বিষয়শ্রেণী:বাঙালি শিশুসাহিত্যিক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১৪ নং লাইন:
তিনি যখন লিখতে থাকেন তখন রাজশাহীতে শাহ আলম চৌধুরী নামে একজন লিখতেন, কেউ কেউ মোঃ শাহ আলম নামেও লিখতেন। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে শুরু থেকেই তিনি নামধারণ করেন ‘শাহ আলম বাদশাহ’ পরে শাহ আলম বাদশা’। দৈনিক বাংলায় তার ১ম ছড়া ছাপেন কবি আফলাতুন। কিন্তু তিনি তার নাম ছাপেন ‘বাদশা’ অংশ বাদ দিয়ে শুধুই ”শাহ আলম” করে দেন। এতে তার মেজাজ যায় বিগড়ে। কারণ তখন দুইবাংলায় শাহ আলম বাদশা নামটা সুন্দর একটা পরিচিতি পেয়েছে। তিনি ক্ষেপে গিয়ে কবি আফলাতুনকে অনেক পত্রিকায় প্রকাশিত তার লেখার ক্লিপিং/কাটিংসহ কড়াভাষায় চিঠি দিলেন যে, “এত পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হয় কিন্তু লেখাছাড়া কেউ লেখকনাম এডিট করে না। আর আপনি কোন অধিকারে আমার নামকেই কেটেছেটে ছোট করে দিলেন? এরপর স. ম. আবুল হাসান নামক একবন্ধু লেখক তাকে চিঠি লিখে জানালেন যে, কবি আফলাতুন আপনার চিঠির দাঁতভাঙ্গা জবাব লিখতে ছড়াকার আমীরুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন ইত্যাদি। যদিও পরে আর দাঁতভাঙ্গা জবাব তিনি পাননি। কিন্তু এটা জানতে পারেন যে, আফলাতুন সাহেব লুৎফর রহমান রিটন, শাহানারা রশিদ ঝরনাসহ অনেকের মূলনামের আগে-পরের সব উপনাম/ডাকনামই ছেটে ফেলতেন বলে ভুক্তভোগীরা তার মতোই দৈনিক বাংলায় লেখাই ছেড়ে দেন। যদিও স. ম. আবুল হাসান পরে সরদার আবুল হাসান হয়েছেন।
সাহিত্যসংগঠন, সাংবাদিকতা ও পত্রিকাপ্রকাশঃ
তিনি ১৯৮০ সাল থেকে দৈনিক রাজশাহী বার্তা, দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক ইত্তেফাক, ঢাকার সাপ্তাহিক বিক্রম, সাপ্তাহিক সোনার বাংলাসহ বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট জেলায় উন্নীত হবার আগেই তৎকালীন রংপুর জেলাধীন লালমনিরহাট মহকুমা শহরে তার নেতৃত্বে কিছু উৎসাহী কবিসাহিত্যিক ও সাংবাদিকের উদ্যোগে ঐতিহাসিক যে দুটো কাজ হয়, তার একটি হচ্ছে-১৯৮৩ সালের শেষদিকে ‘’চলমান সাহিত্যগোষ্ঠি’’ নামক সাহিত্যসংগঠনের আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে নিয়মিত ‘’ত্রৈমাসিক চলমান’’ নামের সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক একটি পত্রিকার যাত্রাশুরু। আরেকটি হলো-’’সাপ্তাহিক জানাজানি’’ নামের ১ম একটি সংবাদপত্র চালু। এসব ইতিহাস অনেকেরই আজ জানা নেই যে, আধুনিক লালমনিরহাটের সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাসে তিনিসহ সেসব বন্ধুদের পদচারণা ছিলো অগ্রপথিকের মতোই। তাদের এ দুটি বড়কাজ পরবর্তীতে লালমনিরহাটের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনে এবং তাদের প্রচেষ্টায় অনেক নবীন সাহিত্যিক-সাংবাদিক গড়ে ওঠে। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে সাংবাদিকতাছাড়াও বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা যেমন; লালমনিরহাট থেকে ত্রৈমাসিক চলমান, ত্রৈমাসিক ব্যতিক্রম, ত্রৈমাসিক দারুচিনি, ত্রৈমাসিক কিশোরকন্ঠ, ত্রৈমাসিক প্রজাপতিসহ (অধুনালুপ্ত) বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক এবং লালমনিরহাটের প্রথম প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক জানাজানি’র প্রতিষ্ঠাতা সাহিত্যসম্পাদকও ছিলেন তিনি।
১৯৮৮ সালে তিনি রংপুরের য়াল হেরা ইনস্এটিটিউট এ (হাইস্কুলে) শিক্ষকতার পাশাপাশি উভয়বাংলায় প্রচুর লিখতে থাকেন। এমন দিনও গেছে যে, যেদিন ৮/১০টি পত্রিকায় তার লেখা থাকতোই। পত্রমিতাদের যেমন তিনি প্রচুর চিঠি লিখতেন তেমনই পত্রিকায় দুইহাতে লিখ্তেন ছড়া-কবিতা-গান-রম্য-প্রবন্ধ ইত্যাদিও। কিন্তু ১৯৯১ সালে তথ্যক্যাডারের সরকারি চাকরিতে ঢুকে মন্ত্রীদের পিআরও হিসেবে মাঠে-ময়দানে ছোটাছুতি করতে গিয়ে প্রায় ১৫/২০ বছর সাহিত্যচর্চা থেকে দূরে ছিলেন। আবার নতুন করে প্যরোদমে লেখালেখি শুরু করে্ন ২০১৪ সাল থেকে।
|