ইমাম ইবনে রজব আল-হাম্বলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ওমর হামযা খান (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
আজিজ (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
'''যাইনুদ্দীন, আবুল ফারাজ, আব্দুর রহমান ইবনে আহমাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনুল হাসান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবি আল-বারাকাত মাস'উদ আস সুলামি, আল বাগদাদি, আল-হাম্বালি রহঃ যিনি '''ইবনে রজব'' হিসেবে সুপরিচিত। '''তার এ নাম তিনি পেয়েছিলেন তার দাদার থেকে যিনি রজব মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি ছিলেন একজন বিদ্বান।
 
== জীবনী ==
ইমাম ইবনে রজব জন্মগ্রহণ করেন [[বাগদাদ|বাগদাদে]] ১৩৩৫ ঈসায়ী সনেখ্রিস্টাব্দে (৭৩৬ হিজরি)। তার দাদা ছিলেন একজন [[ধর্মতত্ত্ব|ধর্মতত্ত্ববিদ]], ইসলামী শাস্ত্রের বিশিষ্ট বিদ্বান, বিশেষ করে হাদীছ[[হাদিস]] শাস্ত্রের। তার বাবাও বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং বহু স্কলারেরপণ্ডিতগণে কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। তার বয়স যখন পাঁচ, ইবনে রজবের পরিবার [[দামেস্ক|দামেস্কে]] স্থানান্তরিত হয়, তখন তিনি জেরুসালেম[[জেরুজালেম]] সফর করেন এবং সেখানে আল-আলা'ঈর কাছে জ্ঞানার্জন করেন। এরপর তিনি বাগদাদে যান এবং সেখান থেকে [[মক্কা]] গমন করেন। মক্কায় তার পিতা তার শিক্ষার জন্য সু-ব্যবস্থা করে রাখেন। এরপর তিনি [[মিশর]] সফর করেন এবং এরপর আবার দামেস্কে ফিরে যান, সেখানে তিনি ছাত্রদের শিক্ষাদান শুরু করেন। তিনি [[ইবনে আন-নাকীব]] (মৃত্যু ৭৬৯ হিজরি), আস সুবকি, আল ইরাকি (৮০৬ হিজরি), মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাইল আল খাব্বাজ এবং প্রমুখ বিদ্বানের কাছে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি যুগশ্রেষ্ঠ 'আলিমে দ্বীন ইবনে কায়্যিম আল যাওজিয়্যাহ রহঃ এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার কাছে অধ্যয়ন করেন।  ইমাম আন-নববী রহঃ কর্তৃক রচিত প্রসিদ্ধ গ্রন্থ "চল্লিশ হাদীছ" এর একটি বৃহৎ ব্যাখ্যা (শরাহ) ইবনে রজব রচনা করেছিলেন (জামি' আল-উলুম ওয়াল হিকাম) যা আজ পর্যন্ত চল্লিশ হাদীছের শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যা গ্রন্থ হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। জীবনের শেষ দিকে তিনি শ্রেষ্ঠতম হাদীছ গ্রন্থ ছহীহ আল-বুখারীর ব্যাখ্যা রচনা শুরু করেন কিন্তু "জানাজার সালাত অধ্যায়ে" পৌঁছার আগেই মৃত্যু বরণ করেন। তিনি সেই গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন ফাৎহুল বারী যা পরবর্তীকালে দার ইবনে জাওযী থেকে ৭ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ইবনে রজবের মৃত্যুর ২০ বৎসর পর ইবনে হাজার আস্কলানী রহঃ ছহীহ আল-বুখারীর ব্যাখ্যা রচনা শুরু করেন এবং ইবনে রজব আল হাম্বালি রহঃ এর সম্মানে গ্রন্থের শিরোনাম দেন ফাতহুল বারী যেটা ছহীহ আল বুখারীর শ্রেষ্ঠতম ব্যাখ্যা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
 
=== মৃত্যু ===
ইবনে রজব রহঃ ৭৯৫ হিজরি সনের চতুর্থ রমযানের পবিত্র এক রাতে (১৩৯৩ ঈসায়ী) মৃত্যুবরণ করেন। তখন তার বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। মৃত্যুর পর দিন তার জানাযার সালাত অনুষ্ঠিত হয় এবং তাকে সমাহিত করা হয় বাব আস-সাগীর কবরস্থানে।<ref>"Saleem al-Hilaali, Eeqaadh-ul-Himam (An abridgment of Jami' Ulum wa al-Hikam)" Pages 8-11</ref>
 
=== তার ব্যাপারে বিদ্বানদের মন্তব্য ===
ইবনে কাযী শুহবাহ ইবনে রজবের ব্যাপারে বলেন, "তিনি জ্ঞান বিজ্ঞানের বহু শাখায় পারদর্শী (পণ্ডিত) ছিলেন। তিনি হাম্বালি ফিকহের ওপর নিবিষ্ট মনে বহু সময় দেন একজন অদ্বিতীয় হাম্বালি ফকীহ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত। হাদীছহাদিস শাস্ত্রের বিভিন্ন অপূর্ণতা পূরণ করার জন্য, জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজেকে অনুগত করে নিয়েছিলেন। তিনি লেখালেখির জন্য নির্জনতাকে বেঁছে নিয়েছিলেন।"<ref>Al-Jawhar-ul-Munaddad Page # 48</ref>
 
হাফিয ইবনে হাযার আল-আস্কলানী রহঃ তার ব্যাপারে বলেন, "তিনি খুব উচু পর্যায়ের হাদীছ শাস্ত্রবিদ ছিলেন; উসুলুল হাদীছ, রিযাল শাস্ত্র, হাদীছের সনদ মতন এবং হাদীছের অর্থ ব্যাখ্যা সম্পর্কে পারদর্শী ছিলেন।"<ref>Inbaa-ul-Ghamr</ref>