ভারতে বাংলা ভাষা আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ami.bangali 2ed (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Ami.bangali 2ed (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
{{কাজ চলছে}}
ভারতীয় উপমহাদেশে বাঙালিদের মাতৃভাষার পূর্ন মর্যাদার দাবিতে বাংলা ভাষা আন্দোলন প্রথম ভারতের মাটিতেই সংগঠিত হয়েছিল।<ref name="বাংলা ভাষার জন্য প্রথম ভাষা আন্দোলন">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.purulia.nic.in/distAdmin/departments/dico/bhasa_andolon.html|title=বাংলা ভাষার জন্য প্রথম ভাষা আন্দোলন The Official Website of Purulia District|access-date=2017-12-21}}</ref> মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে উপমহাদেশকে পথ দেখিয়েছে ভারতের বাঙালিদের ভাষা আন্দোলন। ভারতে অঞ্চল ভেদে ভিন্নভিন্ন সময়ে অনেকবারই বাংলা ভাষা আন্দোলন হয়েছে কিন্তু কখনই তা সর্ব ভারতীয় রূপ ধারণ করে নি। ফলসরূপ ভাষার দাবিতে অঞ্চল ও রাজ্য ভেদে ভারতীয় বাঙালির এই লড়াই আজও অব্যাহত রয়েছে। অবিভক্ত ভারতে ১৯৪০ সালে মানভূমে জেলায় যে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল<ref name="বাংলা ভাষার জন্য প্রথম ভাষা আন্দোলন" />, সাময়িক ভাবে সেই আন্দোলনের আন্দোলনকারীদের দাবি মিটে গেলেও ভারতের অন্যান্য প্রদেশে বাংলা ভাষা আন্দোলন আজও বিদ্যমান। ভারতের বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে মানভূম ও আসামের নাম প্রথম উঠে আসে। এছাড়াও ঝাড়খন্ড, বিহার, ছত্রিশগড়, কর্ণাটক ও দিল্লিতে বাঙালিদের মাতৃভাষার দাবিতে লড়াই বর্তমান।
 
==অন্যান্যভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি==
১৯৪৭ সালে বৃটিশ ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে ভারতীয় মুসলিমদের জন্য পৃথক বাসভূমি পাকিস্তান তৈরি হয়। এই সময় বাংলার মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব অংশ( [[পূর্ব বাংলা]]) পাকিস্থানে যোগদান করে। ফলস্বরূপ পূর্ব বাংলার বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠী নতুন সৃষ্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের জাতি বিদ্বেষের স্বীকার হয়ে ভিটে মাটি ছাড়তে বাধ্য হন। উদ্বাস্তু ও ছিন্নমূল এই সব হিন্দু বাঙালিরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেন। ভারতের বাঙালি রাজ্য [[পশ্চিমবঙ্গ]] ছাড়াও অন্যান্য অবাঙালী জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্যে তাঁদের পুনবাসন দেওয়া হয়। ছত্রিশগড় ,ওড়িশার দণ্ডকারণ্য , মহারাষ্ট্র কর্ণাটক এই রাজ্য গুলির মধ্যে অন্যতম। পুনর্বাসিত এই সকল হিন্দু বাঙালিরা অবাঙালী অধ্যুষিত এই সকল রাজ্যে বৈষম্যের স্বীকার হয় এবং মাতৃভাষা বাংলার পঠনপাঠন ও সরকারি মর্যাদার দাবিতে আন্দোলনে নামেন
 
==ছত্রিশগড়ের বাঙালিদের আন্দোলন==
৪৭ এর দেশ ভাগের পর পূর্ব বাংলার হিন্দু উদ্বাস্তুদের দণ্ডকারণ্য প্রজেক্টের মাধ্যমে পাখানজোরের ১৩২ টি গ্রামে ও ৩৩ টি গ্রামে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। পরবর্তী কালে বাঙালিদের বাংলায় পাঠনপাঠন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, দণ্ডকারণ্য প্রজেক্ট বন্ধ হলে ছত্রিশগড় সরকার পরে বাংলায় শিক্ষার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন। বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয় গুলিকে হিন্দি মাধ্যমে রূপান্তর করা হয়। সামান্য কিছু বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয় থাকলেও সেখানে বাংলা মাধ্যম পুস্তক সরবরাহ করা হয় নি। বাঙালি পড়ুয়ারা বৈষম্যের মুখোমুখি হয়। পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে নিখিল ভারত বাঙালি উদ্বাস্তু সমিতির নেতৃত্বে আন্দোলনের রূপ ধারণ করে। বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বাংলায় পঠনপাঠন এবং সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহারের দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকে। ছত্রিশগড়ের পাখানজোর থেকে শুরু করে রাজধানী দিল্লিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সাময়িক কিছু সমস্যার সমাধান হলেও বাকি দাবিতে সংগ্রামকারীরা আজও আন্দোলনরত। <ref>http://palashscape.blogspot.in/2015/10/blog-post_23.html?m=1</ref>
 
==অন্যান্য রাজ্যে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি==
১৯৪৭ সালে বৃটিশ ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়ে ভারতীয় মুসলিমদের জন্য পৃথক বাসভূমি পাকিস্তান তৈরি হয়। এই সময় বাংলার মুসলিম অধ্যুষিত পূর্ব অংশ( [[পূর্ব বাংলা]]) পাকিস্থানে যোগদান করে। ফলস্বরূপ পূর্ব বাংলার বাঙালি হিন্দু জনগোষ্ঠী নতুন সৃষ্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের জাতি বিদ্বেষের স্বীকার হয়ে ভিটে মাটি ছাড়তে বাধ্য হন। উদ্বাস্তু ও ছিন্নমূল এই সব হিন্দু বাঙালিরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেন। ভারতের বাঙালি রাজ্য [[পশ্চিমবঙ্গ]] ছাড়াও অন্যান্য অবাঙালী জনজাতি অধ্যুষিত রাজ্যে তাঁদের পুনবাসন দেওয়া হয়। ছত্রিশগড় ,ওড়িশার দণ্ডকারণ্য , মহারাষ্ট্র কর্ণাটক এই রাজ্য গুলির মধ্যে অন্যতম। পুনর্বাসিত এই সকল হিন্দু বাঙালিরা অবাঙালী অধ্যুষিত এই সকল রাজ্যে বৈষম্যের স্বীকার হয় এবং মাতৃভাষা বাংলার পঠনপাঠন ও সরকারি মর্যাদার দাবিতে আন্দোলনে নামেন