বেগুনিয়া (বাংলার মন্দির স্থাপত্য): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎প্রাচীনত্ব: ট্যাগযোগ - তথ্যসূত্র প্রয়োজন
ট্যাগযোগ - তথ্যসূত্র প্রয়োজন
১৬ নং লাইন:
প্রথম মন্দিরে তিনটি শিবলিঙ্গ ও কালী মূর্তি, দ্বিতীয় টিতে তিনটি শিবলিঙ্গ ও গনেশ মূর্তি, তৃতীয় মন্দিরটিতে পাঁচটি শিবলিঙ্গ ও একটি পাথরের মাছ দেখা যায়। মাছ বা মীন সম্ভবত নারী শক্তির প্রতীক। [[J.D.Beglar]] সাহেব লিখেছেন-
{{cquote|The sculpture represents a fish 5 ft.9 inches long from snout to the tip of the tail, 2ft.3 inches wide at the swell below the head and 1ft. 9inches at the junction of the tail. The tail itself is 9 inches long by 2 feet 1 inch wide at its extremity.
}}{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|ডিসেম্বর ২০১৭}}
}}
 
চতুর্থ মন্দিরের আরাধ্য দেবতা সিদ্ধেশ্বর শিবের নামেই এই মন্দিররাজির নাম সিদ্ধেশ্বর মন্দির।এই ছোট মন্দিরটি বাংলার সর্বপ্রথম দেউল এবং সম্ভবত অষ্টম শতকে নির্মিত।
 
==স্থাপত্যরীতি==
পাথরের তৈরি দেউল মন্দির পশ্চিমবঙ্গে বিরল।অলংকরণবিরল। অলংকরণ, আকার, নান্দনিকতা দিয়ে বিচার করলে একমাত্র পুরুলিয়ার বান্দার দেউল এর সঙ্গেই বেগুনিয়ার মন্দিরের তুলনা করা যায়।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন|ডিসেম্বর ২০১৭}}
চতুর্থ মন্দিরটি রেখা বা শিখর দেউলের সর্ব প্রাচীন উদাহরণ। নিচু ভিতের ওপর উঁচু গর্ভগৃহ।গোড়াগর্ভগৃহ। গোড়া থেকেই শিখরের ক্রমবক্র রেখা উপরে উঠে গেছে। শিখরের পগ রেখাগুলি যেন অসংখ্য লোহার পাতের মতন মন্দিরকে বেষ্টন করে আছে। শিখরের উপর একটি বৃহৎ আমলক শিলা(গোল চাকতির মতন খাঁজ কাটা)।
 
==উড়িয়াশিল্পরীতিরউড়িয়া শিল্পরীতির সাথে পার্থক্য==
স্থাপত্যের দিক দিয়ে এই মন্দিরটি ভুবনেশ্বর এর পরশুরামেস্বর মন্দিরের সমকালীন, অর্থাৎ অষ্টম শতকে তৈরি।(<ref>মন্দির স্থাপত্য-১৪, শিল্পকলা-, বাংলা লাইব্রেরি)লাইব্রেরি।</ref> পরশুরামেস্বর মন্দিরে বিমানের সঙ্গে যুক্ত আছে জগমোহন, যা এই মন্দিরে নেই। এছাড়া ওড়িশার রেখা দেউল এর মন্দির গুলির আমলক হয় 'convex', কিন্তু বরাকর মন্দিরের আমলক গুলি concave.( <ref>বিনয় ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি)।</ref>
 
==ভাস্কর্য==
প্রতিটি মন্দির গাত্রে অসম্ভব সুন্দর পাথরের মূর্তি- যেমন উড়ন্ত সিংহ, মকর, রাক্ষসের মতন কীর্তিমুখ (যা শিব মন্দিরের বিশেষত্ব।স্কন্ধ পূরণে বলা হয়েছে, শিবের আদেশে জলন্ধর রাক্ষস নিজের শরীরকে নিজে গিলে ফেললে, শিব তার নাম নাম দেন- কীর্তিমুখ বা face of glory. ) এছাড়াও বিভিন্ন দেবদেবী, অনন্তসজ্জায় বিষ্ণু, অসংখ্য মৎসকন্যা আছে মন্দির জুড়ে।
 
==সমস্যা==
ওড়িশা রেখা বা শিখর রীতিতে তৈরি এই অপূর্ব সুন্দর দেউল গুলি কালের করাল গ্রাস জয় করে এখনো টিঁকে আছে।এআছে। এ আমাদের পরম সৌভাগ্য।কিন্তুসৌভাগ্য। কিন্তু বাঙালি জাতির চরম ঔদাসীন্য, ঠুঁটো জগন্নাথ কতৃপক্ষ, স্থানীয় অতি উৎসাহী ভক্তদের তান্ডবে কতদিন আর টিঁকবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। ASI সংরক্ষিত স্থান হলেও, সারাদিন ধরে ভক্তদের ফুল, বেলপাতা, সিঁদুর লেপা এবং ঘড়া ঘড়া জল শিবলিঙ্গের ওপর ঢালা, এত ধর্মের আতিশয্যে, একটি মন্দির বহু আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে।
 
==তথ্যসূত্র==
==তথ্য়সূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}