আল্ফ গোভার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রারম্ভিক জীবন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
Suvray (আলোচনা | অবদান)
কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৬৩ নং লাইন:
১৯২৭ সালে ওভালে অনুষ্ঠেয় খেলায় দলের দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে এসেক্স দলের সদস্যরূপে ভ্রমণ করেন তিনি। সারের সেরা উইকেট-রক্ষক [[Herbert Strudwick|হার্বার্ট স্ট্রাডউইকের]] সাথে আলাপের সুযোগ আসে। স্ট্রাডউইকের পরামর্শক্রমে ভবিষ্যতের কথা ভেবে গোভার কাউন্টি ত্যাগ করেন ও সারে দলে যোগ দেন।
 
== কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ ==
জুন, ১৯২৮ সালে সাসেক্সের বিপক্ষে প্রথম কাউন্টি খেলায় অংশ নেন। তবে, ১৯৩০ সালের পূর্ব-পর্যন্ত দলে স্থায়ীভাবে আসন গড়তে পারেননি তিনি। ১৯৩২ সাল পর্যন্ত দলে [[ফ্রেডি ব্রাউন]], [[পার্সি ফেন্ডার]] ও [[মরিস অলম|মরিস অলমের]] ন্যায় খ্যাতনামা বোলারের উপস্থিতি ছিল। ফলে আল্ফ গোভার দলে তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছিলেন না। কিন্তু, ব্রাউন ও অলমের ব্যবসায় সম্পৃক্ততার ফলে ১৯৩৩ সালের গ্রীষ্মের শুষ্ক মৌসুমে গোভারের কাঁধে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। দায়িত্ব পাবার পর ৯৮টি [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের]] উইকেট লাভ করেন তিনি। তবে, ক্রিজে এগিয়ে যাবার ন্যায় বোলিং প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় তাঁর মধ্যে। টেস্ট দলে অংশগ্রহণের জন্য [[Bill Bowes|বোস]], [[কেন ফার্নস|ফার্নস]], [[Edward Clark (cricketer)|নবি ক্লার্ক]][[বিল কপসন|কপসনের]] সাথে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেঅবতীর্ণ হতে হয়েছিল।
 
১৯৩৫ সালে স্বল্পদূরত্ব থেকে বোলিং করার উপদেশ দেয়া হয় যাতে যথেচ্ছ রান না দেন ও শক্তির অপচয় না করেন। কিন্তু, ১৯৩৬ সালে পূর্ণাঙ্গ গতিতে দৌঁড়ানোর বিষয়ে ছাড় দেয়া হলে তাঁর শক্তিমত্তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ওভালের পিচে মে মাসে ৫৪ উইকেট পান। অনেক পিচে ভেজা থাকলেও ১৫.৪২ গড়ে ১৭১ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের উইকেট লাভ করেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে খেললেও উইকেট চমৎকার ছিল। এমনকি তাঁর উজ্জ্বীবিত বোলিংও কোন ফলপ্রসূ হয়নি। পরের বছর ১৯৩৭ সালে গোভার আবারও ভালো খেলা উপহার দেন। আবারো তিনি ২০১ উইকেট লাভ করেন। একমাত্র ফাস্ট বোলার হিসেবে তিনি এক মৌসুমে এতোগুলো উইকেটের সন্ধান পান যা কেবলমাত্র ১৮৯৭ সালে [[টম রিচার্ডসন]] সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।<ref name="Beard">{{cite book |title=Ask Bearders |last=Frindall |first=Bill |authorlink=বিল ফ্রিন্ডল |coauthors= |year=2009 |publisher=[[BBC Books]]|location= |isbn=978-1-84607-880-4 |page=182}}</ref>
 
আঘাতের কারণে ভারতেই গোভারের দৌঁড়ানোর সফলতা শেষ করে দেয়। ১৯৩৮ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে ও জুনের শুরুতে তিনি তাঁর সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে খেলায় ব্যক্তিগত সেরা ১৪/৮৫ পান। পর্যাপ্ত বিশ্রামে থাকা স্বত্ত্বেও গোভারের শারীরিক সুস্থতার বিপরীত চিত্র ফুঁটে উঠে। এ সময়ে তিনি মাত্র ৮৬ উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে তিনি পুণরায় স্বমূর্তি ধারণ করেন। তবে, তিনি তাঁর সেরা দুই বছরের মতো গতি ফিরে পাবার জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর খেলা পুণরায় শুরু হলে গোভারের বয়স এসে দাঁড়ায় ৩৮। অনুপযোগী অবস্থায়ও তিনি এতোটাই চমৎকার বোলিং করেন যে, ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের জন্য তাঁকে অন্তর্ভূক্ত করতে হয়েছিল। প্রচণ্ড উদ্যম থাকা স্বত্ত্বেও আশ্চর্য্যজনকভাবে ১৯৩৬-৩৭ কিংবা ১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে অ্যাশেজ সফরের জন্য তাঁকে দলের বাইরে রাখা হয়। ১৯৪৭ সালে সর্বশেষবারের মতো কাউন্টি ক্রিকেট খেলার কথা ঘোষণা করেন। তাস্বত্ত্বেও গোভারকে ইংল্যান্ডের সেরা ফাস্ট বোলাররূপে বিবেচনা করা হতো। এ অবস্থাতে শেষ টেস্টে হ্যারল্ড বাটলার নিজের নাম প্রত্যাহার করলে ও অ্যালেক বেডসারের খেলার মান পড়তির দিকে থাকলে তাঁকে আবারো খেলার জন্য নির্বাচিত করা হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==
৭৬ ⟶ ৮১ নং লাইন:
== আরও পড়ুন ==
*[http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Players/0/682/f_Bowling_by_Season.html First-class bowling]
*{{[http://content-uk.cricinfo|ref=.com/ci/content/playerstory/13416108884.html}} Cricinfo obituary]
*[http://content-uk.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/155359.html Wisden obituary]
*Frank Tyson, ''In the Eye of the Typhoon'', The Parrs Wood Press, 2004