ওয়াকা গ্রাউন্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
/* ইতিহাস{{cite web|author= |url= http://www.prothom-alo.com/sports/article/1386446/%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B0%...
৫০ নং লাইন:
==ইতিহাস<ref>{{cite web|author= |url= http://www.prothom-alo.com/sports/article/1386446/%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A7%9F-%E2%80%98%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E2%80%99|title= ওয়াকায় টেস্টের স্মরণীয় ‘পাঁচ’}}</ref>==
ঐতিহাসিক এই মাঠ সাক্ষী হয়ে আছে অনেক কিছুরই, দারুণ কিছু মুহূর্তের, দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্সের। [[১৮৮৫]] সালে যে মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেটি বাস্তবে রূপ পেয়েছিল [[১৮৮৯]] সালে। যদিও ওয়াকায় টেস্ট খেলা হয়েছিল এর অনেক পরে—[[১৯৭০]] সালে। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার অ্যাশেজ সিরিজ দিয়ে টেস্ট ভেন্যু হিসেবে পথচলা শুরু করা ওয়াকায় ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াই নেমেছে শেষ টেস্টটি খেলতে।
 
==উল্লেখযোগ্য ঘটনা==
===ডেনিস লিলি বনাম জাভেদ মিয়াঁদাদ, ১৯৮১===
জাভেদ মিয়াঁদাদের নেতৃত্বে পাকিস্তানের প্রথম সফর। স্বাগতিকদের ১৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে হাওয়ায় উড়ছিল পাকিস্তান। কিন্তু ডেনিস লিলি ও টেরি অলডারম্যান ৯ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলে ৬২ রানে অলআউট পাকিস্তান। চতুর্থ ইনিংসে মিয়াঁদাদের দলের সামনে লক্ষ্য ছিল ৫৪৩। ২৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন ‘বড়ে মিয়াঁ’। একটি রান নিতে গিয়ে ধাক্কা লাগে লিলি ও মিয়াঁদাদের। এ নিয়ে আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন লিলি। পরে মিয়াঁদাদের ঊরুতে ছোট্ট একটি লাথি ঝাড়েন। ব্যস, আর যায় কোথায়। লিলিকে রীতিমতো ব্যাট তুলে মারতে গিয়েছিলেন মিয়াঁদাদ! পরে আম্পায়ারের মধ্যস্থতায় শান্ত হয় পরিস্থিতি।
 
===কার্টলি অ্যামব্রোসের ১ রানে ৭ উইকেট, ১৯৯৩===
অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ তখন ১-১ সমতায়। সিরিজের চতুর্থ টেস্ট মাত্র ১ রানে জিতে সমতা ফিরিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। ওয়াকায় পঞ্চম টেস্টে ইনিংস ও ২৫ রানে জিতেছিল রিচি রিচার্ডসনের ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে বিধ্বংসী এক স্পেলে অস্ট্রেলিয়ার ৭ ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার অ্যামব্রোস। রান খরচ করেছিলেন মোটে ১। সেই ইনিংসে জাস্টিন ল্যাঙ্গার, স্টিভ ওয়াহ ও শেন ওয়ার্ন বাদে বাকি সব ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা এই পেসার। ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন কার্টলি অ্যামব্রোস।
 
===গ্লেন ম্যাকগ্রার প্রথম হ্যাটট্রিক ও ৩০০তম উইকেট, ২০০০===
২০০০ সালের ১ ডিসেম্বর তারিখটা নিশ্চয়ই মনে রেখেছেন গ্লেন ম্যাকগ্রা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অস্ট্রেলিয়া সফরের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল ক্যারিবীয়রা। অভ্যাসমতো সিরিজের শুরুতেই ব্রায়ান লারার উইকেটকে পাখির চোখ করেছিলেন ম্যাকগ্রা। ২৯৮টি টেস্ট উইকেট নিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিলেন এই পেসার। ওপেনার শেরউইন ক্যাম্পবেলকে প্রথম স্লিপে পন্টিংয়ের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। লারাকে প্রথম বলেই স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের ক্যাচ বানালেন—৩০০তম উইকেট। হ্যাটট্রিক বলে জিমি অ্যাডামসকে বানালেন ল্যাঙ্গারের ক্যাচ। ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক, ৩০০তম উইকেট হিসেবে লারাকে আউট করা, চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য সে টেস্টে সবকিছুই করেছিলেন ম্যাকগ্রা।
 
===ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০, ২০০৩===
সেবার হিথ স্ট্রিকের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে এসেছিল অস্ট্রেলিয়ায়। প্রথম ইনিংসে ৭৩৫ রানের পাহাড় গড়েছিল স্বাগতিকেরা। এর আগে টেস্টের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল লারার ৩৭৫। ১১টি ছয় আর ৩৮টি চারে ৩৮০ করেছিলেন হেইডেন। এটিই তখন হয়ে উঠেছিল টেস্টের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ছয় মাস পরই অবশ্য নিজের রেকর্ড ফের দখলে নিয়েছিলেন লারা, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০০ করে অপরাজিত ছিলেন ত্রিনিদাদের রাজকুমার। তবে এখনো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস হিসেবে অক্ষত রয়েছে হেইডেনের মহাকাব্যিক সেই ইনিংস।
 
===অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ৫৭ বলে সেঞ্চুরি, ২০০৬===
অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া। তবে সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। আগের তিন টেস্ট ইনিংসে রান পাননি, এমনকি সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ডাক মেরেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার রান উৎসবের মাঝে দাঁড়িয়ে ৪০ বলে ফিফটি করেছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। পার্থের ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পরের ১৭ বলে ঝড় তুলেছিলেন ইংলিশ বোলারদের ওপর। ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করার পথে ৪টি ছক্কা ও ১২টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন গিলি। ২০৬ রানে টেস্ট জিতেছিল স্বাগতিকেরা, ধরে রেখেছিল অ্যাশেজ।
 
== মাঠের অবস্থা ==