"অ্যালবাম" পাতাটির দুইটি সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''অ্যালবাম''' হল  সিডি, লিপি , অডিও টেপ, বা  অন্য কোন মাধ্যমে কতগুলো অডিও লিপির সংগ্রহকে একক অনুচ্ছেদে প্রকাশ। ২০ শতকের গোড়ার দিকে এর উন্নতি হয়,[[গ্রামোফোন]] নামে,যার গতি ছিল প্রতি মিনিটে ৭৮ টি ঘুর্নন। যা পরে ১৯৪৮ এ সালে ৩৩^১⁄_৩ ঘুর্ননে উন্নীত হয়। ভিনাইল LP লিপি  এখনো প্রকাশ করা হয় যদিও সিডি ও এমপি৩ ধরন এখন সার্বজনিন। ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত ভিনাইল রেকর্ডের পাশাপাশি অডিও টেপ বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল। 

অ্যালবাম প্রচ্ছদ এবং নিচের নথি ব্যবহার করা হয় এবং এ দিয়ে মাঝে মাঝে কিছু তথ্য দেয়া হয়।<ref name="Album Cover Art Series">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.rockartpictureshow.com/vinylgallery|accessdate=30 May 2012|title=Album Cover Art Series|publisher=Rock Art Picture Show}}</ref><ref name="The history of the CD - The 'Jewel Case'">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.research.philips.com/technologies/projects/cd/jewelcase.html|accessdate=30 May 2012|title=The history of the CD – The 'Jewel Case'|publisher=Philips Research}}</ref> যেমন লিপির বিশ্লেষণ, গীতি বা কাজের গুরুত্বপুর্ন তথ্য। ঐতিহাসিক কালে অ্যালবাম শব্দটি  বইরুপে কতগুলো পদের সংগ্রহ কে বোঝাত। সঙ্গীতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যালবাম শব্দটি ১৯ শতকের শুরুর দিকে স্বরলিপির ছোট ছোট অংশের সংগ্রহকে বোঝাত। পরবর্তিতে বই আকারে বান্ডিল করা গ্রামোফোনের রেকর্ডকে বোঝাত (গ্রামোফোন রেকর্ড এর এক পাশে ৩.৫ মিনিটের শব্দ ধরতে পারত)। যখন দীর্ঘ সময় বাজানো গ্রামোফোন রেকর্ড আসল,এর একটি রেকর্ডে কতগুলো অংশের সংগ্রহকে বুঝাত। শব্দটি অন্যান্য মাধ্যমের ক্ষেত্রেও বিস্তৃত করা হয়েছে,যেমন সিডি,ছোট ডিস্ক,কপম্যাক্ট অডিও ক্যাসেট এবং ডিজিটাল এ্যালবাম প্রবর্তন করা হয়েছে।

অ্যালবামে প্রয়োজন অনুসারে কম না বেশি ট্রাক থাকতে পারে, যুক্তরাজ্য অ্যালবাম তালিকা এর মানদন্ড অনুসারে ৪টি গান বা ২৫ মিনিটের বেশি চললে তাকে অ্যালবাম বলা যাবে।<ref>{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.theofficialcharts.com/docs/NEW_Album_Chart_Rules_2007_2.pdf |title=Rules For Chart Eligibility – Albums |accessdate=20 April 2007 |date=January 2007 |format=pdf |publisher=[[The Official UK Charts Company]]|archiveurl = https://web.archive.org/web/20070627231755/http://www.theofficialcharts.com/docs/NEW_Album_Chart_Rules_2007_2.pdf |archivedate = 27 June 2007}}</ref> কখন ছোট অ্যালবামকে “ক্ষুদ্র অ্যালবাম” বা  ইপি বলে। মাইক ওল্ডফিল্ডের ''টাবুলার বলস'', ''অ্যামারক'', ''হারজিস্ট রিজ'' অ্যালবামগুলো তে ৪টি গানেরও কম ছিল। অইভাবে শিল্পির প্রতি কোন নিয়ম নেই যেমন পাইনহেড গানপাউডার তাদের ৩০ মিনিটের নিচের প্রকাশকে অ্যালবাম হিসেবে মনে করে।

অ্যালবামের অংশে থাকা সুর অথবা শব্দকে ট্রাক বলে,সাধারনত ১১ বা ১২ ট্রাক। একটি সুরের ট্রাক(সচরাচর একে ট্রাক বলা হয়) হল একক সঙ্গীত বা বাদ্যযন্ত্রের লিপি। জনপ্রিয় সুরের বেলায় ভিন্ন ট্রাকগুলো অ্যালবাম ট্রাক নামে পরিচিত হয়। এটি অন্যান্য মাধ্যমের বেলায় যেমন EP এবং এককের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যখন ভিনাইল লিপিই অডিও লিপির একমাত্র মাধ্যম ছিল তখন ট্রাকগুলো খাজ দেখে চেনা যেত এবং অনেক অ্যালবাম প্রচ্ছদে বা হাতায় প্রত্যেক পাশে ট্রাকের জন্য নাম্বার দেয়া থাকত।সিডিতে ট্রাকগুলি সূচি অনুযায়ী সাজানো থাকে যাতে নির্দিষ্ট ট্রাকে লাফ দিয়ে যাওয়া যায়। iTunes এর মত ডিজিটাল সুরের দোকানগুলোতে সঙ্গীত বলতে কন্ঠস্বরযুক্ত সুরকে বোঝায়।

অ্যালবাম বিষয়বস্তু সাধারণত একটি স্টুডিওতে বা সরাসরি কনসার্টে, যদিও এই ধরনের অন্য অবস্থানে যেমন বাড়ীতে<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.discogs.com/JJ-Cale-Okie/release/2982662|title=JJ-Cale-Okie|work=discogs.com}}</ref><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.telegraph.co.uk/news/obituaries/culture-obituaries/music-obituaries/10207642/JJ-Cale.html|title=JJ Cale Obituary|date=28 July 2013|work=telegraph.co.uk}}</ref> (যেমন JJ Cale এর ওকি, ব্যাকের ওডেলি, ডেভিডগ্রে-এর হুয়াইট ল্যাডার, এবং অন্যান্য ) মাঠে যেমন আর্লি ব্লুস লিপিগুলো, জেলে বা মোবাইল লিপিকরন যন্ত্র যেমন রোলিং স্টোন মোবাইল স্টুডিও এ লিপিবদ্ধ করা যাবে।

এমপি৩ অডিও ধরণ মূলত ডিজিটাল ভান্ডারের ধারণাকে উন্নীত করেছে। আগে এমপিথ্রি অ্যালবাম ক্যাসেট বা ভিনাইল রেকর্ড থেকে রেকর্ড করা হত,অনেক সময় সিডিতেও করা হত।

একটি অ্যালবাম রেকর্ডিং স্টুডিওতে (নির্ধারিত বা ভ্রাম্যমাণ),কনসার্টে, বাড়ীতে,মাঠে, বা বিভিন্ন জায়গাতে লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে । লিপিবদ্ধ করতে কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক বছর ও লাগতে পারে। সাধারণত কতগুলো ক্ষুদ্র অংশকে আলাদাভাবে কয়েকবার চেষ্টার পরে লিপিবদ্ধ করা হয়, পরে মিশানো হয়।বারবার চেষ্টা ছাড়াই যে লিপি একবারেই তৈরি করা যায় তাকে “সরাসরি”বলা হয়,যা কিনা স্টুডিওতেও করা সম্ভব। স্টুডিও মূলত শব্দ শোষণ করে ,প্রতিধ্বনি কমিয়ে কয়েকটি চেষ্টা মিশাতে সাহায্য করে। কিন্তু অন্য স্থানে যেমন কনসার্টের ভেন্যুতে এবং কিছু "লাইভ কক্ষ"এ ,যেখানে প্রতিধ্বনি থাকে যা ‘সরাসরি’ শব্দ তৈরি করে।

কনসার্ট বা মঞ্চ অনুষ্ঠান দুরবর্তি লিপিবদ্ধকরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে লিপিবদ্ধ করা হয়। একটি কনসার্টের লিপি বা একাধিক কনসার্টের লিপি একসাথে "সরাসরি" অ্যালবামে লিপিবদ্ধ করা যেতে পারে। এতে হাততালি,দর্শকদের কোলাহল,দুটি অংশের মধ্যে অভিনেতার মন্তব্য,তাৎক্ষনিক উদ্ভাবন ও আরো কিছু যোগ করা যেতে পারে। একাধিক ট্রাক লিপিকরণ ব্যবহার করা যেতে পারে সরাসরি মঞ্চের শব্দ ব্যবস্থা থেকে( দর্শকের মাঝে মাইক্রোফোন রাখার থেকে ) এবং লিপির গুনাগুন বাড়াতে অনুষ্ঠানের পর আরও কিছু সংকলন এবং ইফেক্ট যোগ করতে পারে।হাসির অ্যালবাম,সরাসরি রেকর্ড করা হয় কারণ এতে দর্শকের প্রতিক্রিয়াি বলে দেয় কৌতুক অভিনেতা কতটুকু সফল হয়েছেন। দর্শকদের হাসির শব্দ যেভাবে বাজানো হয় সেইভাবে

জনপ্রিয় গানের ক্ষেত্রে, একটি গানের দলের একজনের নামে বা নিরপেক্ষ একজন শিল্পির অ্যালবামই হল একক অ্যালবাম। যদিও এতে দলের দুই একজন বা সবাই অংশ নিতে পারে। ১৯৪০ এর শেষে একক অ্যালবাম পরিচিতি পায়। ১৯৪৭ এ ''বিলবোর্ড'' ম্যাগাজিন একটি প্রবন্ধে ঘোষনা করে মার্গারেট হুইটিং ফ্র্যাং ডি ভলিউম এর সাথে তার প্রথম একক অ্যালবাম বের করবে ক্যাপিটাল রেকর্ড থেকে। অ্যালবাম বের করার ক্ষেত্রে কোন আনুষ্ঠানিক নিয়ম নেই, একটি ব্যান্ডের সদস্য তার ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে অনুরোধ করতে পারেন, তখনও একটি দলের অ্যালবাম একক অ্যালবাম হিসেবে প্রকাশ পাবে। একজন সমালোচক লেখেন যে,কৌশলগত ভাবে রিংগো স্টারের ৩য় উদ্যোগ ''রিংগো'' একক অ্যালবাম নয় কারণ বাকি ৪ জন ও এই অ্যালবামে ছিলেন এবং তাদের দল ও অটুট ছিল।

{{Reflistসূত্র তালিকা|30em}}