রাগ (সংগীত): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
৬ নং লাইন:
 
== প্রকারভেদ ==
রাগ সঙ্গীতের চারটি প্রধান রীতি আছে। এগুলো হচ্ছে: [[ধ্রুপদ]], [[খেয়াল]], [[টপ্পা]] ও [[ঠুমরী]]। সংগীতে রাগ সমাহার-১) [[রাগ বিলাবল]] ২) [[রাগ আলাহিয়া-বিলাবল|রাগ আলাহিয়া বিলাবল]] ৩) রাগ ইমন ৪) রাগ ইমন কল্যাণ ৫) রাগ ভূপালী ৬) রাগ বিহাগ ৭) রাগ কাফি ৮) রাগ বাগেশ্রী ৯) [[রাগ ভীমপলশ্রী]] ১০) রাগ বৃন্দবনী সারং ১১) রাগ আশাবরী ১২) রাগ জৌনপুরী ১৩) রাগ খাম্বাজ ১৪) রাগ রাগেশ্রী ১৫) রাগ দেশ ১৬) রাগ কলাবতী ১৭) রাগ ভৈরব ১৮) রাগ নট ভৈরব ১৯) রাগ আহীয় ভৈরব ২০) রাগ আনন্দ ভৈরব ২১) রাগ বাঙ্গাল ভৈরব ২২) রাগ বিভাস ২৩) রাগ গুণকেলী ২৪) রাগ বৈরাগী ২৫) রাগ নিত্যকলি ২৬) রাগ ভৈরবী ২৭) রাগ মালকোষ ২৮) রাগ চন্দ্রকোষ ২৯) রাগ মারওয়া ৩০) রাগ পুরিয়া ৩১) রাগ জেতাশ্রী ৩২) রাগ জয়েৎ ৩৩) রাগ পুরিয়াকল্যাণ ৩৪) রাগ পূরবী ৩৫) রাগ পুরিয়াধানেশ্রী ৩৬) রাগ গৌরাঞ্জনী ৩৭) রাগ ত্রিবেণী ৩৮) [[রাগ টোড়ী]] ৩৯) রাগ গুর্জরী টোড়ী ৪০) রাগ ভূপাল টোড়ী ৪১) রাগ বিলাসখানী ৪২) রাগ আশাবরী ( কোমল ) ৪৩) রাগ মূলতানী ৪৪) রাগ মধুবন্তী ৪৫) রাগ কেদারা ৪৬) রাগ মারু বিহাগ ৪৭) রাগ হংসধ্বনি ৪৮) রাগ কৌশধ্বনি ৪৯) রাগ দুর্গা ৫০) রাগ দেশকার ৫১) রাগ শিবরঞ্জনী ৫২) রাগ আভেগী কানাড়া ৫৩) রাগ শ্রীরঞ্জনী ৫৪) রাগ পট্দীপ ৫৫) রাগ যোগ ৫৬) রাগ চন্দ্রঘোষ ৫৭) রাগ তিলং ৫৮) [[রাগ জয়জয়ন্তী|রাগ জয়জয়ন্তী]] ৫৯) রাগ গোখর কল্যান ৬০) রাগ দরবারী ৬১) রাগ মধুমতি ৬২) রাগ মিয়া -কি -মাল্হার ৬৩) [[মেঘ (রাগ)|রাগ মেঘ]] ৬৪ ) রাগ বাহার ৬৫) [[মেঘ মল্লার|রাগ মেঘমল্লার]]।<ref>http://www.sunamganjerdak.com/?p=3721</ref>
 
==রাগ ও তাদের গায়ন সময়==
১৪ নং লাইন:
====ঠাট : ভৈরব - রাগ ভৈরব====
অতি প্রাচীন এই রাগটি ভৈরো, ভ্যায়রো, মালব, ভৈরব ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত।প্রাচীন হলেও বর্তমান প্রচলিত ভৈরবের সাথে আগের ভৈরবের কোন মিল নেই। এটি একটি ঠাট রাগ। রে,ধা কোমল- গাওয়ার সময় আন্দোলিত হয় এবং বিশেষ মহত্বপূর্ণ ভাবে ফুটে উঠে। ভৈরবী ঠাটের কোমল গা ও নি এর স্থলে শুদ্ধ গা নি ব্যবহার করলেই ভৈরব ঠাটের স্বর সপ্তক পাওয়া যায়। রাগটি প্রাত:কালীন সন্ধি প্রকাশ রাগ। ধৈবতের আন্দোলন কালে কোমল নি ঈষৎ প্রয়োগ হয় এবং রে স্বরটি অতি কোমল ও অবরোহে বেশী প্রাধান্য পায়। কুশলতার সাথে অবরোহ গতিতে কোমল নি ব্যবহার করা যায়। গমঋ, দমপ, দমপ দনর্স এই স্বর সংগতি মীড় যুক্ত হয়ে বেশী প্রয়োগ হয়। আরোহে সঋগম/ন্ সগম/সগম এ রকম বিভিন্ন ভাবে স্বর প্রয়োগ হয়ে থাকে। ম র মীড় হলেও এর সাথে প র সংযোগ হয়ে একটি বিশেষ রূপ ফুটে উঠে যা সঠিক তালিম প্রাপ্ত গায়ক গণের পক্ষেই কেবল গেয়ে দেখানো সম্ভব। ভৈরবের সমপ্রকৃতির রাগ হচ্ছে কলিংড়া এবং রামকেলী।
 
 
 
পরিচয়: রে ধা কোমল বাকী সব শুদ্ধ স্বর ব্যবহৃত হয়। রে ও ধা এর ব্যবহার শিখে নেয়ার মত একটি বিষয়।
৬৬ ⟶ ৬৪ নং লাইন:
 
====ঠাট : কল্যাণ - রাগ ইমন====
আলাউদ্দিন খিলজীর সভাসদ কবি ও দার্শনিক হযরত আমির খসরু এই রাগটির শ্রষ্টা। এই রাগে সাধারণত: সা স্বরটি বর্জন করে আরোহ গতিতে ন্ র গ এই ভাবে সরল গতিতে যাওয়া যায়। এছাড়াও মধ্যম সপ্তকের পঞ্চমকে বর্জন করে ক্ষ ধ ন, ক্ষ ধ র্স ন র্র র্স, ন র্র ন ধ ক্ষ গ এই সমস্ত স্বরসঙ্গতি বিশেষ বৈচিত্র আনয়ন করে।
 
পরিচয়: মা কড়ি এবং বাকি সব স্বর শুদ্ধ ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ বিলাবলের শুদ্ধ মা এর পরিবর্তে কড়ি মা এর আগমন।এর চলন বক্রগতি সম্পন্ন।এ রাগের সাথে বিলাবল ঠাটের প্রচুর সাদৃশ্য আছে। এই রাগের সমপ্রকৃতির ইমন কল্যান নামে আরো একটি রাগ আছে যেখানে শুদ্ধ মধ্যম প্রয়োগ করা হয় এবং ইমন অপেক্ষা ঋষভ এর প্রাধান্যও এতে বেশী থাকে। তবে শুদ্ধ মধ্যম এর ব্যবহার গুরুর নিকট শিখেই প্রয়োগ করা উচিৎ, অন্যান্য স্বরের ব্যবহার ইমন এর মতই। সৌন্দর্য বা বৈচিত্র আনয়ন কল্পে প স্বরটিকে এড়িয়ে ব্যবহার করা হলেও মনে রাখতে হবে পা স্বরটি ইমন রাগে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ন্যস স্বর।
৯২ ⟶ ৯০ নং লাইন:
বেশকিছু জনপ্রিয় রাগের জন্মদাতা এই কাফি ঠাট। কর্ণাটকী সঙ্গীতে এই রাগটির নাম ‍খরহর প্রিয়া। কাফি রাগটি ঠাটের সাথে বেশী মিল সম্পন্ন বলে এটি ঠাট রাগ হিসেবে পরিচিত। ধ্রুপদ, ঠুমরি, ভজন ইত্যাদি এই রাগে বেশি শোনা যায়।
 
পরিচয়: গা নি কোমল এবং বাকী স্বর শুদ্ধ ব্যবহার হয়।আরোহে তীব্র গান্ধার ও নি সুকৌশলে বার বার ব্যবহৃত হয়।নিপুন গায়ক রাগ হানি না করেও কোমল ধৈবত ব্যবহার করে থাকেন। তবে মনে রাখতে হবে এই স্বর গুলি রাগের নিয়মিত স্বর নয়।
 
ঠাট: কাফি।
১০৭ ⟶ ১০৫ নং লাইন:
==ঠাট : ভৈরবী==
===রাগ ভৈরবী===
এই রাগ ভৈরবী ঠাটের আশ্রয় রাগ বা তার উৎস ,ঠাট রাগ । রাগ ভৈরবী সংকীর্ণ শ্রেণীর ও সরলব্রক্রগতির নাতিচঞ্চলশান্ত প্রকৃতির ভক্তি ও শিঙ্গার রসাত্মক , দ্রুপধ ও ঠুমরী অঙ্গে প্রচলিত। ঠুমরী বা যে কোন হালকা অঙ্গের গানে ঠাটের ১২টি সুরই ব্যাবহারব্যবহার করা হয় ।
ঠাটঃ ভৈরবী।
জাতিঃ সম্পূর্ণ।