ভাইরাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়শ্রেণী:জীববিজ্ঞান যোগ হটক্যাটের মাধ্যমে
পরিষ্কারকরণ
১৫ নং লাইন:
[[চিত্র:Coronaviruses 004 lores.jpg|right|thumb|মানুষের সাধারণ ঠান্ডার জন্য দায়ী কোরোনা-ভাইরাস]]
 
'''ভাইরাস''' ([[:en:Virus|Virus]])হল একপ্রকার অতিক্ষুদ্র জৈব কণা বা [[অণুজীব]] যারা জীবিত কোষের ভিতরেই মাত্র বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এরা অতি-আণুবীক্ষণিক এবং অকোষীয়। ভাইরাসকে জীব হিসেবে বিবেচিত হবে কিনা, এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দ্বিমত আছে। ভাইরাস মানুষ, পশু-পাখি, উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। এমনকি, কিছু ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে বংশবৃদ্ধি করে- এদের [[ব্যাক্টেরিওফাজ]] ([[:en:Bacteriophage|Bacteriophage]]) বলা হয়।
 
==সূচনা==
ভাইরাস ল্যাটিন ভাষা হতে গৃহীত একটি শব্দ। এর অর্থ হল বিষ। আদিকালে রোগ সৃষ্টিকারী যে কোন বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হত। বর্তমান কালে ভাইরাস বলতে এক প্রকার অতি আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায়। [[উদ্ভিদ]] ও প্রাণীর বহু রোগ সৃষ্টির কারণ হল ভাইরাস। ভাইরাস কে জীবাণু না বলে 'বস্তুু' বলা হয়। কারণ, জীবদেহ [[কোষ (জীববিজ্ঞান)|কোষ]] দিয়ে গঠিত , কিন্তু ভাইরাস অকোষীয়। <ref>উচ্চ মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান, প্রথম পত্রঃ উদ্ভিদবিজ্ঞান (ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান)</ref>
 
==পটভূমি==
[[নেদারল্যান্ডস|হল্যান্ডের]] প্রাণরসায়নবিদ Adlofএডলফ Mayerমেয়ার (1886১৮৮৬) তামাক গাছের মোজাইক নামক ভাইরাস রোগ নিয়ে সর্বপ্রথম কাজ শুরু করেন।স্থানীয়ভাবে রোগটি বান্ট, রাস্ট বা স্মাট নামে পরিচিত ছিল।কারো মধ্যে যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সেজন্য Mayerমেয়ার একে টোবাকো মোজাইক (TMV) নামে আখ্যায়িত করেন।রাশিয়ান জীবাণুবিদ Dimitriদিমিত্রি Ivanovskiইভানোভস্কি (1892১৮৯২) [[তামাক|তামাক গাছের]] মোজাইক রোগ নিয়ে গবেষণা করে প্রমাণ করেন, রোগাক্রান্ত তামাক পাতার রস ব্যকটেরিয়ারোধক Chamberland filter দিয়ে ফিল্টার করার পরও সুস্থ তামাক গাছে রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম।তখন তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন যে, তামাক গাছে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ব্যাকটেরিয়া হতে নিঃসৃত কোনো বিষাক্ত পদার্থ কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্রকায় কোনো জীবাণু।ওলন্দাজ জীবাণুতত্ত্ববিদজীবাণুতত্ত্ববিদমারটিনিয়াস Martinus Beijerinickবাইজেরিনিক (1898১৮৯৮) অনুমান করেন, তামাকের এ রোগের কারণ হয়তো কোনো এক ধরণের সংক্রমণশীল জীবন্ত তরল পদার্থ।তিনিই সর্বপ্রথম এ পদার্থকে ভাইরাস নাম দেন।পরবর্তীতে মার্কিন জীব-রসায়নবিদ Dr.ডব্লু W.M.এম Stanleyস্ট্যানলি (1935১৯৩৫) তামাকের মোজাইক ভাইরাসকে পৃথক করে কেলাসিত করতে সক্ষম হোন।এহোন। এ অবদানের কারণে তিনি ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।১৯৩৬করেন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে চিলিতে F.C.এফ Bawdenসি বাউডেন, N.W.এন Pirieডব্লু পিরি Bernal বার্নাল টিএমভি (TMV) হতে [[প্রোটিন]][[নিউক্লিক এসিড|নিউক্লিক এসিডের]] সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার তরল স্ফটিকময় পদার্থ উৎপন্ন করতে সক্ষম হোন।Fruenkalহোন। ফ্রয়েংকাল -Conrotকনরোট ও অন্যান্য গবেষক ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভাইরাসের নিউক্লিক এসিডকে প্রোটিন হতে পৃথক করেন এবং এও প্রমান করেন যে, নিউক্লিক এসিডই ভাইরাস রোগের বাহক।
 
==আবাসস্থল==
২৭ নং লাইন:
 
==আয়তন==
ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া থেকে ক্ষুদ্র।ইলেকট্রনক্ষুদ্র। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া এদের দেখা যায়না।সাধারণতযায়না। সাধারণত এদের আকার 10&nbsp;nm থেকে 300&nbsp;nm পর্যন্ত হয়ে থাকেথাকে।
 
== আকার-আকৃতি ==
৪১ নং লাইন:
 
১. লাইটিক চক্র
 
২. লাইসোজেনিক চক্র
 
'''লাইটিক চক্র:''' ভাইরাস পরজীবী হিসেবে বংশবৃদ্ধি করে তাই এদের বংশবিস্তার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করা কঠিন। যে জীবনচক্রে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে ফাযের (অণুজীব আক্রমণকারী ভাইরাস) অপত্য কোষগুলো শেষ পর্যায়ে ব্যাকটেরিয়াকে বিগলিত করে মুক্ত হয়, সে জীবনচক্রকে লাইটিক চক্র বলে। '''লাইটিক চক্র''' সাধারণত ব্যাকটেরিওফাযের জীবনচক্রে দেখা যায়। নিচে T2 ভাইরাসের ''E. coli'' ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ক্ষেত্রে লাইটিক চক্রের ধাপগুলো বর্ণনা করা হল:
 
'''লাইটিক চক্র''' সাধারণত ব্যাকটেরিওফাযের জীবনচক্রে দেখা যায়। নিচে T2 ভাইরাসের ''E. coli'' ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ক্ষেত্রে লাইটিক চক্রের ধাপগুলো বর্ণনা করা হল:
১. '''পৃষ্ঠলগ্ন হওয়া''': এ পর্যায়ে T2 ভাইরাস পোষক ''E. coli'' ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরে স্পর্শকতন্তু ও স্পাইক এর সাহায্যে পৃষ্টলগ্ন হয়। ''E. coli'' ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরে ফায প্রোটিনের জন্য রিসেপ্টর সাইড থাকায় রিসেপ্টর সাইডের প্রোটিনের সাথে ফায ক্যাপসিডের স্পর্শক তন্তুর প্রোটিনের রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে ফাযটি ব্যাকটেরিয়ার প্রাচীরে সংযুক্ত হয়ে যায়।
 
২. '''অনুপ্রবেশ''': পৃষ্টলগ্ন হওয়ার পর ভাইরাসের লেজের স্পাইক থেকে লাইসোজাইম এনজাইম নিঃসৃত হয়। এই এনজাইমের কার্যকারিতায় ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরের স্তরকে দ্রবীভূত করে সূক্ষ্ণ নালিকার সৃষ্টি করে। এ প্রক্রিয়াকে ড্রিলিং বলে। T2 ভাইরাসের লেজের প্রোটিন আবরণটি বাইরে পড়ে থাকে।
 
৩. '''প্রোটিন সংশ্লেষণ:'''
#
#