বিল ভোস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ইনফোবক্স
Suvray (আলোচনা | অবদান)
কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৫৪ নং লাইন:
'''উইলিয়াম ভোস''' ({{lang-en|Bill Voce}}; [[জন্ম]]: [[৮ আগস্ট]], [[১৯০৯]] - [[মৃত্যু]]: [[৬ জুন]], [[১৯৮৪]]) নটিংহ্যামশায়ারের অ্যানেসলি উডহাউজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।<ref name="Cap">{{cite book |title=If The Cap Fits |last=Bateman |first=Colin |authorlink= |coauthors= |year=1993 |publisher=Tony Williams Publications |location= |isbn=1-869833-21-X |page= 178 |url= }}<!--|accessdate=29 April 2011--></ref> ১৯৩০ থেকে ১৯৪৭ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন '''বিল ভোস'''। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিং উপস্থাপন করতেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯৩২-৩৩ মৌসুমের [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] বিতর্কিত বডিলাইন সফরে ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রেখেছেন।
 
== কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ==
নটিংহামের কয়লা খনিসমৃদ্ধ জেলায় এক শ্রমজীবি পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯২৭ সালে নটিংহ্যামশায়ারের সদস্যরূপে গ্লুচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। কয়েকটি খেলার পরই শক্তিধর ও বিভিন্ন বোলিং আক্রমণ পরিচালনায় পারদর্শী নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে নিজের স্থান পাকাপোক্ত করে নেন। এ সময়ে ভোসকে ধ্রুপদী বামহাতি স্পিনাররূপে আখ্যায়িত করা হতো। কিছু সমালোচক তাঁকে [[কলিন ব্লাইদ|কলিন ব্লাইদের]] যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করতে থাকেন। কিন্তু পরের বছর দ্রুতগতিসম্পন্ন পেসের দিকে ধাবিত হলে তাঁকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে, ১৯২৯ সালে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যান। পোতানো উইকেটেও বেশ কয়েকটি খেলায় সফলতা পান। তন্মধ্যে, নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে খেলায় ৪৩ রান দিয়ে চৌদ্দটি উইকেট পেয়েছিলেন।
 
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে নির্বাচিত হন। ১১ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। তবে, বেশ শক্ত উইকেটে দ্রুত গতির বোলিং করতে তাঁকে উজ্জ্বীবিত করে। তিনি আশাতীত সফলতা লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ডে ফিরে ভেজা পিচ বাদে দ্রুতগতিতে বোলিংয়ের অভ্যাস গড়ে তোলেন।
 
১৯৩০ সালে পেস বোলার হিসেবে তেমন সফলতা না পেলেও পরবর্তী গ্রীষ্মকালে ইংল্যান্ড সফরে আসা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। এ সফরে [[ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান|ডন ব্র্যাডম্যান]] বেশ সাবলীল ভঙ্গীমায় ইংরেজ বোলিং আক্রমণ মোকাবেলা করে রান তুলতে সক্ষমতা দেখান।
 
ফলশ্রুতিতে, ভোস ভবিষ্যতের ইংরেজ অধিনায়ক [[ডগলাস জারদিন]] ও নটিংহ্যামশায়ারের অধিনায়ক [[আর্থার কার|আর্থার কারের]] সাথে আলোচনায় বসেন ও ব্র্যাডম্যান তথা অস্ট্রেলীয়দেরকে পরাজিত করার হীন কৌশল গ্রহণে অগ্রসর হন। সতীর্থ নটিংহ্যামশায়ারের ফাস্ট বোলার [[হ্যারল্ড লারউড|হ্যারল্ড লারউডকে]] নিয়ে জারদিনের পরামর্শক্রমে দ্রুতগতিসম্পন্ন বলগুলোকে ব্যাটসম্যানদের শরীর লক্ষ্য করে ফেলার কার্যকরী অপকৌশলটি গ্রহণ করেন যাতে লেগ সাইডে অবস্থানরত ফিল্ডারদের কাছে বল তালুবন্দী হবে।
 
পরবর্তী দুই বছর ভোস ও লারউড নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে লেগ থিওরিকে পরিমার্জিত করে অনুশীলন করতে থাকেন। এরফলে প্রতিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানদেরকে বেশ সমস্যায় ফেলে দেয়। তবে, লারউডের তুলনা তিনি কিছুটা ধীরে বোলিং করতেন। বামহাতে উইকেট লক্ষ্য করে নিজের উচ্চতার তুলনায় বাউন্স মারতেন। ফলে ব্যাটসম্যানেরা তাঁর মুখোমুখি হলে রক্ষা পেতো না। ১৯৩১ সালে ১৯.২৯ গড়ে ১২৩ ও ১৯৩২ সালে ১৬.৮৭ গড়ে ১৩৬ উইকেট লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৩৩ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন বিল ভোস।
 
== তথ্যসূত্র ==