আল্ফ গোভার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
কোচিংয়ে অংশগ্রহণ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৫২ নং লাইন:
}}
 
'''আলফ্রেড রিচার্ড গোভার''', এমবিই ({{lang-en|Alf Gover}}; [[জন্ম]]: [[২৯ ফেব্রুয়ারি]], [[১৯০৮]] - [[মৃত্যু]]: [[৭ অক্টোবর]], [[২০০১]]) সারের এপসম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে [[সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সারের]] প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলারের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এছাড়াও ডানহাতে [[ব্যাটিং অর্ডার|নিচেরসারিতে]] কার্যকরী ব্যাটিং করেছেন '''আল্ফ গোভার'''।
 
১৯৩০-এর দশকে সারে দলের প্রধান বোলিং আক্রমণকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে ও পরে চার টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তাঁর। এছাড়াও ওয়ার্ডসওয়ার্থে ক্রিকেট বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এ প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
৬৪ নং লাইন:
 
== কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ==
জুন, ১৯২৮ সালে সাসেক্সের বিপক্ষে প্রথম কাউন্টি খেলায় অংশ নেন। তবে, ১৯৩০ সালের পূর্ব-পর্যন্ত দলে স্থায়ীভাবে আসন গড়তে পারেননি তিনি। ১৯৩২ সাল পর্যন্ত দলে [[ফ্রেডি ব্রাউন]], [[পার্সি ফেন্ডার]] ও [[মরিস অলম|মরিস অলমের]] ন্যায় খ্যাতনামা বোলারের উপস্থিতি ছিল। ফলে আল্ফ গোভার দলে তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছিলেন না। কিন্তু, ব্রাউন ও অলমের ব্যবসায় সম্পৃক্ততার ফলে ১৯৩৩ সালের গ্রীষ্মের শুষ্ক মৌসুমে গোভারের কাঁধে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। দায়িত্ব পাবার পর ৯৮টি [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের]] উইকেট লাভ করেন তিনি। তবে, ক্রিজে এগিয়ে যাবার ন্যায় বোলিং প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় তাঁর মধ্যে। টেস্ট দলে অংশগ্রহণের জন্য [[Bill Bowes|বোস]], [[কেন ফার্নসফার্নেস|ফার্নসফার্নেস]], [[Edward Clark (cricketer)|নবি ক্লার্ক]] ও [[বিল কপসন|কপসনের]] সাথে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অবতীর্ণ হতে হয়েছিল।
 
১৯৩৫ সালে স্বল্পদূরত্ব থেকে বোলিং করার উপদেশ দেয়া হয় যাতে যথেচ্ছ রান না দেন ও শক্তির অপচয় না করেন। কিন্তু, ১৯৩৬ সালে পূর্ণাঙ্গ গতিতে দৌঁড়ানোর বিষয়ে ছাড় দেয়া হলে তাঁর শক্তিমত্তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ওভালের পিচে মে মাসে ৫৪ উইকেট পান। অনেক পিচে ভেজা থাকলেও ১৫.৪২ গড়ে ১৭১ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের উইকেট লাভ করেন।
৭৩ নং লাইন:
আঘাতের কারণে ভারতেই গোভারের দৌঁড়ানোর সফলতা শেষ করে দেয়। ১৯৩৮ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে ও জুনের শুরুতে তিনি তাঁর সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলায় ব্যক্তিগত সেরা ১৪/৮৫ পান। পর্যাপ্ত বিশ্রামে থাকা স্বত্ত্বেও গোভারের শারীরিক সুস্থতার বিপরীত চিত্র ফুঁটে উঠে। এ সময়ে তিনি মাত্র ৮৬ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে তিনি পুণরায় স্বমূর্তি ধারণ করেন। তবে, তিনি তাঁর সেরা দুই বছরের মতো গতি ফিরে পাবার জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
 
[[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ]] শেষ হবার পর খেলা পুণরায় শুরু হলে গোভারের বয়স এসে দাঁড়ায় ৩৮। অনুপযোগী অবস্থায়ও তিনি এতোটাই চমৎকার বোলিং করেন যে, ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের জন্য তাঁকে অন্তর্ভূক্ত করতে হয়েছিল। প্রচণ্ড উদ্যম থাকা স্বত্ত্বেও আশ্চর্য্যজনকভাবে ১৯৩৬-৩৭ কিংবা ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সফরের]] জন্য তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়। ১৯৪৭ সালে সর্বশেষবারের মতো কাউন্টি ক্রিকেট খেলার কথা ঘোষণা করেন। তাস্বত্ত্বেও গোভারকে ইংল্যান্ডের সেরা ফাস্ট বোলাররূপে বিবেচনা করা হতো। এ অবস্থাতে শেষ টেস্টে [[Harold Butler (cricketer)|হ্যারল্ড বাটলার]] নিজের নাম প্রত্যাহার করলে ও [[অ্যালেক বেডসার|অ্যালেক বেডসারের]] খেলার মান পড়তির দিকে থাকলে তাঁকে আবারো খেলার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
 
== কোচিংয়ে অংশগ্রহণ ==
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর ১৯৪৮ সালে বেডফোর্ডশায়ারের পক্ষে [[Minor Counties|মাইনর কাউন্টিজ]] প্রতিযোগিতার কয়েকটি খেলায় অংশ নেন আল্ফ গোভার। নয় রানের কিছুটা বেশী দিয়ে ২৫ উইকেট লাভ করেন তিনি। ওয়ান্ডসওয়ার্থে ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেট বিদ্যালয়কে দাঁড় করানোর চেষ্টা চালান। এ বিদ্যালয় থেকেই ইতোমধ্যে প্রশিক্ষিত একদল ভবিষ্যতের টেস্ট খেলোয়াড়ের সাথে সারের পক্ষে শেষ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তী দশকগুলোয় বিদ্যালয়টির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটান ও সর্বাপেক্ষা সেরা বিদ্যালয়ের আসনে নিয়ে যান।
 
[[ফ্রাঙ্ক টাইসন]], [[ভিভ রিচার্ডস]], [[অ্যান্ডি রবার্টস]] ও [[ইয়ান বিশপ|ইয়ান বিশপের]] ন্যায় বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় গোভারের প্রশিক্ষণে উপকৃত হয়েছেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমের অ্যাশেজ সফরে সাংবাদিক হিসেবে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। তিনি টাইসনকে কম দূরত্ব বজায় রেখে বোলিং করার পরামর্শ দেন যা সিরিজের গতিধারা পরিবর্তন করেছিল।<ref>Frank ১৯৩০-এরTyson, দশকIn থেকেthe ১৯৪০-এরEye দশকof পর্যন্তthe সারেTyphoon, দলেরThe সদস্যতারParrs তুলনায়Wood ক্রিকেটPress, প্রশিক্ষণে2004</ref> উল্লেখযোগ্য১৯৮৯ অবদানেরসাল স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৮ সালে তাঁকেপর্যন্ত এমবিইবিদ্যালয়ের উপাধিতেপ্রধান ভূষিতহিসেবে করাকাজ হয়।করতে থাকেন।
 
মৃত্যু পূর্ব-পর্যন্ত ক্রিকেট নিয়ে ব্যাপক লেখালেখিতে ব্যস্ত থাকতেন। ৭ অক্টোবর, ২০০১ তারিখে ৯৩ বছর বয়সে লন্ডনে তাঁর দেহাবসান ঘটে। এ সময়ে তিনি সর্ববয়োঃজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর ফলে [[বব এপলইয়ার্ড]] এ মর্যাদার অধিকারী হন যিনি একমাত্র জীবিত বোলার হিসেবে এক ইংরেজ মৌসুমে দুইশত উইকেট লাভ করেছেন।
 
১৯৭৪ সালে লর্ডস টেভার্নার্সের সভাপতি হন। এছাড়াও, ১৯৮০ সালে সারে কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আল্ফ গোভার। ১৯৩০-এর দশক থেকে ১৯৪০-এর দশক পর্যন্ত সারে দলের সদস্যতার তুলনায় ক্রিকেট প্রশিক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৮ সালে তাঁকে এমবিই উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==