি দলই নারী কর্তৃক পরিচালিত এবং তারা দুজনই নিহত নেতার প্রতিনিধিত্ব করেন। আওয়ামী লীগের প্রধান হলেন শেখ হাসিনা যিনি [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] কন্যা; ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জাতির জনক ও তিনি ১৯৭৫ সালে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকে হত্যা করা হয়। [[খালেদা জিয়া]], বিএনপির প্রধান; তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা [[জিয়াউর রহমান|জিয়াউর রহমানের]] স্ত্রী। জিয়াউর রহমান ১৯৭০-এর১৯৭৮ দশকেসালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন; ১৯৮১ সালে তাকে হত্যা করা হয়।
 
২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে সমর্থন করে সেনাবাহিনী তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করে, এর পূর্বেই দেশে জরুরি অবস্থা জাড়ি ছিল। ইয়াজউদ্দিন আহমেদ তার প্রায় সকল উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং তিনি নিজেও প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১২ই জানুয়ারি [[ফখরুদ্দীন আহমদ]] তার স্থলাভিষিক্ত হন, যিনি [[বিশ্ব ব্যাংক|বিশ্ব ব্যাংকের]] একজন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নতুন গঠিত সরকার দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সকল প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরবর্তিতে সরকার দুর্নীতি মামলাগুলোর উপর কাজ শুরু করে; রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ ১৬০ জনের বিরুদ্ধে ১৯৯০-এর দশকে করা কার্যক্রমের উপর চার্জশীট দাখিল করে ও তদন্ত শুরু করে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশের উভয় রাজনৈতিক দলের বিপক্ষে বিভিন্ন সময় দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। উপরন্তু কিছু পর্যবেক্ষক মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশের স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক মেরুকরণ কমাতে রাজনৈকি নেতৃবৃন্দকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে পাঠাতে বাধ্য করার চেষ্ঠা করেছিলেন। তত্বাবধায়ক সরকার, ২০০৬-এর শেষ দিকে বিক্ষোভের সময় ৪জন ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে [[শেখ হাসিনা|শেখ হাসিনাকে]] অভিযুক্ত করে। সর্বোচ্চ আদালত রায় প্রদাণ করেন, জরুরি অবস্থার অধীনে খালেদা জিয়া জরুরি অবস্থা জাড়ির পূর্বের কোন ঘটনায় অভিযুক্ত হবেন না কিন্তু ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে করা একটি আপিলে [[বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট|সর্বোচ্চ আদালত]] মামলা পরিচালনার রায় প্রদান করেন। ২০০৮ এর শেষ দিকে তত্বাবধায়ক সরকার সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে এবং ডিসেম্বরে [[বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৮|নির্বাচন]] অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট দুই তৃতীয়াংশ ভোটে জয় লাভ করে ও ২০০৯-এ সরকার গঠন করে।