খিলাফতে রাশিদার সেনাবাহিনী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tawhid Zubaer (আলোচনা | অবদান)
→‎অবরোধ যন্ত্র: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
Tawhid Zubaer (আলোচনা | অবদান)
→‎কৌশল: ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
১৫০ নং লাইন:
শত্রুসেনাদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করা ও সর্বনিম্ন ক্ষয়ক্ষতি সহকারে বিজয় অর্জন মুসলিম সেনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ছিল। [[খালিদ বিন ওয়ালিদ]] [[সসনিয়ন সাম্রাজ্য|সাসানীয়]] (ইরাক ৬৩৩ – ৬৩৪) [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের]] (সিরিয়া ৬৩৪ - ৬৩৮) বিরুদ্ধে অভিযানের সময় বেশ কিছু দুর্দান্ত কৌশলের আশ্রয় নেন। এগুলো পার্সি‌য়ান ও বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে সফল প্রমাণিত হয়। সহজে চলাচলে সক্ষম না হওয়া সাসানীয় ও বাইজেন্টাইনদের প্রধান দুর্বলতা ছিল।<ref name="I. Akram 1970">A. I. Akram (1970). The Sword of Allah: Khalid bin al-Waleed, His Life and Campaigns. National Publishing House, Rawalpindi. {{আইএসবিএন|0-7101-0104-X}}.</ref> খালিদ বিন ওয়ালিদ তাই শত্রুদের বিরুদ্ধে দ্রুত চলাচলের কৌশল ব্যবহার করেন। পরবর্তী সকল মুসলিম বিজয় অভিযানের সময় সেনাপতিরা খালিদের এই কৌশল ব্যবহার করেন। রাশিদুন সেনাবাহিনীর একটি অংশ শুধু অশ্বারোহী ছিল। তবে বাকিরা উটে আরোহণ করত। [[খালিদ বিন ওয়ালিদ]] ও পরবর্তী [[মুসলিম সেনাপতিদের তালিকা|সেনাপতিরা]] মুসলিম সৈনিকদের লড়াইয়ের দক্ষতাকে কাজে লাগান। এদের মধ্যে অনেকে ছিলেন বেদুইন এবং তলোয়ার চালনায় সুদক্ষ।
 
[[মুসলিমদের সিরিয়া বিজয়|সিরিয়া বিজয়ের]] সময় মুসলিমদের হালকা অশ্বারোহী বাহিনী সেনাবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী অংশে পরিণত হয়। [[ইয়ারমুকের যুদ্ধ|ইয়ারমুকের যুদ্ধে]] এদের শক্তিমত্তা ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হয়। যুদ্ধের বিভিন্ন প্রতিকূল পর্যায়ে খালিদ অশ্বারোহীদেরকে বিভিন্ন দিকে চালনা করে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেন। খালিদের মাধ্যমে শক্তিশালী অশ্বারোহী দল গঠিত হয়। প্রথমদিককার মুসলিম ইতিহাসবিদরা এদেরকে '''মুতাহাররিক তুলাইহা''' ( متحرك طليعة ) বা ''মোবাইল গার্ড'' নাম দেন। এদেরকে অগ্রবর্তী দল হিসেবে ব্যবহার করা হত। শত্রুদের সমূলে উৎপাটনের ব্যাপারে দক্ষ হচিল।ছিল। বাইজেন্টাইনদের বিরুদ্ধে এদের কৌশল যথেষ্ট কাজ দেয়। হামলার কার্যকারিতার কারণে মুসলিমদের পক্ষে সিরিয়া বিজয় সহজ হয়।<ref>Annals of the Early Caliphate By William Muir</ref>
 
আল-মুসান্না আরেকটি কার্যকর কৌশল উদ্ভাবন করেন। এটিকেও পরবর্তী সেনাপতিরা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। এই কৌশলটি ছিল যতক্ষণ বিরোধীপক্ষে হামলা করার মত দূরত্বে আছে ততক্ষণ মরুভূমি থেকে বেশী দূরে অবস্থান না করা। এটি মূলত মরুভূমির কাছাকাছি থেকে যুদ্ধ করার রীতি। কোনো কারণে পরাজয় হলে পিছিয়ে যাওয়ার রাস্তা খোলা রাখা হত।<ref>Tabari: Vol: 2, page no: 560.</ref> মরুভূমি ছিল নিরাপত্তার জন্য স্বর্গভূমি। [[সসনিয়ন সাম্রাজ্য|সাসানীয়]] ও [[বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য|বাইজেন্টাইন]] বাহিনী এখানে সুবিধা করতে পারত না। অন্যদিকে উষ্ট্রারোহী সৈনিকদের জন্য এটি চলাচলের জন্য এটি ছিল আদর্শ স্থান। একই কৌশল অবলম্বন করে খালিদ ইরাক ও সিরিয়া বিজয়ের সময় তারা সেনাদেরকে ইরাক ও সিরিয়ার বেশি ভেতরে পাঠাননি যতক্ষণ না শত্রুসেনাদের লড়াইয়ের ক্ষমতা হ্রাস পায়। পিছনের দিকে সবসময় মরুভূমি থাকায় সহজ যোগাযোগ ও পুনএকত্রীকরণের সুবিধা প্রাপ্তি ঘটে।
১৫৬ নং লাইন:
বাইজেন্টাইন ও সাসানীয়রা দুর্বল ও বিধ্বস্ত হলে সেনাপতিরা যেকোন কৌশল বেছে নিতেন। তবে তারা মূলত তাদের সৈনিকদের দ্রুত স্থানান্তরের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে শত্রুদেরকে ব্যাপকভাবে একত্রিত হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করেন।<ref name="I. Akram 1970"/>
 
খলিফা [[আবু বকর]] তার সেনাপতিদেরকে তাদের মিশন, মিশন পরিচালনার জন্য ভৌগোলিক এলাকা, ও প্রয়োজনীয় রসদ বরাদ্দ করতে। এরপর মিশন সফল করার দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে সেনাপতিদের উপর ন্যস্ত থাকত। তারা তাদের নিজস্ব কৌশল ব্যবহারের ব্যাপারে স্বাধীন ছিলেন। খলিফা [[উমর ইবনুল খাত্তাব|উমর]] তার খিলাফতের শেষের ভাগে সেনাপতিরা কোথায় অবস্থান নেবে, কোথায় পরবর্তী গন্তব্য হবে ও সেনাদলের ডানপ্রান্ত ও বামপ্রান্ত কে নিয়ন্ত্রণ করবে তা ঠিক করে দিতেন। এর ফলে বিজয় তুলনামূলকভাবে ধীরগতির হয়ে পড়ে কিন্তু অভিযানকে আরও সুসংগঠিত রূপ দেয়। খলিফা [[উসমান]] আবু বকরের মত একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতেন। তিনি তার সেনাপতিদেরকে মিশনের দায়িত্ব ন্যস্ত করতেন এবং সফল করার দায়িত্ব তাদের নিজস্ব কৌশলের উপর ছেড়ে দিতেন। খলিফা [[আলীও]] একই কাজ করতেন।
 
== ব্যবহারবিধি ও নীতিমালা ==