বিষয়শ্রেণী:বাঙালি শিশুসাহিত্যিক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shahalambadsha (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Shahalambadsha-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Waraka Saki-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: প্রতিস্থাপিত পুনর্বহাল
 
১ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি সাহিত্যিক]]
 
শাহ আলম বাদশা মধ্য ৭০ দশকের কবি, ছড়াকার, গীতিকার বিশেষত; শিশুসাহিত্যিক। তিনি লালমনির হাট জেলার বিখ্যাত কবি শেখ ফজলল করিমের জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬১ সালের ২১ জুলাই লালমনির হাট শহরের (পৌরসভা) খোচাবাড়ি (জুম্মাপাড়া) গ্রামে করেন। তার পিতার নাম মৃত তায়িজ উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা্মৃতথালিমা খাতুন। ৬ ভাই ও তিনবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
 
লেখালেখির উৎস ও প্রেরণাঃ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াকালেই তার সাহিত্যে হাতেখড়ি। ১৯৭৫ সাল থেকেই তিনি ছড়া-কবিতা ও গল্প লিখতে শুরু করেন। তার লেখালেখির শুরুটা বেশ কাকতালীয় বটে। ১৯৭৫ সালে তার মামার একবন্ধু প্রেমিকাকে তার নানাবাড়ি আদিতমারী থেকে পালিয়ে নিয়ে এসে ওঠেন তাদের লালমনিরহাটের বাড়িতে। তার মামার সেই প্রেমিক বন্ধুর বিশালাকৃতির একটা মোটাখাতা ছিল, যা কবিতা-ছড়ায় ঠাসা ছিল। তিনি তা কাউকে নাড়তে দিতেন না। তিনি বাইরে গেলে একদিন তিনি আগ্রহভরে সেই খাতাটা পড়তে থাকেন। সুন্দর হাতের লেখাসম্বলিত তার পদ্যগুলো পড়তে পড়তে তারও খেয়াল হয় যে, তিনিও তো এমন পদ্য লিখতেই পারি? ব্যস, যেমন চিন্তা তেমন কাজ, প্রথম চেষ্টাতেই লিখে ফেললেন ব্যাঙ্গাত্মক একটা ছড়া যার নাম “আস্ত বোকা”। কয়টি লাইন মনে আছে যেমন-“যেতে বললে বামে/হাঁটেন তিনি ডানে/পেছন থেকে ডাকলে/শোনে নাযে কানে”। তার প্রথম ছড়াটি তৎকালীন রেডিও বাংলাদেশ রংপুর এর শিশুতোষ সাহিত্যানুষ্ঠান ''সবুজমেলায়'' প্রচারিত হয়। অতি-উৎসাহে এরপর তিনিও সাদাকাগজের একটা মোটাখাতা বানিয়ে একের পর এক মানসম্মত পদ্য লিখতে থাকেন যদিও তখন পদ্য, ছড়া, কবিতা বা ছন্দের জ্ঞান ছিল না।
 
লেখাপ্রচার ও প্রকাশঃ
তখন টিভি সহজলভ্য না থাকায় আমি নিয়মিত রেডিওর গানসহ নানা অনুষ্ঠান শুনতাম এবং একদিন জানলাম যে, রেডিও বাংলাদেশ রংপুরের “সবুজমেলা” নামক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানে ছোটদের স্বরচিত লেখাপাঠ করে শোনানো হয়। তখন থেকেই কবি মহফিল হক পরিচালিত সবুজমেলায় ছড়া-কবিতা পাঠাতে থাকেন আর তা পাঠ করে শোনাতে থাকে্ন একেকজন পাঠক-পাঠিক। তার লেখার মান ও হাত ভালো বলে তারা প্রশংসাও করতে থাকেন। তাই আমার উৎসাহও বেড়ে যায়। এভাবে ঢাকা রেডিওর “কথামালা” নামের আরেকটি অনুষ্ঠানেও নিয়মিত তার লেখাপাঠ হতে থাকে। ঢাকা ও রংপুর বেতারে এভাবেই লেখালেখির শুরু। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রেডিও বাংলাদেশ রংপুর কর্তৃক ‘‘উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ ছড়াকার’’ হিসেবে তাকে স্বীকৃতিও দেয়া হয়।বলাবাহুল্য যে, ১৯৮৬ সালে সিলেট ছড়া পরিষদ কর্তৃক ছড়ায় অবদান রাখার জন্য তিনি পুরস্কৃত হন।
 
আস্তে আস্তে স্কুল-কলেজ ম্যাগাজিন, বার্ষিকীসহ স্থানীয় দেয়াল পত্রিকাতেও তিনি লিখতে থাকেন। লেখার এমন নেশাই পেয়ে বসলো যে, তখনকার দিনে পত্রমিতালী নামক কলমন্ধুত্বের বিভিন্ন বইপত্র বের হতো এবং তিনিও সেসবের সদস্য হতেন। এভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন পত্রমিতার মাধ্যমে অনেক লিটল ম্যাগাজিনসহ দৈনিক সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈমাসিক পত্রিকার সন্ধান পা্ইনএবং লিখতে থাকেন। এভাবে উভয়দেশের তখনকার পত্রিকা যেমন, দৈনিক আজাদ, সংবাদ, ইত্তেফাক, সংগ্রাম, বাংলার বাণী, দৈনিক বাংলা, দেশ, জনতা, নব অভিযান, সাপ্তাহিক খবর, সোনার বাংলা, জাহানে নও, কিশোর বাংলা ইত্যাদি এবং উভয়বাংলার মাসিক কলম, ঢাকা ডাইজেস্ট, শিশু, নবারুণ, ফুলকুঁড়ি, সবুজপাতা, ময়ূরপঙ্খী, সাম্পান, সপ্তডিঙ্গা, কিশোরকণ্ঠসহ অসংখ্য পত্রিকায় লিখতে থাকেন। এরফাঁকে স্কুল-কলেজছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে স্বচিত কবিতা-ছড়াপাঠ করেও পুরস্কার পেতে থাকেন। জাতীয় পত্রিকায় তার ১ম লেখা ছাপা হয় ১৯৭৭ সালে। ইত্তেফাকে ১ম ছড়া ছাপেন রুকুনুজ্জামান খান দাদাভাই।
 
নামবিভ্রাটঃ
তিনি যখন লিখতে থাকেন তখন রাজশাহীতে শাহ আলম চৌধুরী নামে একজন লিখতেন, কেউ কেউ মোঃ শাহ আলম নামেও লিখতেন। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে শুরু থেকেই তিনি নামধারণ করেন ‘শাহ আলম বাদশাহ’ পরে শাহ আলম বাদশা’। দৈনিক বাংলায় তার ১ম ছড়া ছাপেন কবি আফলাতুন। কিন্তু তিনি তার নাম ছাপেন ‘বাদশা’ অংশ বাদ দিয়ে শুধুই ”শাহ আলম” করে দেন। এতে তার মেজাজ যায় বিগড়ে। কারণ তখন দুইবাংলায় শাহ আলম বাদশা নামটা সুন্দর একটা পরিচিতি পেয়েছে। তিনি ক্ষেপে গিয়ে কবি আফলাতুনকে অনেক পত্রিকায় প্রকাশিত তার লেখার ক্লিপিং/কাটিংসহ কড়াভাষায় চিঠি দিলেন যে, “এত পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হয় কিন্তু লেখাছাড়া কেউ লেখকনাম এডিট করে না। আর আপনি কোন অধিকারে আমার নামকেই কেটেছেটে ছোট করে দিলেন? এরপর স. ম. আবুল হাসান নামক একবন্ধু লেখক তাকে চিঠি লিখে জানালেন যে, কবি আফলাতুন আপনার চিঠির দাঁতভাঙ্গা জবাব লিখতে ছড়াকার আমীরুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন ইত্যাদি। যদিও পরে আর দাঁতভাঙ্গা জবাব তিনি পাননি। কিন্তু এটা জানতে পারেন যে, আফলাতুন সাহেব লুৎফর রহমান রিটন, শাহানারা রশিদ ঝরনাসহ অনেকের মূলনামের আগে-পরের সব উপনাম/ডাকনামই ছেটে ফেলতেন বলে ভুক্তভোগীরা তার মতোই দৈনিক বাংলায় লেখাই ছেড়ে দেন। যদিও স. ম. আবুল হাসান পরে সরদার আবুল হাসান হয়েছেন।
 
সাহিত্যসংগঠন, সাংবাদিকতা ও পত্রিকাপ্রকাশঃ
তিনি ১৯৮০ সাল থেকে দৈনিক রাজশাহী বার্তা, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক ইত্তেফাক, ঢাকার সাপ্তাহিক বিক্রম, সাপ্তাহিক সোনার বাংলাসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট জেলায় উন্নীত হবার আগেই তৎকালীন রংপুর জেলাধীন লালমনিরহাট মহকুমা শহরে তার নেতৃত্বে কিছু উৎসাহী কবিসাহিত্যিক ও সাংবাদিকের উদ্যোগে ঐতিহাসিক যে দুটো কাজ হয়, তার একটি হচ্ছে-১৯৮৩ সালের শেষদিকে ‘’চলমান সাহিত্যগোষ্ঠি’’ নামক সাহিত্যসংগঠনের আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে নিয়মিত ‘’ত্রৈমাসিক চলমান’’ নামের সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক একটি পত্রিকার যাত্রাশুরু। আরেকটি হলো-’’সাপ্তাহিক জানাজানি’’ নামের ১ম একটি সংবাদপত্র চালু। এসব ইতিহাস অনেকেরই আজ জানা নেই যে, আধুনিক লালমনিরহাটের সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাসে তিনিসহ সেসব বন্ধুদের পদচারণা ছিলো অগ্রপথিকের মতোই। তাদের এ দুটি বড়কাজ পরবর্তীতে লালমনিরহাটের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে এবং তাদের প্রচেষ্টায় অনেক নবীন সাহিত্যিক-সাংবাদিক গড়ে ওঠে। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে সাংবাদিকতাছাড়াও বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা যেমন; লালমনিরহাট থেকে ত্রৈমাসিক চলমান, ত্রৈমাসিক ব্যতিক্রম, ত্রৈমাসিক দারুচিনি, ত্রৈমাসিক কিশোরকন্ঠ, ত্রৈমাসিক প্রজাপতিসহ (অধুনালুপ্ত) বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক এবং লালমনিরহাটের প্রথম প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক জানাজানি’র প্রতিষ্ঠাতা সাহিত্যসম্পাদকও ছিলেন তিনি।
 
১৯৮৮ সালে তিনি রংপুরের য়াল হেরা ইনস্এটিটিউট এ (হাইস্কুলে) শিক্ষকতার পাশাপাশি উভয়বাংলায় প্রচুর লিখতে থাকেন। এমন দিনও গেছে যে, যেদিন ৮/১০টি পত্রিকায় তার লেখা থাকতোই। পত্রমিতাদের যেমন তিনি প্রচুর চিঠি লিখতেন তেমনই পত্রিকায় দুইহাতে লিখ্তেন ছড়া-কবিতা-গান-রম্য-প্রবন্ধ ইত্যাদিও। কিন্তু ১৯৯১ সালে তথ্যক্যাডারের সরকারি চাকরিতে ঢুকে মন্ত্রীদের পিআরও হিসেবে মাঠে-ময়দানে ছোটাছুতি করতে গিয়ে প্রায় ১৫/২০ বছর সাহিত্যচর্চা থেকে দূরে ছিলেন। আবার নতুন করে প্যরোদমে লেখালেখি শুরু করে্ন ২০১৪ সাল থেকে।
 
যেভাবে শিশুসাহিত্যিক হলেনঃ
৭০ ও ৮০ এর দশকে পত্রিকায় পাতায় শিশুসাহিত্য ও ছড়ার কারিগর হিসেবে ৬০, ৭০, ৮০ দশকের লেখক হিসেবে যাদের নাম জ্বলজ্বল করতো তাদের উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন—অন্নয়া শংকর রায়, সুকুমার বড়ুয়া, এখলাস উদ্দীন আহমেদ, ফয়েজ আহমেদ, রুকুনুজ্জামান খান দাদাভাই, রফিকুল হক দাদুভাই, এয়াকুব সৈয়দ, এনায়েত রসুল, আলী ইমাম, খালেক বিন জয়েন উদ্দিন, সাজজাদ হোসাইন খান, সৈয়দ আল ফারুক, সিরাজুল ফরিদ, সৈয়দ নাজাত হোসেন, লুৎফর রহমান রিটন, আলমগীর বাবুল, আহমেদ জসিম, ফারুক নওয়াজ, রহীম শাহ, আলোয়ারুল কবীর বুলু, মোসলেম উদ্দীন বাবুল, শাহাবুদ্দীন নাগরী, ইকবাল বাবুল, মহিউদ্দীন আকবর, ইকবাল কবীর মোহন, আসলাম সানী, আমীরুল ইসলাম, মাসুদ আলী, জয়নুল আবেদীন আজাদ, শরীফ আব্দুল গোফরান, আলম তালুকদার, ফারুক হোসেন, শাহ আলম বাদশা, উৎপলকান্তি বড়ুয়া, জসীম মেহবুব, রাশেদ রউফ, নাসের মাহমুদ, বিলু কবীর, হাসনাত আমজাদ, জাকির তালুকদার, আশারাফুল আলম পিন্টু, গোলাম কিবরিয়া পিনু, সিরাজুদ্দৌলাহ বাহার, সুজন বড়ুয়া, ওয়াসিফ এ খোদা, টিপু কিবরিয়া, ইশারফ হোসেন,জয়নাল আবেদীন, ফারুক হাসান, ফাহমিদ আল ফারিদ, সোহেল মল্লিক, নজরুল ইসলাম শান্ত, চন্দন কৃষ্ণ পাল, শাহানারা রশিদ ঝরনা প্রমুখ।
 
 
তিনি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বহুলপরিচিত ফেসবুকভিত্তিক সাহিত্যসংগঠন ’’রঙধনু সাহিত্যগ্রুপ’’ এর প্রতিষ্ঠাতা চিফ-এডমিন। বর্তমানে তিনি উক্ত সাহিত্যগ্রুপের জনপ্রিয় ত্রৈমাসিক মুখপত্র ’রঙধনু সাহিত্যপত্র’ এর সম্পাদনা করছেন।তিনি বিসিএস তথ্যক্যাডারের সদস্য, এলএলবির ছাত্র এবং ৪সন্তানের জনক। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর পিআরও হিসেবে কর্মরত। তিনি এলএলবি’র ডিগ্রিধারী এবং বিসিএস তথ্য ক্যাডারের সদস্য। বর্তমানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর প্রেস এবং প্রচারের দায়িত্বরত পিআরও। ফোনঃ ০১৮১৭১১৭৯২৯/০১৫৫২৩৪২৪৪৯
 
গ্রন্থপরিচিতিঃ
শাহ আলম বাদশা’র প্রকাশিত গ্রন্থ এবংঅডিও-ভিডিও এলবামসমূহঃ
 
১। দুরছাই ধুত্তোরী ছাই
 
২। লিন্তামণির চিন্তা
 
৩। ছোট্টমণির প্রশ্ন অনেক
 
৪। ছড়িয়ে দিলেম ছড়া
 
৫। হৃদয়জমিন [কাব্যগ্রন্থ]
 
৬। নিপুণ শব্দস্রোত [কাব্যগ্রন্থ]
 
৭। কমন স্যার [ছোটগল্পগ্রন্থ]
 
৮। কিশোকন্ঠ গল্পসমগ্র [গল্পসংকলন]
 
৯। স্বপ্ন দিয়ে বোনা [গল্পসংকলন]
 
১০। মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গল্প [গল্পগ্রন্থ]
 
১১। মা ও শিশু [প্রবন্ধসংকলন]
 
১২। মা ও শিশু [প্রবন্ধসংকলন]
 
১৩। মা ও শিশু [প্রবন্ধসংকলন]
 
১৪। মা ও শিশু [প্রবন্ধসংকলন]
 
১৫। কবিকবি-ভাব ছন্দের অভাব [ছন্দপ্রকরণ]
 
১৬। ভোরের পাখিরা [অডিও-ভিডিও এলবাম]
 
১৭। শিহরণ-১ [অডিও এলবাম]
 
১৮। শিহরণ-২ [অডিও এলবাম]
 
১৯। প্রত্যয় [অডিও এলবাম]
 
২০। প্যারোডি গান [অডিও এলবাম]
 
২১। তথ্য পেলেন কাশেম চাচা [নাটিকার ডিভিডি]
 
২২। তথ্য কমিশনের বিচারিক কার্যক্রম [প্রামাণ্যচিত্রের ডিভিডি]।