জৈন ধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ |
সংশোধন |
||
৩৭ নং লাইন:
[[অপরিগ্রহ]] হল জৈনধর্মের তৃতীয় প্রধান আদর্শ। ‘অপরিগ্রহ’ বলতে নির্লোভ হওয়া, অপরের দ্রব্য না নেওয়া ও জাগতিক কামনাবাসনা থেকে দূরে থাকাকে বোঝায়। জৈনরা যতটুকু প্রয়োজনীয়, তার চেয়ে বেশি নেওয়ার পক্ষপাতী নন। দ্রব্যের মালিকানা স্বীকৃত। তবে দ্রব্যের প্রতি আসক্তিশূন্যতা শিক্ষা দেওয়া হয়। জৈন ধর্মাবলম্বীরা অপ্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ ও যা আছে তার প্রতি আসক্তিশূন্য হবে – এই হল জৈনধর্মের শিক্ষা। জৈনধর্ম মনে করে তা না করলে দ্রব্যের প্রতি অধিক আসক্তির বশে ব্যক্তি নিজের ও অপরের ক্ষতিসাধন করতে পারেন।
===পঞ্চ মহাব্রত===
{{
ব্রতের মাধ্যমে আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং তার মাধ্যবে ব্যক্তিগত চৈতন্যের বিকাশের দ্বারা আধ্যাত্মিক জাগরণের উপর জৈনধর্ম বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে।<ref name="Buswell2004">{{harvnb|Glasenapp|1999|pp=228–231}}</ref> কট্টরপন্থী অনুগামী ও সাধারণ অনুগামীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্তরের ব্রতের বিধান এই ধর্মে দেওয়া হয়।<ref name="Buswell2004"/> এই ধর্মের অনুগামীরা পাঁচটি প্রধান ব্রত পালন করেন:
#[[জৈনধর্মে অহিংসা|অহিংসা]]: প্রথম ব্রতটি হল জৈন ধর্মাবলম্বী কোনো জীবিত প্রাণীর ক্ষতি করবে না। এর মধ্যে অন্যান্য প্রাণীর প্রতি কার্য, বাক্য বা চিন্তার মাধ্যমে ঐচ্ছিক ও অনৈচ্ছিক ক্ষতিসাধনের শ্রেণীবিভাগ করা আছে।
#[[সত্য]]: এই ব্রতটি হল সর্বদা সত্য কথা বলার ব্রত। অহিংসাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই অন্যান্য আদর্শের সঙ্গে অহিংসার আদর্শের কোনো বিরোধ বাধলে, এই ব্রতের সাহায্য নেওয়া হয়। যেখানে সত্য বচন হিংসার কারণ হয়, সেখানে মৌনতা অবলম্বন করা হয়।<ref name="Buswell2004" />
#[[অস্তেয়]]: ‘অস্তেয়’ শব্দের অর্থ চুরি না করা। যা ইচ্ছাক্রমে দেওয়া হয়নি, জৈনরা তা গ্রহণ করেন না।<ref name="Buswell2004"/> অন্যের থেকে ধনসম্পত্তি নিয়ে নেওয়া বা দুর্বলকে দুর্বলতর করাকে জৈনরা চুরি করা বলেন। তাই যা কিছু কেনা হয় বা যে পরিষেবা নেওয়া হয়, তার জন্য যথাযথ মূল্য দেওয়াই জৈনধর্মের নিয়ম।
#[[ব্রহ্মচর্য]]: গৃহস্থদের কাছে ব্রহ্মচর্য হল পবিত্রতা এবং সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীদের কাছে যৌনতা থেকে দূরে থাকা। যৌন ক্রিয়াকলাপ থেকে দূরে থেকে আত্মসংযমকেই ‘ব্রহ্মচর্য’ বলা হয়।<ref>{{
#[[অপরিগ্রহ]]: অপরিগ্রহ হল অনাসক্তি। এর মাধ্যমে জাগতিক বন্ধন থেকে দূরে থাকা এবং দ্রব্য, স্থান বা ব্যক্তির প্রতি অনাসক্তিকে বোঝায়।<ref name="Buswell2004"/> জৈন সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীরা সম্পত্তি ও সামাজিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ত্যাগ করেন।
১২৬ নং লাইন:
{{Main|জৈনধর্মের ইতিহাস}}
===উৎস===
{{
জৈনধর্মের উৎস অজ্ঞাত।<ref name="flugelP" />{{sfn|Glasenapp|1999|p=13}} জৈনধর্ম হল একটি অনন্তকালীন দর্শন।{{sfn|Zimmer|1952|pp=x, 180-181}} [[জৈন বিশ্বতত্ত্ব#কালচক্র|জৈন কালচক্র]] অনুসারে, কালচক্রের প্রত্যেক অর্ধে চব্বিশ জন বিশিষ্ট মানুষ [[তীর্থঙ্কর|তীর্থঙ্করের]] পর্যায়ে উন্নীত হন এবং মানুষকে মোক্ষের পথ প্রদর্শন করেন। তাই এঁদের বলা হয় মানুষের আধ্যাত্মিক সহায়ক।{{sfn|Rankin|2013|p=40}} মহাবীরের পূর্বসূরী তথা ২৩তম তীর্থঙ্কর [[পার্শ্বনাথ]] ছিলেন একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব।{{sfn|Zimmer|1952|pp=182-183}}{{sfn|Glasenapp|1999|pp=16-17}} তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৯ম-৭ম শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে জীবিত ছিলেন।{{sfn|Zimmer|1952|pp=183}}{{sfn|Glasenapp|1999|pp=23-24}}<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|author=Paul Dundas|title=Jainism|publisher=Encyclopaedia Britannica|year=2013|url= http://www.britannica.com/EBchecked/topic/299478/Jainism}}</ref>{{sfn|Jaini|1998|p=10}} আনুশাসনিক ধর্মগ্রন্থগুলিতে পার্শ্বনাথের অনুগামীদের উল্লেখ আছে। ''উত্তরাধ্যয়ন'' সূত্রের একটি কিংবদন্তিতে পার্শ্বনাথের শিষ্যদের সঙ্গে মহাবীরের শিষ্যদের সাক্ষাতের কথা আছে। এই সাক্ষাতের ফলে পুরনো ও নতুন জৈন শিক্ষাদর্শের মিলন ঘটেছিল।<ref name="Jacobi Herman page 465"/>
৫৫৮ নং লাইন:
== বহিঃসংযোগ ==
{{
<!-- NOTE: Any external links in nature of advertisement for matrimonial or groups or lists or commercial advertisements will be immediately deleted -->
* [http://www.census.india.gov.in Census of India 2001. Office of the Registrar General, India.]
৫৭৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্ম]]
[[
[[
|