মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) অ সংশোধন |
||
৭ নং লাইন:
|founder = [[হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]] (পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী)
|type = সরকারি
|category = প্রাথমিক, মাধ্যমিক
|schoolboard = ঢাকা বোর্ড
|staff = ৫০ (প্রায়)
১৮ নং লাইন:
|students = প্রায় ৩০০০
|campus size =
|location = [[মতিঝিল]], [[ঢাকা]]
|country = [[বাংলাদেশ]]
২৫ ⟶ ২৩ নং লাইন:
}}
'''মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়'''
== পরিচিতি ==
৩২ ⟶ ৩০ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
[[File:MGBHS foundation stone.jpg|thumb|[[হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]] এই বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন]]
[[পূর্ব পাকিস্তান|তৎকালীন পাকিস্তান]] সরকারের শিক্ষা উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী [[হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী]] এই বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] স্বাধীনতার পূর্বে '''সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুল, মতিঝিল''', যা পরবর্তিতে '''সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুল''' হিসেবে সমধিক পরিচিতি পায়। স্বাধীন বাংলাদেশে বিদ্যালয়টি বর্তমান নামে শিক্ষা মণ্ত্রনালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়। [[১৯৯৫]] থ্রিস্টাব্দে এই বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কৃত হয় এবং ঐ বছরই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হবার গৌরব অর্জন করেন তৎকালীন প্রধান শিক্ষক রশিদ উদ্দিন জাহিদ।<ref name=Sanad>সনদ, বার্ষিকী'৯৭, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত, পৃ. ১৮-১৯; সংগ্রহের তারিখ: জানুয়ারি ১৪, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
শুরু থেকেই বিদ্যালয়টিতে দিবা শাখা ও প্রভাতি শাখা প্রচলিত ছিল। তখন পূর্ব পাকিস্তানের অধীন ছিল বলে প্রভাতি শাখা ছিল [[উর্দু]] মিডিয়াম, আর দিবা শাখা ছিল বাংলা মিডিয়ামে পড়ালেখার জন্য, এবং শাখাদ্বয়ের নামও ছিল যথাক্রমে 'উর্দু মিডিয়াম' এবং 'বেঙ্গলি মিডিয়াম'। পরে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর দুই শাখাতেই বাংলা মিডিয়ামে পড়ালেখা শুরু হয় এবং শাখাদ্বয়ের নাম যথাক্রমে 'প্রভাতি শাখা' ও 'দিবা শাখা' হয়।
=== বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান ===
পূর্ব পাকিস্তান আমলে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৯৭১ সালের [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে]] সক্রীয় অবদান রাখেন। যুদ্ধে সক্রীয় অংশগ্রহণকারী
* মাজহারুল হক, মেট্রিকুলেশন পরীক্ষার্থী
* খোকন, মেট্রিকুলেশন পরীক্ষার্থী
৪২ ⟶ ৪৩ নং লাইন:
== বিবরণ ==
[[File:Motijheel Govt. Boys High School entrance.jpg|thumb|মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ]]
বিদ্যালয়ের মূল ভবনেই প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর অধ্যয়ন পরিচালিত হয়। সাধারণত ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণীতে ক
বিদ্যালয়টিতে দিবা শাখা ও প্রভাতি শাখা পরিচালনার জন্য প্রধান শিক্ষক একজন হলেও আলাদা সহকারী শিক্ষক রয়েছেন এবং আলাদা শিক্ষকমণ্ডলীও রয়েছেন। এমনকি দুই শাখার জন্য আলাদা তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ও স্টাফ রয়েছেন।
বিদ্যালয়টি তার প্রারম্ভলগ্নে কো-এডুকেশন, অর্থাৎ ছেলে-মেয়ের একত্র পঠনধারায় চললেও পরবর্তিতে ছেলেদের জন্য আলাদা করে বালক
ব্যতিক্রমবাদে প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সকল শ্রেণীর ছাত্রদের এবং শিক্ষকদের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে কোরআন (সূরা ফাতিহা) তেলাওয়াত, বিদ্যালয়ের শপথ পাঠ এবং জাতীয় সংগীত সমস্বরে গাওয়াসহ শারীরিক কসরত অনুষ্ঠিত হয়।
৫২ ⟶ ৫৩ নং লাইন:
বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য পোষাকের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সাদা শার্ট ও ফুল প্যান্ট বরাদ্দ। এছাড়া পোষাক হিসেবে সাদা কেড্স বা জুতা পরতে হয়। কোমরে কালো বেল্ট পরার অনুমতি রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয় থেকে বুকে ধারণ করার জন্য কাপড়ের ব্যাজ দেয়া হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের জন্য পোষাকের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সাদা শার্ট ও ফুল প্যান্ট বরাদ্দ। এছাড়া পোষাক হিসেবে কালো কেড্স বা জুতা পরতে হয়। কোমরে কালো বেল্ট পরার অনুমতি রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয় থেকে বুকে ধারণ করার জন্য কাপড়ের ব্যাজ দেয়া হয়।
== খেলাধুলা ==
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষাসহায়ক পাঠক্রম রয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে একটি পি.টি. ক্লাস বাধ্যতামূলক অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য দুটো মাঠ রয়েছে, যার একটি মূল ভবন দিয়ে ঘেরা, যাকে ''ভিতরের মাঠ'' বলা হয়, আর অন্যটি মুল ভবনের পিছনে, যাকে ''বাইরের মাঠ'' বলা হয়। বাইরের মাঠটিতে [[১৯৯৮]] খ্রিস্টাব্দে বড় ধরণের উন্নয়ন কাজ করানো হয়। এই মাঠটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তশ্রেণী ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আন্তঃজেলা ও আন্তঃবিভাগ প্রতিযোগিতা আয়োজনে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ২০০০ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সংযোজিত হয় একটি [[বাস্কেটবল]] খেলার মাঠ। ইনডোর গেমসের মধ্যে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে [[টেবিল টেনিস]] বেশ জনপ্রিয়, এবং বিদ্যালয়ে একাধিক টেবিল টেনিস খেলার টেবিলের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১৯৯৫, ১৯৯৬, ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে Terry Fox Run-এ অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব ফুটবল, ক্রিকেট, খো খো, কাবাডি, টেবিল টেনিস দল, যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের পক্ষে প্রতিযোগিতা করে থাকে। এছাড়া ''নির্মাণ
== সহশিক্ষা কার্যক্রম ==
বিদ্যালয়ের প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি পাঠক্রমে যোগ করা হয়েছে 'সিসিএ' (কো-কারিকুলার এক্টিভিটিস) ক্লাস, যেখানে শিক্ষার্থীরা পাঠক্রমের বাইরের বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ পান। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মুক্তবুদ্ধির ও মুক্তচিন্তার চর্চার জন্য বিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন আন্তঃসংগঠন। বিদ্যালয়ের আন্তঃসংগঠনের মধ্যে [[স্কাউটিং|স্কাউট]], [[বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি|রেড ক্রিসেন্ট]] এবং [[বিএনসিসি]]'র কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য। এই তিন সংগঠন, বিশেষ করে বিএনসিসি কোরের সদস্যবৃন্দ প্রতি বছর [[বাংলাদেশের বিজয় দিবস|বিজয় দিবসে]] কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে থাকে। অত্র
এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ও [[১৯৯৫]] খ্রিস্টাব্দে [[বাংলাদেশ টেলিভিশন]] আয়োজিত "জাতীয়
== জনস্বার্থমূলক কার্যক্রম ==
৬৭ ⟶ ৬৮ নং লাইন:
== ফলাফল ==
বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে প্রায় প্রতি বছরই সাফল্য পরিলক্ষিত হয়। যখন শিক্ষা কার্যক্রম প্রাক্তন বিভাগ পদ্ধতিতে পরিচালিত হতো, তখন ১৯৯০ ও ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়ের ৩ জন ছাত্র মাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষা [[এসএসসি|এসএসসিতে]] মেধাতালিকায় স্থান করে নেন। ১৯৯৩ সনে ৩ জন; ১৯৯৪ সনে ৩ জন; ১৯৯৫ সনে ৬ জন; ১৯৯৮ সনে ২ জন এসএসসিতে মেধাতালিকায় স্থান করে নেন (প্রেক্ষিত ১৯৯৯)। এছাড়াও ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান একজন, ঐ বছর জুনিয়র বৃত্তি পান ৪ জন; ১৯৯৮ সালে জুনিয়র বৃত্তিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান ১ জন, সাধারণ বৃত্তি পান ১ জন। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ফলাফল বিবেচনায় ঢাকার সেরা
== অনুষ্ঠানাদি ==
বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল, আযান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসব ও জাতীয় দিবসে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতা। মিলাদ মাহফিল এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য থাকে বিভিন্ন পুরস্কার। এছাড়া বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন চ্যারিটি প্রোগ্রাম, বই মেলা, রেড ক্রিসেন্টের রক্ত সংগ্রহ অভিযান,
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
|