রামমোহন রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
117.248.235.90-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Pinaki1983-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
সংশোধন, সম্প্রসারণ, বিষয়বস্তু যোগ, বানান সংশোধন, রচনাশৈলী
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৬ নং লাইন:
|caption= বাংলার নবজাগরণের জনক রাজা রামমোহন রায়
|alternate name=রামমোহন রায়
|dateofbirthdate of birth={{birth date|1772|5|22}}
|placeofbirthplace of birth= জন্ম (মামার বাড়ি)-[[শ্রীরামপুর, পশ্চিমবঙ্গ|শ্রীরামপুর]] (অধুনা [[পশ্চিমবঙ্গ]])<br>বাড়ি- [[রাধানগর]], [[হুগলীহুগলি জেলা]], অধুনা [[পশ্চিমবঙ্গ]]
|dateofdeathdate of death={{death date and age|1833|09|27|1772|5|22}}
| spouse =
| parents = রামকান্ত রায়, তারিণী দেবী
| parents =
| children =
|prizes=
|religion=[[ব্রাহ্ম ধর্ম]]
|footnotes=
|placeofdeathplace of death=[[স্টেপল্‌টন]], [[ব্রিস্টল]], [[ইংল্যান্ড]]
|movement=[[বাংলার নবজাগরণ]]
|organizations=[[ব্রাহ্মসমাজ]]
}}
'''রামমোহন রায়''', অথবা '''রাজা রাম মোহন রায়''' লেখা হয় '''রাজা রামমোহন রায়''' ([[মে ২২]], [[১৭৭২]] – [[সেপ্টেম্বর ২৭]], [[১৮৩৩]]) প্রথম [[ভারত|ভারতীয়]] ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন [[ব্রাহ্মসমাজ|ব্রাহ্মসমাজের]] প্রতিষ্ঠাতা<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.yourarticlelibrary.com/history/ram-mohan-roy-and-brahmo-samaj/22830/|title=Ram Mohan Roy and Brahmo Samaj|last=মণ্ডল|first=পূজা|date=|website=Your Article Library|publisher=|language=ইংরেজি|access-date=14 December, 2016}}</ref> এবং বাঙালি দার্শনিক। তৎকালীন [[রাজনীতি]], [[জনপ্রশাসন]], [[ধর্ম|ধর্মীয়]] এবং [[শিক্ষা|শিক্ষাক্ষেত্রে]] তিনি উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছিলেন। তিনি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, [[সতীদাহ]] প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য। তখন হিন্দু বিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে বা আত্মহুতি দিতে বাধ্য করা হত।
আধুনিক ভারতের নবযুগের স্রষ্টা রাজা রামমোহন রায় ২২ মে, ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা রামকান্ত রায় খানাকুলের জমিদার ছিলেন। অত্যন্ত মেধাবী রামমোহনের প্রতি ছোটোবেলা থেকেই তাঁর পিতার তীক্ষ্ণ নজর ছিল শিক্ষাদীক্ষার ব্যাপারে।সেজন্যে রামমোহন অল্প বয়সেই সংস্কৃত, আরবি, ফারসি গ্রিক, লাতিন, হিব্রু প্রভৃতি ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন। এমনকি সংস্কৃত ও আরবিতে বই-ও লিখেছিলেন।
রাজা রামমোহন রায় সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছেন, [[সতীদাহ]] প্রথা বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টার জন্য। তখন হিন্দু সদ্যবিধবা নারীদের স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে বা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করা হত। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা করে তৎকালীন সমাজপতিরা সতীদাহ প্রথা চালিয়েছিল। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়পরিজনরা সম্পত্তির লালসায় এই জঘন্য প্রথাকে সমর্থন করত। কিন্তু ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আপসহীন নবভারতের পথপ্রদর্শক রামমোহন হিন্দুশাস্ত্র ব্যাখ্যা করে দেখালেন যে, ধর্মে কোথাও সতীদাহের বিধান নেই। সুতরং সতীদাহ প্রথা ধর্মের বিরোধী। শুধু তাই-ই নয়, তিনি দেশের শিক্ষিত সমাজের কাছে এই কুপ্রথা বন্ধের আহ্বান জানালেন, এমনকি সেই সময়ে ভারতে ব্রিটিশ শাসক লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে তিনিই দরবার করে সতীদাহ বন্ধে আইন পাস করার আর্জি জানান। বেন্টিঙ্ক সাহেব নিজেও সতীদাহ প্রথাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করতেন। ফলে রামমোহন, ভারতীয় শিক্ষিত সমাজ এবং লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের প্রচেষ্টায় ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে 'সতীদাহ নিবারণ আইন' চালু হয়।
ব্রিটিশ শাসনে ভারতের দুর্দশার কথা তখনকার ইংল্যান্ডরাজকে অবগত করার জন্যে রামমোহন ইংল্যান্ড যাত্রা করেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত, তিনি আর দেশে ফিরত পরেননি। ইংল্যান্ডে ব্রিস্টলের স্টেপল্টনে তাঁর জীবনাবসান হয় এবং সেখানেই মর্যাদা সহকারে এই ভারত পথিককে সমাহিত করা হয়।
রামমোহন রায় কলকাতায় [[আগস্টঅগস্ট ২০]], [[১৮২৮]] সালেখ্রিস্টাব্দে [[ইংল্যান্ড]] যাত্রার আগে [[দ্বারকানাথ ঠাকুর|দ্বারকানাথ ঠাকুরের]] সহিতসঙ্গে যুগ্মভাবে [[ব্রাহ্মসমাজ]] স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে এই [[ব্রাহ্মসমাজ]] এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসাবে কাজ করে।
 
তথ্যসূত্র : 'তাঁহাদের কথা', কৃষ্ণা পাহাড়ী, সম্পাদনা : জি কে পাহাড়ী, সৃজন পাবলিকেশনস, কলকাতা-৬।
রামমোহন রায় কলকাতায় [[আগস্ট ২০]], [[১৮২৮]] সালে [[ইংল্যান্ড]] যাত্রার আগে [[দ্বারকানাথ ঠাকুর|দ্বারকানাথ ঠাকুরের]] সহিত [[ব্রাহ্মসমাজ]] স্থাপন করেন। পরবর্তীকালে এই [[ব্রাহ্মসমাজ]] এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসাবে কাজ করে।
 
== শৈশব ও শিক্ষা ==